স্মার্টফোন
আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে ব্যবহৃত বস্তুটি হওয়ায় ক্রমশ মূল্যবান হয়ে উঠছে স্মার্টফোনগুলো। বিশেষ করে পুনঃবিক্রয় মূল্য এবং জনপ্রিয়তার কারণে রীতিমতো সম্পদতুল্য বস্তু আইফোনগুলো। তাই ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফোনগুলো চুরি হওয়ার পরিমাণ। এই সমস্যার নিরসনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের রয়েছে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। এই প্রতিরক্ষামূলক ফিচারগুলো চুরি করা ডিভাইস ব্যবহার বা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যবহারকারীর ডেটাগুলোর চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। চলুন, আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের কয়েকটি কার্যকরী ফিচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আইফোন চুরি প্রতিরোধে কয়েকটি কার্যকরী নিরাপত্তা ফিচার
.
অ্যাক্টিভেশন লক
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অ্যাপলের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বা ক্লাউড সার্ভিসটি আইক্লাউড নামে পরিচিত। এখানে আইফোনকে একটি অনন্য অ্যাপল আইডির সঙ্গে লিংক করা হয়। যখন ডিভাইসে থাকা ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারকে সক্রিয় করা হয়, তখন তার সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায় অ্যাক্টিভেশন লক। এর ফলে চুরির পর ডিভাইসটি পুরো ফর্মেট দেয়া বা রিসেট করা হলেও, আসল মালিকের অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ছাড়া ফোন খোলা যাবে না। সঙ্গত কারণেই কল করা বা এসএমএস পাঠানোসহ বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের মতো কাজগুলো করা সম্ভব হবে না। এতে করে বিক্রয়ের জন্য একের পর এক হাত বদল হলেও প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়ে ফোনটি আর বিক্রয় উপযোগী থাকে না।
ফেস ও টাচ আইডি
মুখের ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ আইফোন আনলক করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায়গুলোর শীর্ষে রয়েছে। এখান ফেস আইডি মূলত উন্নত ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য একটি অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করে। বিষয়টি টাচ আইডির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেখানে আঙ্গুলের ছাপও প্রতিটি মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই কোনোভাবে পিন কোড বা পাসওয়ার্ড যোগাড় করা সম্ভব হলেও এই বায়োমেট্রিক তথ্যগুলোর অভাবে ফোনটি আনলক করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
টপ লোড বনাম ফ্রন্ট লোড ওয়াশিং মেশিন: জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ
ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক
অ্যাপলের এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থাটি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আইফোন খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। এমনকি অফলাইনে থাকলেও এই ট্র্যাকিং সিস্টেমটি চালু থাকে। অবশ্য এখানে ব্লুটুথ অন থাকার প্রয়োজন হয়। ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক প্রধানত কাছাকাছি থাকা অ্যাপল ডিভাইসের ব্লুটুথ সংকেত ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনের অবস্থান চিহ্নিত করে। এই বেনামী ও এন্ক্রিপ্ট করা সংকেতগুলো চোরের অলক্ষ্যেই ফোনের অবস্থানটি আসল মালিককে জানিয়ে দিতে পারে।
দূর থেকে ডেটা মুছে ফেলা
এখানে আগে থেকে আইফোনে ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপটি চালু বা আইক্লাউডের সঙ্গে ফোনকে লিংক করে রাখতে হয়। এতে করে পরবর্তীতে চুরি হলে ব্যবহারকারীরা দূর থেকেই ডিভাইসে থাকা যাবতীয় সংবেদনশীল তথ্য মুছে ফেলতে পারে। ফলে কোনোভাবে ফোনের নিরাপত্তা বূহ্য ভাঙা সম্ভব হলেও ফোনের আসল মালিকের গোপনীয়তাগুলো প্রকাশিত হয় না। ফোনের ডেটা নিয়মতি আইক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা হলে, ডিভাইস পুনরুদ্ধারের পর সেই মুছে ফেলা তথ্যগুলোও ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ)
পিন কোড বা পাসওয়ার্ডের ওপর নিরাপত্তার অতিরিক্ত স্তর যোগ করে এই টুএফএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে অ্যাপল আইডিতে সফলভাবে সাইন ইন করার জন্য ডিভাইসে নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। ফলে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে যাওয়ার পরেও যাচাইকরণ কোড ছাড়া অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এই পদ্ধতিটি আইক্লাউড ও আইটিউন্সসহ অন্যান্য অ্যাপল পরিষেবাগুলোকে অননুমোদিত লগইন থেকে বিরত রাখে।
মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিকিউর ইন্ক্লেভ
বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি তথ্যচুরির মতো সাইবার অপরাধগুলোতেও ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে প্রায় ক্ষেত্রে পেশাদার হ্যাকারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীরা। এই পেশাদার চৌর্যবৃত্তি থেকে সাধারণ আইফোন ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা দিতেই ডিজাইন করা হয়েছে সিকিউর ইন্ক্লেভের। এটি অনেকটা ব্যক্তিগত লকারের মতো কাজ করে, যেখানে সংরক্ষিত থাকে ফেস আইডি, টাচ আইডি এবং অ্যাপল পে-এর মতো বায়োমেট্রিক তথ্যাদি। প্রত্যেকটি গোপনীয় তথ্য এখানে এমনভাবে এন্ক্রিপ্ট করা থাকে যে আপাত অবস্থায় এগুলোকে কোনো পাসকোড বলে মনে হয় না। ফলে হ্যাকিংয়ের জন্য এগুলো খুঁজে বের করাটাই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। অবশ্য এই প্রচেষ্টাটি একেবারে ব্যর্থ হয় না; তবে তাতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর এই সময়টি অ্যাপলের ট্র্যাকিং সিস্টেম কাজে লাগিয়ে ফোনের অবস্থান শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট।
