আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)
কক্সবাজারে আরসার ৩ সন্দেহভাজন অস্ত্র সরবরাহকারী আটক
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের অস্ত্র সরবরাহকারী তিন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মোক্তার আহমদ (৫২), আব্দুর রহিম (৪০) ও মো. এনামুল হক (৩৮)। তারা মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
র্যাব-১৫ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বড় ভেউলা লাল ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি এক নলা ও একটি দোনলা বন্দুক এবং অস্ত্র বিক্রির নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মোক্তার আরসার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা সাইফুল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা স্বীকার করেছে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলা এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সদস্যসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল।
তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) ছয় সদস্যকে আটকের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহষ্পতিবার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নার ঘোনা শিবির থেকে তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ময়নার ঘোনা শিবিরের রোহিঙ্গা আবুল ফয়েজ-এর দোকানের সামনে সিঁড়ির ওপর অস্ত্র-গুলিসহ আরসা সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে যৌথ অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানের সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরসা’র সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
আটক আরসা সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ আরব (২৪), মোহাম্মদ নূর (৩১), মোহাম্মদ ইউনুছ (৩৩), হারুন (২৮), হাফিজুল আমিন (২৫) ও হামিদ হোসেন (২২)।
তিনি আরও বলেন যে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আরবের কাছ থেকে দেশীয় বন্দুক ও অন্য দুই জনের কাছ থেকে তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা অবৈধ দেশীয় অস্ত্র-গুলি দিয়ে শিবির এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং বিভিন্ন সুবিধাদি আদায়ের লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার জন্য ওই স্থানে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
১ বছর আগে