পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ১ ও ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ সহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন বলেন, তিনি এই মুহূর্তে সবার নাম বলতে পারছেন না তবে ফ্রান্স, সুইডেন ও ভারত ছাড়াও আরও দুই থেকে তিনটি দেশের প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার বৈঠক রয়েছে।
জি২০-এর ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কোনো পরিকল্পিত বৈঠক আছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, মার্কিন পক্ষের আমন্ত্রণে তিনি এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন যেখানে তিনি বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ১ মার্চ নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে ১ মার্চ নয়াদিল্লি যাবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ২ মার্চ জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইউকে'র আয়োজনে ইলফোর্ডে মাতৃভাষা পথ-উৎসব
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ১ থেকে ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে তিনদিনের ভারত সফর করবেন।
জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বহুপক্ষীয়তা জোরদার করা এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মাদকবিরোধী, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগে ত্রাণ এবং লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেয়া হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সভাপতিত্বে জি২০-এর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (এইইউ) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ভারত তার সভাপতিত্বে এ বছর সারা দেশে ২০০টিরও বেশি জি২০ বৈঠকের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করছি।
আরও পড়ুন: দূতাবাস চালু হলে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে: সফররত মন্ত্রীর আশা
জি-টোয়েন্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বিষয়ে মোমেন বলেন, যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করা এবং এসডিজির যথাযথ বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশ তাদের মতামত ও পরামর্শ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করব। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
জি২০ নেতারা ছাড়াও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাইদ হুসেইন খলিল এল-সিসি, মৌরিতানিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটো, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি, ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান হাইথাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কৌশলগত’ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কাজ করবে ঢাকা-জাপান
১ বছর আগে