পরিশিষ্ট
আইফোন চুরি প্রতিরোধে এই নিরাপত্তা ফিচারগুলো সামগ্রিকভাবে ডিভাইসের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। অ্যাক্টিভেশন লক, টুএফএ, এবং ফেস ও টাচ আইডি আইফোনকে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। অপরদিকে ফাইন্ড মাই নেটওয়ার্ক ও রিমোট ডেটা ইরেজ ফোন চুরির পরেও ডেটা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো ফিচারই আইফোন এক্স ও এর পরবর্তী মডেলগুলোতে পাওয়া যায়। তবে টাচ আইডি আইফোন ৬ থেকে ৮ এবং আইফোন এসই-এর ২য় প্রজন্ম ও তার পরবর্তী মডেলগুলোতে রয়েছে। উপরন্তু, সিকিউর এন্ক্লেভ ফিচারটি রয়েছে আইফোন ৫এসসহ তার পরবর্তী ভার্সনগুলোতে।
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
১ মাস আগে
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
টেক জায়ান্ট গুগল ২০২০ সালে নিজেদের যোগাযোগ পরিষেবা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সুবিধা হিসেবে চালু করে স্থানভিত্তিক ভূমিকম্প-অ্যালার্ম। প্রথম দিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক চালু হলেও ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকেও এই প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকরাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। বেশ আগে থেকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস না দিলেও স্মার্টফোনের এই অ্যালার্ম সিস্টেমটি দুর্যোগকালে তাৎক্ষণিকভাবে সাবধান করতে পারে। চলুন, স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় করার পদ্ধতিটি জেনে নেওয়া যাক।
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করার পদ্ধতি
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমেই স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করার জন্য মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই অন করে নিতে হবে। সেই সাথে ‘লোকেশন’ও অন করে নেওয়া আবশ্যক।
ইন্টারনেট ও লোকেশন কার্যকর হওয়ার পর চলে যেতে হবে ফোনের 'সেটিংস' অপশনে। নতুন যে স্ক্রিনটি আসবে সেখানে থেকে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’। এই অপশন নিয়ে যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ শিরোনামের একটি স্ক্রিনে। সেখান থেকে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অন করে দিলেই সক্রিয় হয়ে যাবে ভূমিকম্প সতর্কীকরণ ব্যবস্থা।
এই স্ক্রিনের নিচের দিকে আরও রয়েছে ‘ডেমো’ ও ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’। ‘ডেমো’তে গেলে ভূমিকম্পের সময় স্মার্টফোনটি ঠিক কীভাবে সাবধান করবে তার একটা মহড়া দেখা যাবে। এখানে অ্যালার্মের রিংটোনটি বেজে ওঠে এবং ভূকম্পনের মাত্রা ও দূরত্ব জানানোর পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়গুলো সংক্ষেপে প্রদর্শিত হয়।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে: গণপূর্তমন্ত্রী
আর ‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’ অপশনটি ভূমিকম্পকালীন সময়ের জন্য নয়। ভূমিকম্পের সময় তাৎক্ষণিকভাবে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এই অপশন থেকে তা আগে থেকে জেনে রেখে সতর্ক থাকা যাবে।
‘লার্ন আর্থকোয়্যাক সেফটি টিপস’-এ ক্লিক করলে সরাসরি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে যাওয়া হবে। গুগলে নির্দিষ্ট কোনো কিছুর ব্যাপারে জানতে হলে গুগল সার্চ বক্সে সেই বিষয়টি টাইপ করতে হয়। কিন্তু এই ফিচারটি টাইপ করা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আর্থকোয়্যাক সেফটি ইনফরমেশন’-এর জন্য ফলাফল দেখাবে। সেখান থেকে ভূমিকম্পকালীন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
সাধারণত গুগল প্লে স্টোর বা অ্যান্ড্রয়েড মডেল সমর্থিত অধিকাংশ ফোনেই এই ধাপগুলো প্রায় একইরকম থাকে। তবে কোনো কোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ‘সেটিংস’-এ ‘সেফটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি’ অপশনটি নাও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিচারটি পাওয়া যেতে পারে ‘লোকেশন’-এ। অর্থাৎ ফোনের ‘লোকেশন’ অন করার পর ‘সেটিংস’-এ আর ফিরে আসতে হবে না। ‘লোকেশন’ স্ক্রিনেই আরও নিচে স্ক্রল করে সরাসরি পাওয়া যাবে ‘আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট’ অপশনটি।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই সুবিধাটি অ্যান্ড্রয়েড-৫ বা তার উপরের সংস্করণের ফোনগুলোর জন্য। এর মধ্যে আবার অ্যান্ড্রয়েড-১২-এর নিচের সংস্করণগুলোর জন্য আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম অন করার প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
আইফোনের ক্ষেত্রে
অ্যাপলের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের ফোনের ‘সেটিংস’ থেকে যেতে হবে ‘নোটিফিকেশন’-এ। তারপর নতুন স্ক্রিনটিতে স্ক্রল করে খুঁজে বের করতে হবে ‘ইমারজেন্সি অ্যালার্ট্স’। এই অপশনটি টগল্ করার সাথে সাথেই সক্রিয় হয়ে যাবে আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম।
আরো পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
এই সতর্কতা ব্যবস্থাটি কীভাবে কাজ করে
