নতুন টিকিটিং
আন্তঃনগর রেলসেবায় নতুন টিকিটিং ব্যবস্থা চালু
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা একাধিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতদিন টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে অভিযোগ ছিল তা থেকে বের হওয়ার জন্য ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি যা আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হচ্ছে।
রেলমন্ত্রী কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে ও স্মার্ট রেলওয়ে গঠনের অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থার চালু করা ও টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস মেশিন হস্তান্তর উপলক্ষে এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে এবং কোনো প্রকার কালোবাজারি ছাড়াই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারে সেটি করার জন্যই আমরা টিকিটে জাতীয় পরিচয়পত্র সংযোজন করেছি।’
আরও পড়ুন: যাত্রী সেবা বৃদ্ধি করাই রেলসেবা সপ্তাহ পালনের মূল লক্ষ্য: মন্ত্রী
তিনি বলেন যে এটিই শেষ নয়, প্রয়োজনে আমরা আরও সংস্কার করবো যাত্রীসহ সকলের মতামত নিয়ে।
তিনি উল্লেখ করেন, মূল বিষয় হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকিট ক্রয় করা যাবে না এবং কেউ ভ্রমণ করতে পারবে না। এখন শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে লোকাল ট্রেনেও এটি কার্যকর করা হবে। আমরা অনলাইনে ৫০ শতাংশ এবং কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে থাকি।
মন্ত্রী এ সময় আরও উল্লেখ করেন, এখন থেকে অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করলে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া টিটিইদের কাছে পস মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করবে এবং এ টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হবে। টিটিইদের বিরুদ্ধে এতদিন যে অভিযোগ ছিল টাকা সরকারি খাতে জমা না দেয়ার সেটাও এর মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা একসঙ্গে একশ’ পস মেশিন হস্তান্তর করেছি এবং যারা এগুলো চালাবেন তাদেরকে ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
এছাড়া আরও একটি সুবিধা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে- অনলাইনে টিকিট বাতিলের জন্য আর কাউন্টারে যেতে হবে না। আজ থেকে অনলাইনেই টিকিট বাতিল করা যাবে।
মন্ত্রী জানান তিনি কাউন্টার পরিদর্শন করলে যাত্রীদের মধ্যে এ বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা যাত্রীদের জন্য আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এনআইডির তথ্য পাচারের কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেছি। যতটুকু দরকার ততটুকু তথ্যই আমরা নেব এবং মূল সার্ভারের সঙ্গে তথ্যগুলো যুক্ত থাকবে।
পরে মন্ত্রী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে এ বিষয়টা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু
১ বছর আগে