স্মার্টফোন
ছাড়ে রিয়েলমি ডিসপ্লে পরিবর্তন করার সুযোগ
ফ্যান ও ব্যবহারকারীদের জন্য ‘স্ক্রিন ডিসকাউন্ট’ অফার নিয়ে এলো তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি। অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন তারা। এই অফারে বাছাই করা স্মার্টফোন মডেলের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়।
ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। দেশের যেকোনো জায়গার সার্ভিস সেন্টার থেকে এই অফার উপভোগ করতে পারবেন তারা।
তবে ক্রেতাদের প্রতি পরামর্শ, কোনো আউটলেটে যাওয়ার আগে সেখানে ওই নির্দিষ্ট মডেলের ডিসপ্লে রয়েছে কি না তা দেখে নিতে হবে।
আপনার নিকটস্থ রিয়েলমি সার্ভিস সেন্টারের লোকেশন এখান থেকে দেখুন- https://www.realme.com/bd/support/services
নিম্নোক্ত মডেলগুলোর জন্য এই অফার প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
মডেলগুলো হলো- রিয়েলমি ৯ প্রো ফাইভজি, রিয়েলমি ৯আই, রিয়েলমি সি৩৩, রিয়েলমি সি২১ওয়াই, রিয়েলমি সি২৫-ওয়াই, রিয়েলমি সি৩১, রিয়েলমি নারজো ৫০এ প্রাইম, রিয়েলমি সি৩৫, রিয়েলমি সি৩০, রিয়েলমি সি২৫এস, রিয়েলমি ৮ ফাইভজি, রিয়েলমি ৬আই, রিয়েলমি জিটি নিও২, রিয়েলমি সি২১, রিয়েলমি সি২০, রিয়েলমি নারজো ৫০, রিয়েলমি ৭আই, রিয়েলমি সি১৫ কোয়ালকম এডিশন, রিয়েলমি সি১৭, রিয়েলমি সি২৫, রিয়েলমি নারজো ৩০এ, রিয়েলমি সি৩০এস, রিয়েলমি নারজো ২০, রিয়েলমি সি১১, রিয়েলমি ৫আই, রিয়েলমি ৭ প্রো, রিয়েলমি ৮, রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন এবং রিয়েলমি সি৩।
উল্লেখ্য, এই অফারগুলো কেবল রিয়েলমি’র অফিসশিয়াল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারকারীরা রিয়েলমি অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে ডিভাইস পাঠানোর ক্ষেত্রে রিয়েলমি অনুমোদিত কালেকশন পয়েন্ট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
একজন ক্রেতা এই ছাড় বেশ কয়েকবার গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন, যা এই অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে, সার্ভিসিংয়ের পর পরিবর্তন করা ভাঙা অংশগুলো ব্যবহারকারীরা ফেরত নিতে পারবেন না।
ফেসবুকে রিয়েলমি’র অফিসিয়াল আফটার-সেল সার্ভিস পেজ ‘রিয়েলমি সার্ভিস বিডি’ থেকে এই অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই অফার চলবে আগামী বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাহলে আর দেরি কেন? এখনই আপনার নিকটস্থ আউটলেটে যান আর উপভোগ করুন আকর্ষণীয় অফার।
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
বৈশ্বিক রপ্তানি ২০ কোটি ছাড়িয়ে রিয়েলমি
আরও একটি মাইলফলক অর্জন করল তরুণদের পছন্দের ব্রান্ড রিয়েলমি! বিশ্বজুড়ে ২০ কোটিরও বেশি ডিভাইস বিক্রি করে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার জয় করেছে দ্রুত বর্ধনশীল এ ব্র্যান্ডটি।
২০২১ সালে ১০ কোটি বিক্রির মাইলফলক অর্জন করার পর থেকেই সকল ক্ষেত্রে সেরা স্থান অর্জন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি।
সবচেয়ে দ্রুত ২০ কোটি বিক্রির এই মাইলফলক অর্জন করার ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে তরুণদের পছন্দের এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড।
২০১৮ সালের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যাত্রা শুরু করে রিয়েলমি। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রিয়েলমি টানা পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বিক্রির ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা দশ ব্র্যান্ডের মাঝে স্থান ধরে রেখে বাজারের নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
পণ্য উদ্ভাবনের পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদাকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত উল্লেখযোগ্য সব কৃতিত্ব অর্জন করে চলছে রিয়েলমি।
সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি একটি ‘সিম্পলি বেটার স্ট্র্যাটেজি’ চালু করেছে। যার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি তাদের সকল পণ্যের প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্টে ‘লিপ-ফরোওয়ার্ড’ প্রযুক্তি নিশ্চিত করছে। এই স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ডিজাইন, পারফরমেন্স ও অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে লিপ-ফরোওয়ার্ড প্রযুক্তি, ডিজাইন ও পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে রিয়েলমি।
এছাড়াও, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ডিসপ্লে, ফটোগ্রাফি, গেমিং ও চার্জিং -এর ক্ষেত্রে উদ্ভাবন আনতে রিয়েলমি গ্লোবাল ইন্সটিটিউট অব লিপ-ফরোওয়ার্ড টেকনলোজি চালু করেছে ব্র্যান্ডটি।
ব্যবসায়িক পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হওয়া স্বত্বেও প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও বাহ্যিক পরিবেশের চাপ মোকাবিলা করে গত দুই বছর যাবত একটি স্থিতিশীল বৃদ্ধি বজায় রেখেছে রিয়েলমি।
আরও পড়ুন: সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
এই লিপ-ফরোয়ার্ড পণ্যগুলো ব্র্যান্ডটিকে বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে।
ফলে, এই উদীয়মান বাজারে একটি শীর্ষস্থানীয় অংশীদার হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে রিয়েলমি।
শুরু থেকেই তরুণদের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছাকাছি থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্রমাগত উন্নত করছে রিয়েলমি।
ফলে, ব্যবহারকারীদের স্বীকৃতির মাধ্যমে একটি পারস্পরিক সাফল্য নিশ্চিত করছে তারা।
রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে ৪৭০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২৪ সালে তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি আনতে কাজ করছে রিয়েলমি।
