শ্রমিক নিহত
আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। এছাড়াও পোশাক শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেছে তারা।
সোমবার বিজিএমইএ মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
নিহত কাউসার হোসেন খান আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।
নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনা শিগগিরই পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
সোমবার সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবোতে মণ্ডল গ্রুপের কারখানায় বিক্ষোভ করছিল শ্রমিকরা। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনায় বসেন।
এসময় কিছু বহিরাগত ব্যক্তি ২ শ্রমিকের মৃত্যুর মিথ্যা গুজব তুলে কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। এই সংবাদ পেয়ে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরাও সেখানে জড়ো হতে থাকে।
দুই বহিরাগত ব্যক্তি বাইরে থেকে কারখানার ভেতরে গুলি ছুড়লে কারখানা ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়, আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিচে নেমে আসলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বহিরাগতরা ও শ্রমিকরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়ে।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ও শ্রমিক গুরুতর আহত হলে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনাম মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউসার হোসেন খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১১ জন সদস্য বর্তমানে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ বিজিএমইএ’র
২ মাস আগে
আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকেদর সংঘর্ষে নারী শ্রমিক নিহত
সাভারের আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রোকেয়া বেগম নামে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন শ্রমিক।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিল্পাঅঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত নারী রোকেয়া বেগম মাসকট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। তিনি গাইবান্দা সদরের গুদারহাট এলাকার মাসুদ রানার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে আশুলিয়ায় ২১৯ কারখানা বন্ধ
শ্রমিকরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে জিরাবো এলাকায় বন্ধ থাকা মাসকট গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এ সময় পাশের সাউদান ও রেডিয়ান্স গার্মেন্টেস থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর সাউদার্ন ও রেডিয়েন্সের শ্রমিকদের সঙ্গে মাসকটের শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাসকট গ্রুপের নারী শ্রমিক রোকেয়া বেগমসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সেখানে পিএমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা রোকেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও অন্য আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুলিয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে এখন পর্যন্ত ১৮টি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ রয়েছে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব যায়গায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার ধসে শ্রমিক নিহত
সিরাজগঞ্জ সদরে নির্মাণাধীন একটি সেতুর গার্ডার ধসে জুবায়ের (২৩) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সেখানে কর্মরত আরও দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকার ইকোনমিক জোনে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
নিহত জুবায়ের সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর মহল্লার মাহমুদ আলীর ছেলে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডারে তিনজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনটি গার্ডার ধসে পড়ে। এ সময় জুবায়ের গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহত দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নসিমন-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
৮ মাস আগে
গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ: শ্রমিক নিহত
বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ চলাকালে রাসেল হাওলাদার নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ভোগড়াসহ আশপাশের এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাসেল হাওলাদার নগরীর ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কোম্পানির বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার কলম্বিয়া কারখানার পাশের নুর আলমের বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিহত বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের লাশ নাটোরে পৌঁছেছে
এদিকে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করলেও পুলিশের দাবি, তাদের গুলিতে কেউ মারা যায়নি।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে সোমবার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। শ্রমিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ আন্দোলনরত অন্য কারখানার শ্রমিকদের উপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সে সময় দোকানের সামনে থাকা রাসেল গুলিবিদ্ধ হন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে তায়ারুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারেক হাসান জানান, হাসপাতালে একজন গার্মেন্ট কর্মীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। মৃতের গলা ও শরীরে ছোট ছোট গোলাকার লাল রঙের দাগ ছিল। আবার হাতে পুরোপুরি ব্যান্ডেজ করা ছিল।
তিনি আরও জানান, আমরা পুলিশের মাধ্যমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি জানান, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে মনে হয়নি, তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সিদ্দিক জানান, পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে।
ওসি আরও জানান, একপর্যায়ে তারা একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে কেউ মারা গেছেন কি না এমনটা তার জানা নেই।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম কাজেম নিহত
ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
১ বছর আগে
পাবিপ্রবিতে ২ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পিডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রকল্প পরিচালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আসামিরা হলেন- প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাজিরুল হক, পরিচালক হারুনুর রশিদ, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জিএম আজিজুর রহমান, আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিজানুর রহমান, সাইট ইঞ্জিনিয়ার সুজাদৌল্লাহ এবং সাইট ইঞ্জিনিয়ার হোসাইন। এর মধ্যে হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাসড়ক সংস্কারের সময় ট্রাকের ধাক্কায় কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তদারকি ও অবহেলাজনিত অভিযোগ দায়ের পর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির নির্মাণাধীন ১২তলা শেখ রাসেল হল ভবন থেকে রশি ছিঁড়ে পড়ে তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে পাবনার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহীতে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর মসুদেবপুর বাগানপাড়া এলাকার আনিসুর রহমানের ছেলে তুহিন ও রমনার গ্রাম ঘান্টি গেতাগাড়ী এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে বার বার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রমিকের প্রাণ ঝরছে। সর্বশেষ দুইজনসহ এনিয়ে নির্মাণের সময় অন্তত ১৫ জন শ্রমিকের প্রাণ গেল পাবিপ্রবিতে।