গুগলের আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ট সিস্টেম নির্দিষ্ট দূরত্বে ভূপৃষ্ঠের কম্পন যাচাই করে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে থাকে। ভূ-কম্পন যাচাইয়ের জন্য গুগলের কেন্দ্রীয় সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে ভূমিকম্পের তথ্য সংগ্রহের। এর জন্য গুগল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে থাকা অ্যাক্সিলারোমিটার ব্যবহার করে। এটি এমন এক সেন্সর যেটি তাৎক্ষণিভাবে ভূ-ত্বকের কম্পন এবং ভূপৃষ্ঠের ওপর স্থির কোনো স্থাপনার কম্পন শনাক্ত করতে পারে।
আর্থকোয়্যাক অ্যালার্ম চালু থাকা অবস্থায় এরকম কোনো কম্পন ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সরাসরি গুগলের সার্ভারে তথ্য পাঠাতে থাকে। এভাবে নির্দিষ্ট এলাকার অনেকগুলো ফোন থেকে একই সময়ে ভূ-কম্পনের তথ্য পেলে গুগল সার্ভার বুঝতে পারে যে ভূমিকম্প হচ্ছে। একই সাথে সার্ভারটি ভূ-কম্পনের উৎপত্তিস্থল থেকে ফোনগুলোর দূরত্ব এবং ভূমিকম্পের মাত্রাও হিসাব করে নিতে পারে।
সংগৃহীত তথ্যগুলো প্রক্রিয়াকরণের পর সার্ভার ভূমিকম্পের কাছাকাছি থাকা প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সতর্কতা পাঠিয়ে দেয়। ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর পাঠানো এই সতর্ক সংকেত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১/ বি অ্যাওয়ার
২/ টেক-অ্যাকশন
আরো পড়ুন: জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙ্গে ভূমিকম্প সহনীয় করার পরিকল্পনা
বি অ্যাওয়ার সংকেত
রিখ্টার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ পর্যন্ত থাকলে এই সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়। ফোনের ভাইব্রেশন, ভলিউম ও ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ সেটিংসের মাধ্যমে জানানো হয় এই অ্যালার্ট।
টেক অ্যাকশন সংকেত
ভূমিকম্পের মাত্রা যখন ৪ দশমিক ৫ ছাড়িয়ে যায়, তখন দেয়া হয় এই অ্যালার্ট। ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ফিচার বন্ধ হয়ে ফোনের সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে প্রদর্শিত হয় এই সংকেত। এ সময় উচ্চ স্বরে একটানা বাজতে থাকে ফোনের নোটিফিকেশন সাউন্ড।
পরিশিষ্ট
স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু থাকলে জরুরি অবস্থার সময় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফিচারটি ব্যবহারের জন্য অপারেটিং সিস্টেমের ভার্সনটি ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড-৫ হওয়া আবশ্যক। এর ওপরে অ্যান্ড্রয়েড-১২ পর্যন্ত অ্যালার্ম ব্যবস্থা সক্রিয় করার ইন্টারফেস কিছুটা ভিন্ন হবে। তবে অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন যেটাই হোক না কেন, প্রতি ক্ষেত্রে এই অ্যালার্ম চালু রাখার জন্য ফোনের লোকেশন অবশ্যই ‘অন’ রাখতে হবে। সেই সাথে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ থাকাও জরুরি।
আরো পড়ুন: বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
৪ মাস আগে
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
এই সিরিজে থাকছে দুটি মডেল- ইনফিনিক্স নোট ৪০ এবং ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।
ইনফিনিক্সের নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং।
অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ এর আওতায় ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেওয়া সম্ভব হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিং প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ইনফিনিক্স।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করতে পারবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি।
নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজের সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামক ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এছাড়াও নোট ৪০ এর সাথে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রো এর সাথে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।
ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় অসাধারণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১-এর সক্ষমতা ২০৪% বেশি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর।
সারাদিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।
৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে মাত্র ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ হবে এই ফোন।
এছাড়াও নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।
ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এই সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। আর নোট ৪০ প্রো-তে আছে বেজেল-বিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।
প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।
ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ।
এছাড়াও ফোনে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।
৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রো-এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা।
ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।
অন্যদিকে, ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।
১ এপ্রিল থেকে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রি আরও নিরাপদে স্থানান্তর যেভাবে করবেন
৮ মাস আগে
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