৩৩টিরও বেশি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিকাশের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। ৪০০ শতাংশ গবেষণাকর্মী বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণা ও প্রযুক্তি দলের সম্প্রসারণে কাজ করছে রিয়েলমি।
রিয়েলমি’র পঞ্চম-বার্ষিকীর খোলা চিঠিতে রিয়েলমি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও স্কাই লি বলেন, “স্মার্টফোন খাতে ‘এলিভেটর-স্টাইল’ বিকাশের যুগ এখন শেষ। ভবিষ্যৎ পদক্ষেপগুলো আরও চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রতিটি পদক্ষেপ রিয়েলমিকে তার পরবর্তী গন্তব্যের কাছাকাছি নিয়ে যায়। নতুন মাইলফলকের দিকে এগোনোর পাশাপাশি রিয়েলমি এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে ক্রমাগত নতুন উচ্চতা অর্জনে কাজ করবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের চাহিদা মাথায় রেখে তাদের বিকাশের লক্ষ্যে রিয়েলমির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে নিজেদেরকে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নিতে কাজ করব আমরা।”
আরও পড়ুন: বাজারে রিয়েলমি’র সেগমেন্ট চ্যাম্পিয়ন সি৫৫ ফোন
দেশের বাজারে এলো দুর্দান্ত পারফরমেন্স ও সেরা দামের রিয়েলমি সি৩০
সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেমসহ জিটি৫ প্রো আনবে রিয়েলমি
চীনের শেনঝেনে ‘নিউ গ্রাউন্ডব্রেকিং শিফট ইন টেলিফটো ইমেজিং’ শীর্ষক একটি সুপার-কোর ইমেজিং কমিউনিকেশন ইভেন্টের আয়োজন করেছে তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি।
কোয়ালকম ও আর্কসফটের মতো এই খাতের শীর্ষ অংশীদারদের সহযোগিতায় ব্র্যান্ডটি ইমেজ অ্যালগরিদম ও অপটিক্যাল হার্ডওয়্যার চিপ প্রসেসিং পাওয়ারে ইন-ডেপথ অপটিমাইজেশন পরিচালনা করেছে। ব্র্যান্ডটির পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে টেলিফটো ইমেজিংয়ের যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে সুপার-কোর টেলিফটো ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে।
একটি ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফোন কতোটা দুর্দান্ত তা নির্ভর করে এর শক্তিশালী কোরের ওপর। কোয়ালকমের সহযোগিতায় সুপার-কোর ইমেজিং হেটারোজিনিয়াস কম্পিউটিং ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আসতে কোয়ালকমের সঙ্গে অংশীডারিত্ব করে রিয়েলমি, যার মাধ্যমে প্রধান ক্যামেরার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ চিপ ও টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগানো সম্ভব হবে।
ইনোভেটিভ ইমেজিং টেকনোলজিতে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’কে সমৃদ্ধ করতে আর্কসফটের সহযোগিতায় অপ্টিমাইজড সুপার-লাইট টেলিফটো ইঞ্জিন নিয়ে আসে রিয়েলমি। আইএমএক্স ৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সের সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহারে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো ইমেজিংয়ের পুরো উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল আর্কসফট।
ফলে, প্রাণবন্ত এইচডিআর ইমেজ থেকে শুরু করে আলো-ছায়ার অনবদ্য টেক্সচার তৈরির মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীরা এখন আরও দুর্দান্ত ছবি তোলার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।
রিয়েলমি’র ‘নো লিপ, নো লঞ্চ’- থিমকে সামনে রেখে নতুন ফ্ল্যাগশিপ জিপি৫ প্রো নিজেই ডুয়েল-ইঞ্জিন ফ্ল্যাগশিপ।
মোবাইল প্ল্যাটফর্মে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ ফিচার ব্যবহার করার পাশাপাশি, এখন পারফরমেন্স অভিজ্ঞতা আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে; একইসঙ্গে এতে ইন্ডাস্ট্রি-সেরা আইএমএক্স৮৯০ সুপার-লাইট পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
আসন্ন রমজান ও ঈদের আমেজ আরও বাড়িয়ে তুলতে অপো’র জনপ্রিয় এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ (৪জিবি র্যাম+৪জিবি পর্যন্ত র্যাম সম্প্রসারণ, মোট ৮ জিবি) এই দু’টি ডিভাইসে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দিচ্ছে।
অপো ফ্যানদের মধ্যে রমজান ও ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে ব্র্যান্ডটি এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনের দাম ৩৭ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা এবং এ৭৭ ফোনের মূল্য ২২ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এই উৎসবের মৌসুমে ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫ ফাইভজি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুপার-ফাস্ট ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে। এই ডিভাইসে ভয়েস ওভার এলটিই আছে, যা ব্যবহারকারীদের ভয়েসের গুণমানকে প্রভাবিত না করে নেটওয়ার্কে একযোগে ভয়েস ও ডেটা পাঠাতে সক্ষম করে।
এফ২১ প্রো ফাইভজি ডিভাইসটিতে রয়েছে নতুন আল্ট্রা-স্লিম রেট্রো ডিজাইন, সঙ্গে ডুয়াল অরবিট লাইট। এফ২১ প্রো ফাইভজি ফোনে ৬৪ মেগাপিক্সেল হাই-রেজ্যুলেশনের মেইন ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা ও ১৬ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আছে।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
এছাড়া, চমৎকার ছবি তোলার জন্য আছে বেশ কিছু দুর্দান্ত ইমেজিং ফিচার। এই স্মার্টফোনে আরও আছে ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চি পাঞ্চ হোল অ্যামোলেড এফএইচডি+ ডিসপ্লেসহ ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, চার হাজার ৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি।
অন্যদিকে, অপো এ৭৭ ফোনে আছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তি, পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম সম্প্রসারণ সুবিধা (সঙ্গে ১২৮জিবি স্টোরেজ)। এই ফোনে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রিমিয়াম অপো গ্লো ফ্ল্যাট-এজ ডিজাইন এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হেলিও জি৩৫ ১২এনএম (ন্যানোমিটার) চিপসেট। এর ক্যামেরা সেটআপ এক কথায় চমৎকার।
