মিলন
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মিলনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুই জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুল হক ওরফে মিলনের (২৮) মৃত্যু হয়।
আনিসুল ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে। এ নিয়ে গত শুক্রবার সকালে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন। তারা সবাই ফেনী জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহতের ছোট ভাই রিমন মিয়াজী বলেন, তাদের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে আনিসুল ছিলেন সবার বড়। তারও (রিমন) দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথাবার্তা চলছিল। একমাত্র উপার্জনক্ষম আনিসুলের পাঠানো টাকায় তাদের পরিবার চলত। ছোট বোনের বিয়েও হয়েছে তার পাঠানো টাকায়।
তিনি আরও বলেন, এর আগে একবার দক্ষিণ আফ্রিকায় তার ভাই সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা বাহার মিয়া কথা বলতে পারছেন না। লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছে আনিসুলের পরিবার।
রিমন আরও বলেন, আমার বড় ভাই মিলন গত কয়েক দিন আগে খালাতো বোনের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু নতুন বউকে ঘরে তোলা হলো না। করোনা ও কাগজপত্র ঠিক করাসহ নানা কারণে তার দেশে ফেরা বিলম্বিত হয়।
এছাড়া শুক্রবার দেশে আসার জন্যই তিনি বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন। অন্যরাও তার সঙ্গে প্রাইভেটকারে ছিল। দেশে ফিরে তার বিয়ের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। এ জন্য তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিয়ের অনেক বাজারও করেছিলেন।
এ দুর্ঘটনায় নিহত অন্য পাঁচজন হলেন-
ফেনী সদর উপজেলার বিরলী গ্রামের ঈসমাইল হোসেন (৩২), দাগনভূঞার মমারিজপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ (৩৪), দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল (৪০), সোনাগাজীর দক্ষিণ চর মজিলিশপুর গ্রামের আবুল হোসেন (৪২) ও তার ছেলে নাদিম হোসেন (১০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
১ বছর আগে