কারিগরি দিক থেকে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন কেনার সময় সিদ্ধান্তে গ্রাহকের ব্যক্তিগত পছন্দ যুগপৎ ভূমিকা রাখে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে ব্র্যান্ডের নিজস্বতা এবং মূল্য সংযোজন পরিষেবার ভিত্তিতে বিশেষায়িত হয় ফোনের নির্ভরযোগ্যতা। আর এখানেই প্রশ্ন আসে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার। ব্যয়কৃত অর্থের বিনিময়ে সঠিক সেবাটি মিলছে কিনা, এখানে সেটিই মুখ্য বিষয়। হোক সেটা দামি ফ্ল্যাগশিপ অথবা মিডরেঞ্জার; সবক্ষেত্রেই মূল্যের ন্যায্যতা যাচাই আবশ্যক। তবে প্রথম সারির ব্র্যান্ডের ফোনগুলো স্বভাবতই একটু সংবেদনশীল। কেননা এর সঙ্গে জড়িত থাকে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে চলুন ফ্ল্যগশিপ ফোনগুলো কেনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা
অনন্য গুণগত গঠন
শক্তিশালী ও টেকসই গঠন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। গ্লাস এবং ধাতুর মতো মানসম্পন্ন অনেক উপকরণ এগুলোকে মসৃণ ও আকর্ষণীয় লুক দেয়। এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত যে কোনও ধাক্কায় প্রতিরোধী হওয়ায় এগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি এই গুণাগুণের ধারা বজায় রেখে ফোনের নতুন মডেলগুলোকে আরও উন্নত করা হয়।
নিয়মিত হালনাগাদকৃত সফটওয়্যার
যুগোপযোগী প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটা যে কোনও স্মার্টফোনের প্রদামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধাতি গ্রাহকের নির্ভরতা ও আগ্রহ বাড়ায়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেমসহ এর সঙ্গে সম্পর্কিত ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপগ্রেড ফোনকে উন্নত প্রযুক্তির জন্য সহায়ক করে তোলে। এতে ফোনের ব্যবহার আরও সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে অটুট থাকে ফোনের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোও।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো চালুর পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সফটওয়্যার আপগ্রেড সরবরাহ করে।
ভাল হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যারের দিক থেকে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বিশ্ব জুড়ে সর্বস্বীকৃত। প্রসেসর, স্ক্রিন, র্যাম, ক্যামেরা, এবং স্টোরেজ-এর বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ ফোন খোঁজা হলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর নামই আসবে। ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই হার্ডওয়্যারগুলোর সন্নিবেশ ঘটিয়ে থাকে।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি
শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়; প্রথম সারির ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিক্রি-পরবর্তী পরিষেবার প্রতিও বেশ যত্নশীল। এই গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টির জন্যই মূলত নির্ভরতার জায়গাটি তৈরি হয়। এতে হঠাৎ কোনও সমস্যা হলে তার সমাধান নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। কেননা তারা জানেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ কর্মীরা নিবেদিত রয়েছেন।
যারা ঘন ঘন মোবাইল ফোন পরিবর্তনের বিড়ম্বনায় পড়তে চান না তাদের জন্য এই ব্র্যান্ডগুলো এক বিশাল কমফোর্ট জোন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রিসেলিং বা এক্সচেঞ্জের সময় ভালো দাম পাওয়া
দীর্ঘ দিন ধরে বাজার ধরে রাখা ও মৌলিকতা এই ফোনগুলোতে কিছুটা অ্যান্টিক আবহ সংযোজন করে। ফলে অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় এগুলোর ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট বা অবচয় খরচ অনেক কম থাকে। তাই অনেক দিন ব্যবহারের পরেও বিক্রি বা বিনিময় করে অন্য ফোন কেনার সময় বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। এই রিসেলিং মূল্যের কারণে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে দামি ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হন।
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার অসুবিধা
গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার অন্তরায়
উচ্চ-মানের ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগকারীদের এই পরিধিটা বেশ সংকীর্ণ। স্বভাবতই এগুলোর দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশচুম্বী হতে থাকে। তাই সেই সীমিত শ্রেণীর বাইরে পড়ে যান বাজেট ফোন ক্রেতা থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তি উৎসাহীরা। প্রায়ই দেখা যায় নতুন কোনও সিরিজ চালু করার সময় তাতে নতুন প্রযুক্তির ফিচার যোগ করা হয়। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ গতিশীল হয়ে ওঠায় প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন ফাংশনের আগমন ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এগুলোর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যস্ত হওয়া মানেই বিশাল খরচের ধাক্কা।
একই ফিচারের উৎকৃষ্ট বিকল্প
নিজস্বতা এবং মৌলিকতাকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র ব্যবহারের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বেশ বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো। অপারেটিং সিস্টেম, ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারসহ যাবতীয় উন্নত সুবিধা এখন কম দামের ফোনেই পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দমতো উচ্চ রেজুলেশনের সেলফি থেকে শুরু করে প্যানোরামা শট সবকিছু নেয়া যায়। শুধু তাই নয়, ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করে তা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট করা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