এই ফোনে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা, সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। সাশ্রয়ী মূল্যে সেরা ফিচারগুলোর সমন্বয় ঘটেছে এই স্মার্টফোনে।
স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অপো’র ব্যবহারকারী ও ভক্তদের জন্য এই আকর্ষণীয় অফার নিয়ে এসেছে। গ্রাহকরা এখন অবিশ্বাস্য দামে এই ডিভাইসগুলো কিনে দুর্দান্ত সব ফিচার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
এই অফারটি ব্যবহারকারীরা বাংলাদেশের যেকোনো অপো স্টোর থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। স্টক শেষ হওয়ার আগে ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে আজই আপনার নিকটস্থ অপো আউটলেট ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন: বাজারে ১০০ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট ক্যামেরার অপো রেনো এইট টি
বাজারে ‘এ৭৭এস’ স্মার্টফোন উন্মোচন করল অপো
নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বাজারে দুর্দান্ত একটি স্মার্টফোন অপো এ৭৭এস নিয়ে এলো অপো। স্টাইলিশ ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীর ফ্যাশন ও জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
৩৩ ওয়াট সুপারভুচ চার্জিং টেকনোলজি, আকর্ষণীয় আউটলুক এবং আরও অনেক দুর্দান্ত ফিচারসহ এ৭৭এস স্মার্টফোনের দাম মাত্র ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা।
ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি সময় সচল রাখবে অপো এ৭৭এস। কম সময়ে চার্জ ও হার্ডওয়্যার সুরক্ষিত রাখতে ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি সম্বলিত ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক চার্জিং টেকনোলজি।
৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারির কারণে ফোনটিতে কখনই চার্জ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না।
ডিভাইসটি মাত্র পাঁচ মিনিটে ১১ শতাংশ ও ১৫ মিনিটে ২৮ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হতে সক্ষম।
৩১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যেই ডিভাইসটি ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা সম্ভব।
দুর্দান্ত এই পাওয়ার-প্যাকড ডিভাইসটির মাধ্যমে অপো ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে যেকোনো কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন।
ফোনটি মাত্র পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ২.৯৮ ঘণ্টা ফোনে কথা বলা যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
স্মার্টফোনের পর্দায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানা যাবে টিউমারের আকার
জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীরা একটি প্রসারিত, নমনীয় সেন্সরযুক্ত ছোট, স্বয়ংসম্পূর্ণ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যা ত্বকের সাথে লেগে থাকতে পারে এবং ত্বকের নিচের টিউমারের আকার পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে।
ব্যাটারিচালিত যন্ত্রটি মাত্র একটি বোতাম চাপলেই তারহীনভাবে স্মার্টফোনের অ্যাপে টিউমারের আকার পরিবর্তন সংক্রান্ত পাঠ পাঠিয়ে দিতে সক্ষম। আর এটি ত্বকেরও ক্ষতি করবে না। এমনটাই দাবি করেছেন প্রকৌশলীদের দলটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রটিকে এর উদ্ভাবকদল সংক্ষেপে বলছে 'ফাস্ট'। যার পূর্ণরূপ হচ্ছে 'ফ্লেক্সিবল অটোনোমাস সেন্সর মেজারিং টিউমরস'। সহজভাবে বললে এমন এক নমনীয় যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেন্সরের সাহায্যে টিউমারের আকার পরিমাপ করতে পারে।
দলটির দাবি, ক্যান্সার চিকিৎসায় যন্ত্রটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। কারণ এ ধরনের চিকিৎসায় ওষুধ কাজে লাগছে কি না তা বুঝা যায় টিউমারের আকারের পরিবর্তন দেখে। সেখানে সহজে, কম খরচে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে, দ্রুত আকার পরিবর্তনের পাঠ স্মার্টফোনের পর্দায় জানিয়ে দিতে পারবে ফাস্ট।
পড়ুন: দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
প্রতিবছর গবেষকরা ইঁদুরের শরীরে ত্বকের নিচের টিউমারে হাজারো ক্যান্সার ওষুধ পরীক্ষা করে দেখেন। এর খুব কমই মানব শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাছাড়া বর্তমান যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে থেরাপি ও ওষুধের কার্যকারিতা পরখ করে দেখতে বেশখানিকটা সময় লেগে যায়।
টিউমারের সহজাত জৈবিক পরিবর্তন, বিদ্যমান পরিমাপ পদ্ধতির ত্রুটি এবং তুলনামূলকভাবে ছোট আকারের নমুনার কারণে ওষুধের যাচাই কঠিন এবং শ্রমসাধ্য হয়ে ওঠে।
এই গবেষণার একজন গবেষক ও গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অ্যালেক্স আব্রামসন বলেন, 'কিছু ক্ষেত্রে টিউমার হাতের সাহায্যে স্লাইড ক্যালিপার্স নামক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।'
তিনি আরও বলেন, ত্বকের মতো নরম টিস্যুর ক্ষেত্রে স্লাইড ক্যালিপার্সের মতো ধাতব যন্ত্রের ব্যবহার কখনও আদর্শ হতে পারে না। তাছাড়া রেডিওলজিক্যাল পন্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যায়ক্রমে পরিমাপ দেখাতে পারে না। সেখানে ফাস্ট মিনিটের মধ্যেই কাজটি করতে সক্ষম
গবেষকদের মতে, যন্ত্রটি নমনীয় ও প্রসারিত পলিমার দিয়ে তৈরি। যাতে যুক্ত করা হয়েছে সোনার তৈরি বর্তনী। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রটি ত্বকের সাথে যুক্ত করা যায়।
তারা জানিয়েছে, ফাস্ট ব্যবহারযোগ্য করতে ৬০ মার্কিন ডলার বা তার কিছু বেশি খরচ হতে পারে।
পড়ুন: কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
ইলন মাস্কের প্রাক্তন বান্ধবী তাদের স্মৃতিচিহ্নগুলো নিলামে তুলেছে!
