প্রণয়ন
অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ১০ সদস্যের প্যানেল অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার
বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি প্যানেল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্যানেলের নির্দিষ্ট সদস্যদের নাম প্রকাশ না করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সচিবালয়ের একটি সূত্র।
এসডিজি বিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন এই প্যানেলকে ৯০ দিনের মধ্যে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: উপদেষ্টা
এই নথিটিতে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময় বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে তা মোকাবিলার লক্ষ্যে কৌশলগত সুপারিশগুলোর রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
শ্বেতপত্রটি বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব দেবে
সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা: অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, বিনিয়োগ এবং ভর্তুকিসহ সরকারি ব্যয় এবং বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন পরীক্ষা করা।
মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা: উৎপাদন, সরকারি সংগ্রহ এবং খাদ্য বিতরণ প্রক্রিয়া মূল্যায়ন।
বাহ্যিক ভারসাম্য: রপ্তানি ও আমদানি গতিশীলতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক ঋণের মতো বিষয়গুলোর মূল্যায়ন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: জ্বালানি খাতে চাহিদা, সরবরাহ, মূল্য, ব্যয় এবং ক্রয় চুক্তি বিশ্লেষণ।
বেসরকারি খাত: ঋণ, বিদ্যুৎ, সংযোগ এবং সরবরাহের সুযোগ পর্যালোচনা করা।
কর্মসংস্থান: আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি কাঠামো এবং যুব কর্মসংস্থান সমস্যাসহ দেশীয় এবং বিদেশে উভয় কর্মসংস্থানের শর্তগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা।
কমিটি সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সাচিবিক সহায়তা নিয়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: বানভাসিদের সহায়তার আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখরা এগিয়ে এসেছেন: ধর্ম উপদেষ্টা
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে যে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
২ মাস আগে
জলবায়ু সংকট: অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয় বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
কপ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের এ সদস্য ইউএনবিকে বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে এখানে যে শুনানি হচ্ছে তা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় কোনোভাবেই তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির ওপর উঠে গেলে তা আমাদের সবার জন্যই ক্ষতির কারণ হবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ২০৩০ সালের মধ্যে সব উন্নত দেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে বলেছেন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বাড়তি থাকবে। তবে কী কী উপায়ে আমরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধে একসঙ্গে কাজ করতে পারি তা নিয়েও এই কপ সম্মেলনে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে বাংলাদেশ সক্রিয় দাবি তুলে ধরেছে। কপ সম্মেলনের শুরুতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। বৈশ্বিক স্টকটেক, ক্ষয়ক্ষতি তহবিল, অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা, জলবায়ু অর্থায়ন ও অভিযোজন তহবিল বাড়ানোর বিষয়গুলোতে অগ্রাধিকার দেবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ এর আগেই জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সচিব আরও বলেন, কপ-২৮ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান নিশ্চিত করা, জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করা,অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা, ক্ষয়ক্ষতি সক্রিয় করা এবং এর ‘ডিটেইল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ ঠিক করা, অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য ‘গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন’ এর কাঠামো তৈরি বা প্রণয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমরা উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নই বরং এর অসহায় শিকার।
কপে অংশ নেওয়া পরিবেশবাদীরা বলছেন, দুবাই জলবায়ু সম্মেলন শুরুই হয়েছে ‘তহবিল’ বার্তা দিয়ে। তহবিল অবশ্যই জরুরি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বহু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ও দাবি তহবিলের আড়ালে চাপা পড়ে যেতে পারে।
জলবায়ু প্রশ্নে এখন পৃথিবীর মানুষ ন্যায্যতার দাবি তুলেছে। তবে সম্মেলনের শুরু থেকে প্রতিদিনই জলবায়ু অর্থায়নের সারিতে যোগ হচ্ছে নতুন দেশ। আর এইসব অর্থায়নের বেশিরভাগই আবার বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। অথচ বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ন্যায্যতার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) শুরুই হয়েছে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার দিয়ে। সম্মেলনের প্রথম দিন থেকে শুরু করে সপ্তম দিনেও গুরুত্ব পেয়েছে তহবিলের বিষয়টি।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই ১ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে চলে এসেছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এটা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেটিকে আর কমানো যাবে না।
যে সমস্ত দেশ নীতি কথা বলছে, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের কথা বলছে- তারাই জীবাশ্ম জ্বালালি খাতে বিনিয়োগ করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে সারা বিশ্বের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
খাদ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যয় বেড়েছে বলে শুরু থেকে গত বেশ কয়েকটি কপ সম্মেলনে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মত হয়েছেন। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো সে তুলনায় কোনো ধরনের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে পায়নি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি সম্মেলনেই শুধু কথার পিঠে কথা থাকে। সম্মেলন শেষে আরেকটি নতুন সম্মেলনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। কীভাবে এই পৃথিবীকে আরও বেশি বাসযোগ্য করে তোলা যাবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু প্রতিক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান
কার্বনের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তি মূল ভূমিকা পালন করে বলে মনে করছে কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো।
সম্মেলনে মার্কিন জলবায়ুবিষয়ক রাষ্ট্রদূত জন কেরি বলেন, শক্তির অন্যান্য সব উৎসের চেয়ে এটি অন্যতম বিকল্প হতে চলেছে। তবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশে কার্বনের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনাও সম্ভব নয়। এটি বিজ্ঞানভিত্তিক বাস্তবতা, এতে কোনো রাজনীতি বা মতাদর্শ জড়িত নয়।
দুবাইয়ে গত ৩০ নভেম্বর থেকে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ-২৮) শুরু হয়েছে। তা চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১৩ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ১৯৮টি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
কপ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ সব শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে নিজ দেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রণয়ন করা হয়নি।
গত বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হবে।
২০২২ সালের ৫ অক্টোবর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘এই বছরের ডিসেম্বরে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে এবং এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন খাত একটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত, পর্যটন মাস্টারপ্ল্যানটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাপরিকল্পনার খসড়া প্রস্তুত রয়েছে। স্টেকহোল্ডাররা তাদের অনুমোদন দিলেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
বাংলাদেশ মনিটরের (একটি ভ্রমণ বাণিজ্য প্রকাশনা) সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম অবিলম্বে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘পর্যটন উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়। শিগগিরই একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ভিসা জটিলতার মতো সমস্যাগুলো মাস্টারপ্ল্যানে সমাধান করা দরকার।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো সময়োপযোগী পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প আমলাতান্ত্রিক এবং বিশৃঙ্খলভাবে কাজ করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোনো পর্যটন পেশাদার নেই।’
তিনি পর্যটকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) মহাসচিব তৌফিক রহমান আরও ভালো আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের জন্য বলেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, মহাপরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্টেকহোল্ডারদের মতামত নিচ্ছি। আমরা তাদের পরামর্শগুলো সামঞ্জস্য করার পরে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
‘পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে তা জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে ‘ বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যটন খাতের তত্ত্বাবধানের জন্য প্রতিটি জেলায় পাঁচজন অতিরিক্ত জেলা কমিশনারের মধ্যে একজনকে নিয়োগ করার কথা বিবেচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন যে সরকার পর্যটকদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য কাজ করছে।
দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবালের সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ৩০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চুক্তি সই করেছে। মাস্টারপ্ল্যানের কার্যক্রম ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবং ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এটি সময়মতো সম্পন্ন হয়নি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। ভ্যাট এবং এআইটি সহ মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
১ বছর আগে
চাহিদা ভিত্তিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের তাগিদ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বর্তমান চাকরির বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতি গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি (মানসম্মত শিক্ষা) অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মেধা বিকাশের প্রধান মাধ্যম।
আরও পড়ুন: শিশুদের সৃজনশীল কাজে নিয়োজিত করুন, অভিভাবকদের প্রতি রাষ্ট্রপতি
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণাকে গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঠদানে নিজেকে নিবেদিত করতে এবং মনে রাখতে বলেছিলেন যে ‘আনন্দ ব্যতীত শিক্ষা কোনও সুফল বয়ে আনতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবিত নতুন ধারণা এবং কৌশলগুলোকে শোষণ করে নিজেদেরকে সময়োপযোগী রাখতে হবে।’
হামিদ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (আইটি) দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
ডিগ্রি অর্জনের জন্য স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাদের মনে রাখার পরামর্শ দেন যে, ‘শিক্ষা শুধু ডিগ্রি অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, একজন শিক্ষার্থী কীভাবে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে এর সদ্ব্যবহার করতে পারে তার ওপর একজন স্নাতকের প্রকৃত সাফল্য নির্ভর করে।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দা থেকে দেশকে বাঁচাতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে হবে। রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সেটি করা উচিত।’
রাষ্ট্রপতি গ্রাজুয়েটদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রস্তুতি নেয়ারও পরামর্শ দেন।
এ উপলক্ষে ৩৬ জন স্নাতককে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং ২৯ জন ‘ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ প্রদান করা হয়।
ষষ্ঠ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সেনাপ্রধান (সিএএস) জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিইউপির ভাইস-চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং বিইউপি’র প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
১ বছর আগে