স্ট্যান্ডার্ডের নিচে ক্যামেরা-সম্বলিত মোবাইল ফোন এখন বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে। বিগত ৫ বছরে মিডরেঞ্জের ফোনগুলোতে ক্যামেরা এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা দিয়ে যে কোনও পেশাদার ভিডিও কন্টেন্ট বানানো সম্ভব। বর্তমানে ফটোগ্রাফি উৎসাহীদের এই সেরা পছন্দগুলো ফ্ল্যাগশিপ সেটগুলোর মতোই কাজ করতে পারে। ফলশ্রুতিতে, দামি ব্র্যান্ডের ফোন কেনা আসলেই লাভজনক কিনা- তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক করে।
ব্যাটারি বিড়ম্বনা
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কল করা, বার্তা পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা, ভিডিও স্ট্রিমিং, ছবি তোলা, গান শোনা এবং গেম খেলা। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামের স্মার্টফোনটিতেও এর সবগুলোই সম্ভব। মিডরেঞ্জের ফোনগুলো এই অভিজ্ঞতার উদ্দীপনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
তবে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও রেকর্ড ও গেম খেলার মতো ভারী কাজগুলোর বেলায় সর্বাধিক চাপ পড়ে ব্যাটারির উপর। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাটারি তেমন বেশি সময় স্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
অন্যদিকে ফ্ল্যাগশিপের ফোনগুলোর ব্যাটারি অনেক ক্ষণ ব্যাক-আপ দেয়। কেননা এগুলোর ক্ষমতা থাকে বেশি, সেই সঙ্গে এগুলোর আকারও বেশ বড়। একারণে এগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও থাকে। বিশেষ করে কোনও কাজে ফোন খুলে ব্যাটারি বের করায় দুর্ঘটনাজনিত আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা দূর করতেই অধিকাংশ ব্র্যান্ডগুলোতে এখন আর রিমুভেবল ব্যাটারি দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন দিক থেকে এটি সুবিধাজনক হলেও একটা বড় সমস্যা থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ফোনগুলো আগের তুলনায় কম মেরামতযোগ্য হবে। অর্থাৎ একবার কোনও ত্রুটি ধরা পড়লেই পুরো ফোন পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে। আর যেগুলোতে রিমুভেবল ব্যাটারি রয়েছে সেগুলোতে নিরাপত্তার ঝুঁকি তো থাকছেই।
ফোনের সঙ্গে চার্জার সরবরাহ না করা
পণ্যকে পরিবেশবান্ধব করা এবং ফোনের বাক্সের আকার ছোট ও হাল্কা করা। মূলত এই দুই কারণে প্রথম সারির ফোন কোম্পানিগুলো পাওয়ার অ্যাডাপ্টার বাদ দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক কৌশলটি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যাহত থাকা ফোনের স্ট্যান্ডার্ডকে বিনষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
কেননা প্রথমত, কেনার সময় যে চার্জারটি দেওয়া হয় সেটি ফোনের জন্য নিক্ষুঁতভাবে সঙ্গতিপূর্ণ করা থাকে। এটি ছাড়া গ্রাহকরা বাইরে অন্য কোথাও থেকে নতুন কোনও চার্জার কিনলে তা ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। এখনকার ফোনগুলোতে সাধারণভাবেই ফাস্ট চার্জিং প্রয়োজন হয়। ধরা যাক, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং-এর কোনও ফোনে ১৫ ওয়াটের খুব ভালো কোনও চার্জার দিয়ে চার্জ করা হলো। এখানে চার্জার ভালো হওয়ায় কোন ত্রুটির আশঙ্কা না থাকলেও ফোন চার্জ হতে অনেক সময় লেগে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আলাদাভাবে একটি ফাস্ট চার্জার কেনা হলে সেটিও একটি বাক্সেই আসবে। তাই কার্বন নির্গমন এবং বর্জ্য তৈরির সম্ভাবনা এখানেও থেকে যাচ্ছে।
মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট না থাকা
স্বনামধন্য স্মার্টফোনগুলোর স্ট্যান্ডার্ডগুলোর মধ্যে আরও একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। স্মার্টফোনের ভেতরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর জায়গা সংকুলানের জন্য এই স্লটটিও বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে দামি ফোনগুলোর কেনার পরে আলাদাভাবে এক্সটারনাল স্টোরেজ কিনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর জন্য ১২৮ জিবি (গিগাবাইট) বিল্ট-ইন বা ইন্টারনাল স্টোরেজই যথেষ্ট। কিন্তু গেম খেলা, সিনেমা ডাউনলোড করে দেখা, এবং ছবি ও ভিডিও সম্পাদনের জন্য আরও বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকা অবস্থায় কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন কাজের নিশ্চয়তা দেয় মাইক্রোএসডি কার্ড।
পরিশিষ্ট
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার এই সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ফোনের মূল্যের ন্যায্যতা যাচাইয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। খুব সংকীর্ণ শ্রেণী হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর ক্লাসিক নকশায় গ্রাহকদের একরকম কমফোর্ট জোন থাকে। এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে- দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটির ব্যবহার যোগ্যতা, যেটি প্রাধান্য পায় বাজেটনির্ভর ফোন ক্রেতাদের কাছেও।
অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে ফ্যাশন সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত হয় উন্নত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ ও মিডিরেঞ্জারগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ গন্তব্য থাকে ফোন ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা। এখানে চূড়ান্ত ফলাফল গড়ে দিতে পারে ব্যবহার-পরবর্তী রিসেলিং ভ্যালু এবং কেনার মূহুর্তে ফোনের সঙ্গে থাকা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
৯ মাস আগে
ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ফ্যান ও ব্যবহারকারীদের জন্য ‘স্ক্রিন ডিসকাউন্ট’ অফার নিয়ে এলো তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তারা। এই অফারে বাছাই করা স্মার্টফোন মডেলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দেশের যেকোনো জায়গার সার্ভিস সেন্টার থেকে এই অফার উপভোগ করতে পারবেন তারা।