১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
সম্প্রতি, দেশের বাজারে অপো এর নতুন স্মার্টফোন অপো এ৫৭ উন্মোচন করেছে। এ সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি ব্র্যান্ডটির স্মার্টফোন লাইন-আপের সর্বাধুনিক ফোন। নতুন এই ফোনটিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং, ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার ও ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এক্সপেনশন প্রযুক্তি সহ উপভোগ্য উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচার। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অপো এ৫৭ স্মার্টডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে নতুন এ ডিভাইসটিতে উন্নতমানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে আল্ট্রা-লিনিয়ার ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের সেরা বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীকে হোম-থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এটি বেইজ রেসপন্সকে উন্নত করে এবং মুভি ও গেম খেলার সময় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সর্বোচ্চ ভলিউমের বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, স্টেরিও সাউন্ড ফিল্ড ইমার্সন বৃদ্ধি করে। আল্ট্রা ভলিউম মোড টপ ভলিউমকে ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ সহায়ক। এ ফিচারগুলো সমন্বিতভাবে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্য বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম করে তুলবে! ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা ৪ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিমিং ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। এ ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে শূন্য থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রাপ্ত হয়। ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ডিভাইসটি মাত্র ৭২ মিনিটে পূর্ণ চার্জ প্রাপ্ত হয়!
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে ফোনকে ৫১ শতাংশেরও বেশি চার্জ প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ফোনটি দিয়ে ১৫ ঘণ্টা ইউটিউব স্ট্রিমিং অথবা স্ট্যান্ডবাইতে ১২.৭ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
অ্যান্ড্রয়েড-১৩-এর চমকের রেশ কাটতে না কাটতেই অ্যান্ড্রয়েড-১৪ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে গুগলের প্রকৌশলীরা। নতুন চমকগুলোর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর যে ফিচারটি নিয়ে ইতোমধ্যে সমূহ সম্ভাবনার উঁকি দিচ্ছে তা হলো সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ। গুগল প্ল্যাটফর্ম ও ইকোসিস্টেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার টুইটারে ঘোষণা করেছেন যে, গুগল অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ তৈরিতে কাজ করছে। চলুন, এ ব্যাপারে আরো কিছু জেনে নেয়া যাক।
কবে নাগাদ আসবে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন
শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির নামে নাম রাখার প্রবণতাটা গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর জন্য রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই ১৪ নাম্বার সংস্করণটিরও নাম রাখা হয়েছে আপসাইড ডাউন কেক। এটি মুলত একটি আমেরিকান কেক যা প্যানে উল্টো করে বেক করা হয়।
২০২৩-এর মে মাসে গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন গুগল আই/ও ২০২৩-এ অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। তবে এর ডেভেলপার প্রিভিউ বিল্ড ফেব্রুয়ারিতে এবং বেটা বিল্ড এপ্রিলে মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর মুক্তি হতে হতে আগস্ট মাস লেগে যেতে পারে।
পড়ুন: জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ-এ কি সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ব্যবহারকারীরা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হবেন। এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও নেটওয়ার্ক সংযোগ না থাকার মতো কোন পরিস্থিতির অবকাশ থাকবে না। নেটওয়ার্কটি ডাটা প্রসেস করতে পারবে প্রতি সেলুলার জোনে প্রায় ২ এমবিপিএস(মেগাবাইট-পার-সেকেন্ড) থেকে ৪ এমবিপিএস হবে। এটি বেশ ধীর গতির হলেও কয়েক হাজার টেক্সট লেনদেনের জন্য যথেষ্ট।
স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এমএমএস(ছবি/ভিডিও ম্যাসেজ) সহ যে কোন টেক্সটিং, ভয়েস কল করতে এবং মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। এই নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ পৃথিবীর যে কোন স্থানে ১ থেকে ২ হাজার ভয়েস কলের জন্য যথেষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার এই নতুন পথচলায় শুরুর দিকে সংযোগ স্থাপন গতি হয়ত আশানুরুপ না হতে পারে। কিন্তু এটি জরুরী পরিস্থিতিতে, দুর্গম জায়গা বা প্রযুক্তির স্পর্শ না পাওয়া কোন গ্রামে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার অবস্থার চূড়ান্তভাবে পরিসমাপ্তি ঘটাবে।
পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রযাত্রা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আগের সংস্করণটিকে আপগ্রেড করলেই এই নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে নাকি একদম নতুন অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন কিনতে হবে সে ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স এবং স্ট্র্যান্টনের টি-মোবাইল এই দিক থেকে এগিয়ে গেছে। এদের ডিভাইসটি আসন্ন স্টারলিঙ্ক ভি(ভার্সন)-২ স্যাটেলাইট দ্বারা সমর্থিত হবে।
