টিকটক ভিডিও
কুড়িগ্রামে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তায় ডুবে প্রাণ গেল কিশোরের
কুড়িগ্রামে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তা নদীতে ডুবে সোহাগ নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে রাজারহাটে তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আরও পড়ুন: রাজশাহী নগরীতে দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ তরুণ নিহত
নিহত সোহাগ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোহাগ তার ফুফাতো বোনকে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানানোর উদ্দেশ্যে তিস্তা নদীতে গোসল করতে নামে। এ সময় সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল।
গোসলের এক পর্যায়ে অন্যরা নিজেদের মতো তীরে এলেও সোহাগকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় তার বন্ধুরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ২ ঘণ্টা পর তিস্তা নদী থেকে সোহাগের লাশ উদ্ধার করে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান তিস্তা নদী থেকে সোহাগ নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অভয়নগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত আ. লীগের ৩ নেতা
৮ মাস আগে
লালমনিরহাটে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা-মহিপুর সড়কে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় দুই বন্ধু ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) রাত ১১টার দিকে গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লালমনিরহাটের কাকিনা ইউনিয়নের রুদ্রেশ্বর গ্রামের সাহিদুল মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (১৮) ও একই গ্রামের আজির আলীর ছেলে শাহা আলম (১৭)।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে তিন বন্ধু তিস্তা সেতুতে চলন্ত মোটরসাইকেলে টিকটক করতে থাকে। এ সময় রংপুর থেকে বুড়িমারী যাওয়ার পথে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে।
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে দুইজন মারা যান। অপর যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরররা (তদন্ত) হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি, যুবকের অর্থদণ্ড
১ বছর আগে
ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিহত ১
সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত আরও শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় ভাসখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। এছাড়া সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতকের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সুরমা ব্রিজে দুই তরুণী ঘুরতে যান। এ সময় দুই তরুণী ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভাসখলা গ্রামের কয়েকজন তাতে বাধা দেন। এর মধ্যে মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন তরুণও সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দুই গ্রামের তরুণরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।
এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ২৯, আহত ৮৫
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
১ বছর আগে