তবে ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ, কোনো আউটলেটে যাওয়ার আগে সেখানে ওই নির্দিষ্ট মডেলের ডিসপ্লে রয়েছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
আপনার নিকটস্থ রিয়েলমি সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন এখান থেকে দেখুন- https://www.realme.com/bd/support/services
নিম্নোক্ত মডেলগুলোর জন্য এই অফার প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
মডেলগুলো হলো- রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি, রিয়েলমি ৯আই, রিয়েলমি সি৩৩, রিয়েলমি সি২১ওয়াই, রিয়েলমি সি২৫-ওয়াই, রিয়েলমি সি৩১, রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম, রিয়েলমি সি৩৫, রিয়েলমি সি৩০, রিয়েলমি সি২৫এস, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৬আই, রিয়েলমি জিটি নিও২, রিয়েলমি সি২১, রিয়েলমি সি২০, রিয়েলমি নারজো ৫০, রিয়েলমি ৭আই, রিয়েলমি সি১৫ কোয়ালকম এডিশন, রিয়েলমি সি১৭, রিয়েলমি সি২৫, রিয়েলমি নারজো ৩০এ, রিয়েলমি সি৩০এস, রিয়েলমি নারজো ২০, রিয়েলমি সি১১, রিয়েলমি ৫আই, রিয়েলমি ৭ প্রো, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন এবং রিয়েলমি সি৩।
উল্লেখ্য, এই অফারগুলো কেবল রিয়েলমি’র অফিসশিয়াল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে রিয়েলমি অনুমোদিত কালেকশন পয়েন্ট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
একজন ক্রেতা এই ছাড় বেশ কয়েকবার গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন, যা এই অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে, সার্ভিসিংয়ের পর পরিবর্তন করা ভাঙা অংশগুলো ব্যবহারকারীরা ফেরত নিতে পারবেন না।
ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ ‘রিয়েলমি সার্ভিস বিডি’ থেকে এই অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই অফার চলবে আগামী বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে আর দেরি কেন? এখনই আপনার নিকটস্থ আউটলেটে যান আর উপভোগ করুন আকর্ষণীয় অফার।
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
১ বছর আগে
বৈশ্বিক রপ্তানি ২০ কোটি ছাড়িয়ে রিয়েলমি
আরও একটি মাইলফলক অর্জন করল তরুণদের পছন্দের ব্রান্ড রিয়েলমি! বিশ্বজুড়ে ২০ কোটিরও বেশি ডিভাইস বিক্রি করে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার জয় করেছে দ্রুত বর্ধনশীল এ ব্র্যান্ডটি।
২০২১ সালে ১০ কোটি বিক্রির মাইলফলক অর্জন করার পর থেকেই সকল ক্ষেত্রে সেরা স্থান অর্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি।
সবচেয়ে দ্রুত ২০ কোটি বিক্রির এই মাইলফলক অর্জন করার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে তরুণদের পছন্দের এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড।
২০১৮ সালের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যাত্রা শুরু করে রিয়েলমি। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি টানা পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বিক্রির ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা দশ ব্র্যান্ডের মাঝে স্থান ধরে রেখে বাজারের নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত উল্লেখযোগ্য সব কৃতিত্ব অর্জন করে চলছে রিয়েলমি।
সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘সিম্পলি বেটার স্ট্র্যাটেজি’ চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি তাদের সকল পণ্যের প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্টে ‘লিপ-ফরোওয়ার্ড’ প্রযুক্তি নিশ্চিত করছে। এই স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ডিজাইন, পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে লিপ-ফরোওয়ার্ড প্রযুক্তি, ডিজাইন ও পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রিয়েলমি।
এছাড়াও, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ডিসপ্লে, ফটোগ্রাফি, গেমিং ও চার্জিং -এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন আনতে রিয়েলমি গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব লিপ-ফরোওয়ার্ড টেকনলোজি চালু করেছে ব্র্যান্ডটি।
ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হওয়া স্বত্বেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও বাহ্যিক পরিবেশের চাপ মোকাবিলা করে গত দুই বছর যাবত একটি স্থিতিশীল বৃদ্ধি বজায় রেখেছে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
এই লিপ-ফরোয়ার্ড পণ্যগুলো ব্র্যান্ডটিকে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে।
ফলে, এই উদীয়মান বাজারে একটি শীর্ষস্থানীয় অংশীদার হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।
শুরু থেকেই তরুণদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছাকাছি থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্রমাগত উন্নত করছে রিয়েলমি।
ফলে, ব্যবহারকারীদের স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি পারস্পরিক সাফল্য নিশ্চিত করছে তারা।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে ৪৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৪ সালে তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনতে কাজ করছে রিয়েলমি।