এমনকি বিগত সংস্করণের ফোনগুলোতেও এই নেটওয়ার্ক কাজ করবে কারণ এটি পিসিএস(পার্সনাল কমিউনিকেশন সার্ভিস) স্পেকট্রামে পুরনো ব্যান্ড বা রেডিওকে কাজে লাগাবে। ফলে বেশিরভাগ টি-মোবাইল গ্রাহকদের আসন্ন পরিষেবা উপভোগ করতে নতুন ডিভাইস কিনতে হবে না। প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের স্মার্টফোনগুলোকে সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরেই প্রকাশিত হয় এই তথ্যটি।
স্যাটেলাইট স্থাপনের সাথে যোগাযোগ শিল্পের সহ-পরিষেবা এখন পর্যন্ত খুব একটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ২০২৩ সালের শেষের বিশ্ববাসী মানিয়ে নিতে শুরু করবে এরকম পরিষেবার সাথে। আর গুগলও ঠিক সে সময়েই আনতে যাচ্ছে তাদের নতুন ফোনটি। সর্বসাকূল্যে ২০২৩ সালটি হবে স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রদূত।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
শেষাংশ
গোটা বিশ্বকে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। সেলুলার ডেড জোনের বিড়ম্বনা আর পোহাতে হবে না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
নতুন প্রযুক্তি হিসেবে প্রকল্পটির বিকাশের জন্য যে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সাথে নির্মাণাধীন অ্যান্ড্রয়েড-১৪-কেও এর সিস্টেম সফ্টওয়্যারগুলোর সাথে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর উপরই নির্ভর করছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা, যা নতুনত্বের আবির্ভাব এবং গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করবে।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন ই-মেইল পড়তে, টেক্সট পাঠাতে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ চেক করতে। সব মিলিয়ে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘন্টা। সম্প্রতি এই বিষয়টি এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে মার্কিন কাইরোপ্র্যাক্টর ডিন ফিশম্যান এটিকে একটি স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’- নাম দিয়েছেন।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মুলত প্রচণ্ড ঘাড় ব্যথার পুনরাবৃত্তি, যা দীর্ঘ সময় ধরে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে রাখার জন্য ঘটে থাকে। এই অবস্থাটি ‘টার্টল নেক পশ্চার’, ‘অ্যান্টেরিয়র হেড সিন্ড্রোম’ এবং ‘টেক নেক সিন্ড্রোম’ নামেও পরিচিত। এই আসুন অভিনব এই স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের কারণ
টেক্সট নেক সিন্ড্রোম মোবাইলের মাধ্যমে ম্যাসেজ পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত হলেও এটি বর্তমানের যে কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন ট্যাবলেটে সম্পাদিত বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর মধ্যে আছে- ওয়েব ব্রাউজ করা, গেম খেলা বা কোন ডাটা প্রসেস করা। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই মাথা একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে। টিভি এবং কম্পিউটারের তুলনায় স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের স্ক্রিনগুলো দেখার জন্য সাধারণত টেবিল বা হাতে কাছাকাছি নিয়ে নির্দিষ্ট কোণে মাথা বাঁকা করতে হয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
বর্তমানের টাচস্ক্রিন সেটগুলো কাঁধ এবং মাথাকে আরও সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে আনে। স্মার্টফোনে ওয়েব ব্রাউজিং বা ভিডিও দেখার তুলনায় ম্যাসেজ করার সময় মাথার ভঙ্গি বেশি থাকে। ম্যাসেজ করার ক্ষেত্রে বেশি সময় ধরে দুই হাতের ব্যবহার এবং আঙুলগুলো স্ক্রিনে স্পর্শ করে রাখার দরকার পড়ে। এর ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারিকে নিজের কাঁধ আরও সামনের দিকে বাঁকা করে রাখতে হয়।
এছাড়া কিন্ডেলে বই পড়া, কিচেনে থালা বাসন ধোয়া, ঘর ঝাড়ু দেয়া প্রভৃতি কাজও মাথা কাত করতে বাধ্য করে। এখানে সময়টা গুরুত্ব বিষয়, কেননা, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটগুলো সাধারণের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয়। এমনকি এই দীর্ঘ সময়টাতে ব্যবহারকারিরা তাদের অবস্থানও পরিবর্তন করেন না। ফলে শরীর তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীর প্রয়োজনীয় নড়াচড়া থেকে বঞ্চিত হয়। এটি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার দরুণ নানা স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি হয়।
যখন মাথা ১৫ ডিগ্রি সামনে কাত হয়, ঘাড়ের ওপর তখন ২৭ পাউন্ড ভর চাপে, ৩০ ডিগ্রি হলে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রির বেলায় ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রির ক্ষেত্রে চাপটা ৬০ পাউন্ডে ওঠে যায়। ঘাড়ের এই বাড়তি চাপটা বুঝার জন্য ৮ বছর বয়সী কোন বাচ্চাকে দুই থেকে চার ঘন্টা ধরে ঘাড়ে নিয়ে চলার কথা কল্পনা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের লক্ষণ
স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় তাৎক্ষণিকভাবে উপরের পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হবে। দিনের শেষ ভাগে বা রাতে ঘুমাতে যাবার সময় ঘাড়ে বা কাঁধে তীব্র ব্যথা বাড়তে থাকবে। সাধারণত প্রাথমিকভাবে কাঁধে হাল্কা ব্যথা এবং চাপের মাধ্যমে এই ব্যথা তীব্রতার দিকে এগিয়ে যায়। নিচের দিকে তাকালে বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে অথবা ক্রমাগত মাথাব্যথা হবে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠবে। কোন একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় দাড়িয়ে থাকতে সমস্যা হবে। এমনকি দাঁড়ানো অবস্থা, কোন এক দিকে ঝুঁকে পড়া বা নড়াচড়াতেও সমস্যা হবে।
