বেকসুর খালাস
সাইবার মামলায় খুলনার ২ সাংবাদিক বেকসুর খালাস
দীর্ঘ ছয় বছর পর সাইবার মামলায় খুলনা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবুকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হলো।
আসামিপক্ষের আইনজীবী চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ রায় যুগান্তকারী। সিএমএম আদালতের নির্দেশেই মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছিল। এখানে সাংবাদিকদের সংবাদ যে সঠিক ছিল সেটাই প্রমাণিত হলো।’
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
অপর আইনজীবী অচিন্ত কুমার বলেন, ‘সংবাদপত্রের কাজ সত্য তুলে ধরা। যে সংবাদের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, সেটি অতিউৎসাহী হয়ে করা হয়েছিল। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন পিপি এম সাজ্জাদ হোসেন ও এপিপি রোকেয়া খানম।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমরা খুশি। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২০১৭ সালের ১৮ মে কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় ‘দৈনিক সময়ের খবর’- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বোর্ড সভাপতি অতিরিক্ত সিএমএম পদত্যাগপত্র জমা দিলে ১৯ মে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন মহানগর দায়রা জজ। এছাড়া সিএমএম আদালতে একটি চেকের মামলার রায়ের সংবাদ ২২মে একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই দু’টি সংবাদকে মিথ্যা ও ভুল আখ্যা দিয়ে খুলনার (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’র নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদী হয়ে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় ২০১৭ সালের ১৪ জুন ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. আফাজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মোট ১২জন সাক্ষীর ১২ জনই আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনাল অব্যহতি প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
১ বছর আগে