৩৩টিরও বেশি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। ৪০০ শতাংশ গবেষণাকর্মী বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণা ও প্রযুক্তি দলের সম্প্রসারণে কাজ করছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি’র পঞ্চম-বার্ষিকীর খোলা চিঠিতে রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি বলেন, “স্মার্টফোন খাতে ‘এলিভেটর-স্টাইল’ বিকাশের যুগ এখন শেষ। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো আরও চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রতিটি পদক্ষেপ রিয়েলমিকে তার পরবর্তী গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। নতুন মাইলফলকের দিকে এগোনোর পাশাপাশি রিয়েলমি এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে ক্রমাগত নতুন উচ্চতা অর্জনে কাজ করবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের চাহিদা মাথায় রেখে তাদের বিকাশের লক্ষ্যে রিয়েলমির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে নিজেদেরকে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নিতে কাজ করব আমরা।”
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
১ বছর আগে
সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
চীনের শেনঝেনে ‘নিউ গ্রাউন্ডব্রেকিং শিফট ইন টেলিফটো ইমেজিং’ শীর্ষক একটি সুপার-কোর ইমেজিং কমিউনিকেশন ইভেন্টের আয়োজন করেছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
কোয়ালকম ও আর্কসফটের মতো এই খাতের শীর্ষ অংশীদারদের সহযোগিতায় ব্র্যান্ডটি ইমেজ অ্যালগরিদম ও অপটিক্যাল হার্ডওয়্যার চিপ প্রসেসিং পাওয়ারে ইন-ডেপথ অপটিমাইজেশন পরিচালনা করেছে। ব্র্যান্ডটির পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে টেলিফটো ইমেজিংয়ের যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে।
একটি ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন কতোটা দুর্দান্ত তা নির্ভর করে এর শক্তিশালী কোরের ওপর। কোয়ালকমের সহযোগিতায় সুপার-কোর ইমেজিং হেটারোজিনিয়াস কম্পিউটিং ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আসতে কোয়ালকমের সঙ্গে অংশীডারিত্ব করে রিয়েলমি, যার মাধ্যমে প্রধান ক্যামেরার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ চিপ ও টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
ইনোভেটিভ ইমেজিং টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’কে সমৃদ্ধ করতে আর্কসফটের সহযোগিতায় অপ্টিমাইজড সুপার-লাইট টেলিফটো ইঞ্জিন নিয়ে আসে রিয়েলমি। আইএমএক্স ৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহারে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো ইমেজিংয়ের পুরো উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল আর্কসফট।
ফলে, প্রাণবন্ত এইচডিআর ইমেজ থেকে শুরু করে আলো-ছায়ার অনবদ্য টেক্সচার তৈরির মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীরা এখন আরও দুর্দান্ত ছবি তোলার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
রিয়েলমি’র ‘নো লিপ, নো লঞ্চ’- থিমকে সামনে রেখে নতুন ফ্ল্যাগশিপ জিপি৫ প্রো নিজেই ডুয়েল-ইঞ্জিন ফ্ল্যাগশিপ।
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ ফিচার ব্যবহার করার পাশাপাশি, এখন পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে; একইসঙ্গে এতে ইন্ডাস্ট্রি-সেরা আইএমএক্স৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
১ বছর আগে
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
আসন্ন রমজান ও ঈদের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলতে অপো’র জনপ্রিয় এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ (৪জিবি র্যাম+৪জিবি পর্যন্ত র্যাম সম্প্রসারণ, মোট ৮ জিবি) এই দু’টি ডিভাইসে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দিচ্ছে।
অপো ফ্যানদের মধ্যে রমজান ও ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে ব্র্যান্ডটি এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনের দাম ৩৭ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা এবং এ৭৭ ফোনের মূল্য ২২ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই উৎসবের মৌসুমে ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ফাইভজি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুপার-ফাস্ট ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে। এই ডিভাইসে ভয়েস ওভার এলটিই আছে, যা ব্যবহারকারীদের ভয়েসের গুণমানকে প্রভাবিত না করে নেটওয়ার্কে একযোগে ভয়েস ও ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটিতে রয়েছে নতুন আল্ট্রা-স্লিম রেট্রো ডিজাইন, সঙ্গে ডুয়াল অরবিট লাইট। এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল হাই-রেজ্যুলেশনের মেইন ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
এছাড়া, চমৎকার ছবি তোলার জন্য আছে বেশ কিছু দুর্দান্ত ইমেজিং ফিচার। এই স্মার্টফোনে আরও আছে ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চি পাঞ্চ হোল অ্যামোলেড এফএইচডি+ ডিসপ্লেসহ ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, চার হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি।
অন্যদিকে, অপো এ৭৭ ফোনে আছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তি, পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম সম্প্রসারণ সুবিধা (সঙ্গে ১২৮জিবি স্টোরেজ)। এই ফোনে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রিমিয়াম অপো গ্লো ফ্ল্যাট-এজ ডিজাইন এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হেলিও জি৩৫ ১২এনএম (ন্যানোমিটার) চিপসেট। এর ক্যামেরা সেটআপ এক কথায় চমৎকার।
এই ফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা ফিচারগুলোর সমন্বয় ঘটেছে এই স্মার্টফোনে।