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
দীর্ঘক্ষণ সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে মেরুদণ্ড, ঘাড় ও কাঁধের পেশী এবং আনুষঙ্গিক অস্থি বন্ধনীগুলো বাঁকা হয়ে যেতে পারে। চরম পর্যায়ে ঘাড় এবং কাঁধ বরাবর পেশীগুলোর ন্যূনতম ব্যথা হাড় বা মেরুদণ্ডের ডিস্কের অবক্ষয় করতে পারে। এ অবস্থায় হাত দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি কাজ ছাড়া অবস্থাতেও বাহুর ব্যথা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। ব্যথা তীব্রতায় রূপ নিলে ঘাড় বরাবর মেরুদণ্ড বা স্নায়ু অবশ বা অসাড় হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়
টেক্সট নেক সিন্ড্রোমের প্রতিকার
মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা
স্মার্টফোন সহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় শরীরের ভঙ্গিমা এবং ব্যবহারকারির ডিভাইস ব্যবহারের আচরণকে সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ঘাড়কে মেরুদণ্ড বরাবর যতটা সম্ভব সমান রাখার চেষ্টা করা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে কাঁধ যেন কুঁচকে না যায় এবং পিঠ বাঁকা না থাকে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভঙ্গিমা পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাসেজ করা বা অন্য যে কোন কাজ করা হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে মোবাইল ডিভাইসটিকে একদম চোখের সঙ্গে একই স্তরে ধরে রাখা। একটু নিচে বা ওপরে কোন কোণ করে নয়; একদম ঘাড় সোজা রেখে চোখের দৃষ্টি বরাবর। কিছুক্ষণ পরপর চিবুকটি সোজা রেখে কাঁধের ব্লেডগুলো পিছনের দিকে বৃত্তকারে ঘোরোনো অনুশীলনটা করা যেতে পারে।
প্রতি ১৫ মিনিট পর মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারে বিরতি নিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমা এমনকি পুরো অবস্থান পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ডিভাইসটিকে হাতে বা মেঝেতে না রেখে টেবিলে বাচ্চাদের চোখের সামনাসামনি রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কোথায় ভালো পরিবেশে সাঁতার শেখা যায়
সঠিক শয়ন পদ্ধতি
মেঝে বা শক্ত পৃষ্ঠে পিঠ দিয়ে শুতে হবে। ঘাড়ের নিচে একটি পরিপাটি করে ভাঁজ করা তোয়ালে রাখতে হবে, যাতে করে ঘাড় একটি আরামদায়ক মঞ্চ পায় আর চিবুকটা একটু উঁচু হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বালিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য শয়নের পদ্ধতিটি আরামদায়ক হতে হয় তাই এখানে অবশ্যই আরামপ্রদ অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শরীরের ভঙ্গিমাকে সুস্থ ঘুমের অনুকূলে রাখতে বালিশের বিকল্প নেই।
হাঁটুর কাছে পা বাঁকা করে রাখতে হবে এবং শরীরের পাশে দুই হাত সমান ভাবে ফেলে রাখতে হবে। উপুর হয়ে শোয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যে কোন এক পাশ বা চিত হয়ে ঘুমানো প্রায়শই পিঠের ব্যথা উপশমের জন্য সহায়ক। যে কোন এক পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় পায়ের মাঝে কোল বালিশ রাখা যেতে পারে। চিত হয়ে ঘুমানোর ক্ষেত্রে হাঁটুর নিচে বালিশ রাখা যেতে পারে।
সঠিক ভাবে বসার ভঙ্গিমা
দুই পা সমান ভাবে পাশাপাশি মেঝেতে রাখতে হবে। পা মেঝে অব্দি না পৌঁছলে সমান ভাবে পাশাপাশি মুক্ত ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে গোড়ালি সহ পায়ের পাতা হাঁটু থেকে একটু সামনে রাখা উত্তম। কিন্তু কোন ভাবেই পায়ের ওপর পা তুলে, বা ক্রস আকৃতিতে রাখা যাবে না। হাঁটুর পশ্চাৎ ভাগ চেয়ারের সঙ্গে একদম ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না। হাঁটুর পিছন এবং আসনের মধ্যে অল্প একটু ফাঁক রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
হাঁটু এবং কোমড়ের মাঝে ৯০ ডিগ্রী কোণ রাখা একটি স্বাস্থ্যকর বসার উপায়।
পিঠের নিচ থেকে শুরু করে মধ্য ভাগ পর্যন্ত চেয়ারের সঙ্গে যুক্ত রাখতে হবে। মাঝে ফাঁক রেখে হেলান দিয়ে থাকা যাবে না। কাঁধকে শিথিল রাখতে হবে এবং দুই হাতের কনুই থেকে হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত অংশকে মাটির সমান্তরালে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক ভাবে বসার অনুকূলে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ আসন বাছাই করা আবশ্যক। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকা যাবে না।
সঠিক ভাবে দাড়ানোর ভঙ্গিমা
প্রাথমিকভাবে পায়ের আঙ্গুলের অংশের ওপর দেহের ওজন ফেলতে হবে। হাঁটু সামান্য বাঁকিয়ে রাখা ভালো। কাঁধের প্রস্থের সমান দূরত্ব রাখা উচিত দু’পায়ের মাঝে। কাঁধ পিছনে টান দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। দেহের ওজন পায়ের আঙ্গুল থেকে পেছনে হিল পর্যন্ত স্থানান্তর করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে এক পা থেকে অন্য পায়ে ভর স্থানান্তর করা উচিত।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
পরিশিষ্ট
মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার যে কোন নেশাজাত দ্রব্য অতিরিক্ত সেবনের থেকে কম কিছু নয়। তাছাড়া এখানে মানুষ ও যন্ত্রমানবের পার্থক্য সুস্পষ্টভাবে নিরূপণ করা যায়। রোবট দীর্ঘ সময় ধরে একটি কাজ কোন সমস্যা ছাড়াই করে যেতে পারে। কিন্তু মানুষের বিরতি প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় হাওয়া বদলের এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও পেশীগুলো সঞ্চালনের।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা ‘টেক্সট নেক সিন্ড্রোম’ বা আরো জটিল ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাই কাজ ও সময় থেকেও অধিক যত্নশীল হওয়া উচিত স্বাস্থ্যের প্রতি। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে তবেই সময়গুলোকে কাজে ভরিয়ে দিয়ে ফলপ্রসূ করে তোলা যাবে।
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
স্মার্টফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে চরম নিরাশার মধ্যে ডুবে যাওয়াটা খুব অতিরঞ্জিত ব্যাপার নয়। পকেট, ব্যাকপ্যাক, পার্স বা কাউন্টারটপ সহ সম্ভাব্য সব রকম জায়গায় খোঁজার পরও ফোন পাওয়া না গেলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের উদ্রেক হয়। তবে আশার ব্যাপার হচ্ছে- বেশ কিছু উপায় আছে, যা ফোন হারিয়ে যাবার বিড়ম্বনা থেকে অচিরেই মুক্তি দিতে পারে। এই নিবন্ধে চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার সেই উপায়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে।
চুরি হওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার উপায়
গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল ম্যাপ, জিমেইল এবং গুগল প্লে স্টোর সহ পূর্ব-ইন্সটল করা সব কিছু ব্যবহারকারির গুগল অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। তাই ফোন হারালেও কম্পিউটারের ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। গুগলে ফাইন্ড মাই অ্যান্ড্রয়েড টাইপ করলে প্রথম অনুসন্ধান ফলাফল ফোনটির সর্বশেষ পরিচিত অবস্থান সহ একটি মানচিত্র দেখাবে।
গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সেটা যেখানেই থাকুক ফোনটি অবশ্যই চালু থাকতে হবে এবং তার লোকেশন মুড অন থাকতে হবে। ট্র্যাক করা লোকেশনে ফোন না পাওয়া গেলে ফোনের তথ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে শেষ অবলম্বন হিসেবে দূর থেকে ফোনের সমস্ত ডাটা মুছে ফেলতে হবে।
এ ক্ষেত্রে একবার ফোনের সব ডাটা মোছা হয়ে গেলে, ডিভাইসটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। উপরন্তু, ফোন থেকে ডাটা মুছলেও এসডি কার্ডের ডাটা থেকে যায়।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফাইন্ড মাই মোবাইল নামে একটি সেটিং রয়েছে, যা গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইসের মতোই কাজ করে। হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যদি অফ করা না থাকে, সেক্ষেত্রে ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে বা অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফোনটি ট্র্যাক করা যেতে পারে। এইভাবে ফোনের সর্বশেষ অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। ফাইন্ড মাই মোবাইলের মাধ্যমে ফোনের ব্যাক আপ নেয়া, বার্তা এবং ফোন কল পুনরুদ্ধার করা এবং এমনকি ব্যাটারির আয়ু পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার ব্যবহার
বেশিরভাগ ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে গুগল এর ফাইন্ড মাই ডিভাই-এ যেতে বলবে। যদি ফোন চুরি হয়ে যায় বা এটি ফেরত পাওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে ফোনটি নিখোঁজ বা চুরি হয়েছে বলে রিপোর্ট করা যেতে পারে। এমনকি এর সাহায্যে দূর থেকেই ডিভাইসটির লক বা তথ্য মুছে ফেলা যায়।
থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার
হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ডিভাইসগুলোর খোঁজের জন্য গুগল-নির্মিত বেশ কয়েকটি অ্যাপ আছে। এগুলোর মাধ্যমে বাড়ির সদস্যদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে, হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি সহজেই খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এমনকি ফোনটি বন্ধ থাকলেও জিপিএস লোকেটার ব্যবহার করে এগুলো সহজেই লোকেশন খুঁজে বের করে ফেলতে পারে।
এছাড়া কোনো অনিরাপদ স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করা যায়। আর কল ফরওয়ার্ড করা, লক সেট করা, ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা এই অ্যাপগুলোর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভূক্ত। অ্যাপগুলোর মধ্যে লাইফ-৩৬০, লস্ট অ্যান্ড্রয়েড, হোয়্যার্স মাই ড্রয়েড এবং অ্যান্টি থেফ্ট অ্যাপগুলো বেশ কার্যকর।
পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আইএমইআই সংখ্যা ব্যবহার
আইএমইআই নম্বর দিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনটি ট্র্যাক করতে আইএমইআই ট্র্যাকার-ফাইন্ড মাই ডিভাইস নামে একটি থার্ড পার্টি আইএমইআই ট্র্যাকিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
ফোনের আইএমইআই বা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি নাম্বার হল ১৫-অঙ্কের একটি সংখ্যা যা প্রত্যেকটি ফোনের জন্য অনন্য। এটি স্মার্টফোনের সেটিংস ছাড়াও ডিভাইসের ব্যাটারি সংলগ্ন স্থানে পাওয়া যায়। আইএমইআই নাম্বার দিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া যায়। উপরন্তু, আইএমইআই ট্র্যাকার আইএমইআই নাম্বার ধরে ফোনটি ব্লক করে দেয়, যেন ভবিষ্যতে অন্য কেউ ফোনটি ব্যবহার করতে না পারে।
চুরি হওয়া আইফোন ট্র্যাক করার উপায়
ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপ ব্যবহার