বার বার শ্রমিকদের মৃত্যুর দায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গরম পানির ড্রেনে পড়ে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১২
সাতক্ষীরার তালায় ধানের বস্তাভর্তি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিক নিহত ও কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা শ্রমিকেরা হলেন- জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের মন্টু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) ও একই উপজেলার জয়নাগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬)।
আহতরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, একই গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু, একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে শ্রমিক সর্দার এশার আলীসহ ১২ জন।
আহত শ্রমিক তাপশ কুমার দাশ জানান, তারা ২৪ জন শ্রমিক সাতক্ষীরা থেকে ধান কাটার জন্য শরিয়তপুর গিয়েছিলেন। মজুরি হিসাবে পাওয়া ধান নিয়ে সোমবার দিন রাতে একটি পিকআপ ভাড়া করে তারা সাতক্ষীরায় আসছিলেন। কিন্তু গাড়িটি চালাচ্ছিল পিকআপের হেলপার। আমরা নিষেধ করার পরও তারা গুরুত্ব দেয়নি। পথিমধ্যে ভোর পৌনে ৫টার দিকে পাটকেলঘাটা থানার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা বাজারের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পিকআপটি উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে বাসের সুপারভাইজার নিহত, আহত ১৫
এতে ১২ জনের মত শ্রমিক কমবেশি আহত হই এ সময় দুইজন মারা যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে আমাদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা-খুলনা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত হোসেন জানান, শ্যামনগর থেকে ২৪ জন শ্রমিক শরিয়তপুর জেলায় ধান কাটতে যায়। কাজ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তারা ট্রাকে করে বাড়িতে রওয়ানা দেন। মঙ্গলবার সকালে ট্রাকটি কুমিরা এলাকায় পৌছালে চালকের বেপরোয়া চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে শ্রমিকরা গুরুতর আহত হন। ট্রাকে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন সুমন হোসেন।
পরে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল হোসেন নামের আরও এক শ্রমিক। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
১ বছর আগে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত
রাজধানীর কারওয়ান বাজার-১ রেলগেট এলাকায় বুধবার বিকালে ট্রেনের ধাক্কায় এক গুদাম শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহতের নাম আহমেদ আলী (৫৫)। নিহতের ছেলে সুজন আলী জানান, তার বাবা কারওয়ান বাজারে একটি চালের গুদামে শ্রমিকের কাজ করতেন।
নিহতের ছেলে জানান, ঘটনাটি ঘটেছে যখন একই সময়ে দুটি ট্রেন অতিক্রম করছিল এবং আহমেদের শ্রবণ সমস্যা ছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল নছিমন, ৩ ঘন্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল
১ বছর আগে
গাজীপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ২ শ্রমিক নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানার নির্মাণাধীন ছাদ ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকার হ্যামস নামক পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামের কান্দু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৮) ও দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার নানিয়াটিকা গ্রামের রজনী চন্দ্রের ছেলে শ্রী মুকুল চন্দ্র।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত আরিফুল কারখানার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক এবং মুকুল চন্দ্র নির্মাণাধীন ছাদের রড বাধাইয়ের কাজ করছিলেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নির্মাণ শ্রমিক মো. মামুন মিয়া (২৮)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার কাচাকাটা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের কাছু মিয়ার ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য আহত শ্রমিকদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ওই কারখানার নির্মাণ শ্রমিক সজিব আহমেদ জানান, নির্মাণাধীন ভবনের এক তলার ছাদ ধসে পড়ে কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়ে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধসে পড়া ছাদের নিচে তল্লাশি কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
মীরসরাইয়ে রড তৈরির কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় রড তৈরির কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম-এর কারখানার স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোকেল আহাম্মদ (৩২) ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মহেশপুর এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে।
শ্রমিকরা জানান, কারখানায় কাজ করার এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সোকেল গুরুত্বর আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
মীরসরাই জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শ্রমিকের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে রয়েছে। সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসার পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানতে চাইলে বিএসআরএম মীরসরাই ইউনিটের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, সোকেল নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। তবে সে আমাদের কোম্পানির শ্রমিক নয়। সে কোম্পানিতে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাজেরা এন্ট্রারপ্রাইজের অধীনে কর্মরত ছিল। আমি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আলোচনা করে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় নিহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত
২ বছর আগে
রূপগঞ্জে ডকইয়ার্ডে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ডকইয়ার্ডে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক জাহাজ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকায় কিং ফিশার ডকইয়ার্ডে সাংহাই-৮ নামের একটি জাহাজে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নুরুজ্জামান রাজধানি ঢাকার দোহার থানা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬ রোহিঙ্গা দগ্ধ
রূপগঞ্জ থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান জানান, দড়িকান্দি এলাকায় কিং ফিশার ডকইয়ার্ডের সাংহাই-৮ জাহাজে কাজ করার সময় হঠাৎ করে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়।
এসময় নুরুজ্জামান, সহিদুল ও ইউনুস মিয়া নামে তিন শ্রমিক আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুজ্জামানের মৃত্যু হয়।
আহত অপর দুইজনকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এছাড়া খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে নিহতের করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ২
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু
২ বছর আগে