স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অপো’র ব্যবহারকারী ও ভক্তদের জন্য এই আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে। গ্রাহকরা এখন অবিশ্বাস্য দামে এই ডিভাইসগুলো কিনে দুর্দান্ত সব ফিচার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
এই অফারটি ব্যবহারকারীরা বাংলাদেশের যেকোনো অপো স্টোর থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। স্টক শেষ হওয়ার আগে ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে আজই আপনার নিকটস্থ অপো আউটলেট ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন: বাজারে ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরার অপো রেনো এইট টি
১ বছর আগে
বাজারে ‘এ৭৭এস’ স্মার্টফোন উন্মোচন করল অপো
নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বাজারে দুর্দান্ত একটি স্মার্টফোন অপো এ৭৭এস নিয়ে এলো অপো। স্টাইলিশ ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীর ফ্যাশন ও জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
৩৩ ওয়াট সুপারভুচ চার্জিং টেকনোলজি, আকর্ষণীয় আউটলুক এবং আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচারসহ এ৭৭এস স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি সময় সচল রাখবে অপো এ৭৭এস। কম সময়ে চার্জ ও হার্ডওয়্যার সুরক্ষিত রাখতে ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি সম্বলিত ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক চার্জিং টেকনোলজি।
৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে কখনই চার্জ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না।
ডিভাইসটি মাত্র পাঁচ মিনিটে ১১ শতাংশ ও ১৫ মিনিটে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হতে সক্ষম।
৩১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যেই ডিভাইসটি ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা সম্ভব।
দুর্দান্ত এই পাওয়ার-প্যাকড ডিভাইসটির মাধ্যমে অপো ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে যেকোনো কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
ফোনটি মাত্র পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ২.৯৮ ঘণ্টা ফোনে কথা বলা যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
১ বছর আগে
স্মার্টফোনের পর্দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে টিউমারের আকার
জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীরা একটি প্রসারিত, নমনীয় সেন্সরযুক্ত ছোট, স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যা ত্বকের সাথে লেগে থাকতে পারে এবং ত্বকের নিচের টিউমারের আকার পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে।
ব্যাটারিচালিত যন্ত্রটি মাত্র একটি বোতাম চাপলেই তারহীনভাবে স্মার্টফোনের অ্যাপে টিউমারের আকার পরিবর্তন সংক্রান্ত পাঠ পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। আর এটি ত্বকেরও ক্ষতি করবে না। এমনটাই দাবি করেছেন প্রকৌশলীদের দলটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রটিকে এর উদ্ভাবকদল সংক্ষেপে বলছে 'ফাস্ট'। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে 'ফ্লেক্সিবল অটোনোমাস সেন্সর মেজারিং টিউমরস'। সহজভাবে বললে এমন এক নমনীয় যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেন্সরের সাহায্যে টিউমারের আকার পরিমাপ করতে পারে।
দলটির দাবি, ক্যান্সার চিকিৎসায় যন্ত্রটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। কারণ এ ধরনের চিকিৎসায় ওষুধ কাজে লাগছে কি না তা বুঝা যায় টিউমারের আকারের পরিবর্তন দেখে। সেখানে সহজে, কম খরচে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে, দ্রুত আকার পরিবর্তনের পাঠ স্মার্টফোনের পর্দায় জানিয়ে দিতে পারবে ফাস্ট।
পড়ুন: দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিবছর গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে ত্বকের নিচের টিউমারে হাজারো ক্যান্সার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর খুব কমই মানব শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাছাড়া বর্তমান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে থেরাপি ও ওষুধের কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে বেশখানিকটা সময় লেগে যায়।
টিউমারের সহজাত জৈবিক পরিবর্তন, বিদ্যমান পরিমাপ পদ্ধতির ত্রুটি এবং তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের নমুনার কারণে ওষুধের যাচাই কঠিন এবং শ্রমসাধ্য হয়ে ওঠে।
এই গবেষণার একজন গবেষক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অ্যালেক্স আব্রামসন বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে টিউমার হাতের সাহায্যে স্লাইড ক্যালিপার্স নামক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।'
তিনি আরও বলেন, ত্বকের মতো নরম টিস্যুর ক্ষেত্রে স্লাইড ক্যালিপার্সের মতো ধাতব যন্ত্রের ব্যবহার কখনও আদর্শ হতে পারে না। তাছাড়া রেডিওলজিক্যাল পন্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যায়ক্রমে পরিমাপ দেখাতে পারে না। সেখানে ফাস্ট মিনিটের মধ্যেই কাজটি করতে সক্ষম
গবেষকদের মতে, যন্ত্রটি নমনীয় ও প্রসারিত পলিমার দিয়ে তৈরি। যাতে যুক্ত করা হয়েছে সোনার তৈরি বর্তনী। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি ত্বকের সাথে যুক্ত করা যায়।
তারা জানিয়েছে, ফাস্ট ব্যবহারযোগ্য করতে ৬০ মার্কিন ডলার বা তার কিছু বেশি খরচ হতে পারে।
পড়ুন: কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
ইলন মাস্কের প্রাক্তন বান্ধবী তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো নিলামে তুলেছে!
২ বছর আগে