আইফোন হারানো গেলে কম্পিউটারে ওয়েব ব্রাউজারে গিয়ে আইক্লাউড-এ সাইন ইন করতে হবে। সেখানেই পাওয়া যাবে ফাইন্ড মাই আইফোন লিঙ্ক। এরপর মাই আইফোনের ইন্টারফেসে ড্রপ-ডাউন মেনু থেকে সমস্ত ডিভাইস চেক করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির মডেল নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর অ্যাপটি মানচিত্রে আইফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা শুরু করবে।
আইফোন হারানো গেলে লস্ট মোড সক্রিয় করা জরুরি। এটি যে কোন দূরত্বে থেকে ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করা ছাড়াই ডিভাইস লক করে দিবে। তাছাড়া এর লক স্ক্রিনে ডিভাইসের ফোন নম্বর সহ একটি বার্তা প্রদর্শন করবে। ফলে আশেপাশের লোকজনের কেউ ডিভাইসটি কুড়িয়ে পেলে সাথে সাথে আসল ব্যবহারকারিকে ফোন দিতে পারবে। শেষ উপায় হিসেবে এই অ্যাপ দিয়ে দূর থেকেই আইফোনের ডাটা মুছে ফেলা যায়। এতে করে আইফোনটি আর ট্র্যাক করা যাবে না, তবে ডাটা ভুল হাতে চলে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে। দূর থেকে আইফোনের ডাটা মুছে ফেলার আগে আইক্লাউড ব্যাকআপে গুরুত্বপূর্ণ ফটো, ভিডিও, গান এবং অন্যান্য ডাটার অনুলিপি করে রাখা উচিত।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অ্যান্টি-থেফ্ট অ্যাপ ব্যবহার
এই থার্ড পার্টি অ্যাপটি আইফোনসহ আইপ্যাড বা ম্যাকবুক যাই হোক না কেন, যে কোন অনুপস্থিত ডিভাইস খুঁজে পাওয়াটা অত্যন্ত সহজ করে তোলে। এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এর একক ইন্টারফেসে সমস্ত ডিভাইস সংযুক্ত করা যেতে পারে। এই অ্যাপ ডিভাইসটি ধরে থাকা ব্যক্তির ছবি তুলতে পারে, ডিভাইসটি কোন এলাকায় প্রবেশ করলে বা ছেড়ে যাওয়ার সময় সতর্ক করতে পারে।
প্রি অ্যান্টি-থেফট চালু রাখার জন্য অ্যাপটি আগে থেকেই আইফোনে ইনস্টল করে রাখতে হবে। ডিভাইস হারানো গেলে বা চুরি হলে যে কোন ওয়েব ব্রাউজারে প্রে-প্রোজেক্ট খুলতে হবে। এরপর ব্যবহারকারির অ্যাকাউন্টের শংসাপত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। ভেতরে প্রবেশের পর ডিভাইসের তালিকা থেকে ব্যবহারকারি নিজের হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটি সনাক্ত করবেন। ইনবক্সে রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অনুপস্থিত নামের বিকল্পটিতে টগল করতে হবে। এখান থেকে অ্যালার্ম ট্রিগার করা, দূর থেকে ডিভাইস লক করা এবং ডাটা মুছে ফেলার মত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
গুগল টাইমলাইন ব্যবহার
আইফোনের লোকেশন মুড অন থাকলে গুগলের টাইমলাইন ডিভাইসের সমস্ত অবস্থান রেকর্ড করবে। ফলে আইফোনটি হারিয়ে গেলে, মানচিত্রে অবস্থানের তথ্য অ্যাক্সেস করে শেষ অবস্থানটি জানা যাবে। এর জন্য অবশ্যই একটি নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট কানেকশন চালু থাকতে হবে।
পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
এই প্রক্রিয়াটির জন্য প্রথমে যেতে হবে গুগলের টাইমলাইনে। গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। অতঃপর হারিয়ে যাওয়ার দিন-তারিখ নির্বাচন করে দিলে স্ক্রোল করে আইফোনের সর্বশেষ রিপোর্ট করা অবস্থান দেখা যাবে। অবস্থানের সাথে সাথে ফোনটি গুগলের সাথে শেষবার সংযুক্ত হওয়ার সময়টি নোট করতে হবে। এভাবে দূরত্ব ও সময় তথ্য থেকে সূত্র গ্রহণ করে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটির খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। লোকেশনে গিয়ে ডিভাইসটি সংগ্রহের সময় প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
অয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা
হোক সেটা আইফোন বা সেলুলার সহ একটি আইপ্যাড, হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস সম্পর্কে ওয়্যারলেস ক্যারিয়ারে রিপোর্ট করা উচিত। কল, টেক্সট এবং ডাটা ব্যবহার রোধ করতে ক্যারিয়ারকে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করতে বলতে হবে।
আইহাউন্ড ব্যবহার
হারানো আইফোনটি অন্য কোন কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হলে এই বিনামূল্যের নিরাপত্তা প্রোগ্রামটি আসল ব্যবহারকারিকে সতর্ক করে। পাশাপাশি ডিভাইসটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার অবস্থানও ট্র্যাক করে। আইফোনটি কোন কম্পিউটারে প্লাগ ইন করার সাথে সাথেই এর আসল ব্যবহারকারি একটি ইমেল নোটিফিকেশন পাবেন।
অতঃপর আইহাউন্ড-এর ওয়েবসাইটে লগ ইন করে এটি কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে তার একটি বিশদ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। প্রায় সময়ই চোর আইফোন সুইচ অফ করে মেমরি কার্ড ফরম্যাট দিতে একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে। এ ক্ষেত্রে আইহাউন্ড ফোন ট্র্যাক করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখে।
পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
শেষাংশ
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়গুলো শুধু তাৎক্ষণিক ট্র্যাকিং-এই সাহায্য করে না, বরং ফোনটি ব্যবহারে পূর্ব-সতর্কতার প্রতিও গুরুত্বারোপ করে। যে কোন ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাঁটা বা ভ্রমণের সময় সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে যে, ফোনটি ব্যাগে নিরাপদে সুরক্ষিত আছে। ফোনের লক স্ক্রিন পরিবর্তন করে তার স্ক্রিনশট নিয়ে বন্ধুর ফোনে শেয়ার করে রাখতে হবে। পরামর্শ দিই। এতে হারানো ফোনটি অনুসন্ধানের সময় সুবিধা হবে। চুরি যাওয়া ফোনটির অবস্থান ট্র্যাক করা গেলে নিজে থেকে একাকী এটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা উচিত নয়। এতে মারাত্মক প্রাণঘাতী হুমকি থাকতে পারে। এধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে পুলিশী সহায়তা নেয়া উত্তম।