তুলা
খুলনায় তুলা-লেপ-তোষকের দোকানে অগ্নিকাণ্ড
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে তুলা-লেপ-তোষকের দোকানসহ তিনটি দোকান পুড়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মহানগরীর দৌলতপুর মহসিন মোড়ে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও স্থানীয় লোকজন আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৬টার দিকে নগরীর দৌলতপুর মোহসীন মোড় এলাকায় অবস্থিত একটি তুলা-লেপ-তোষকের দোকানের পেছন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে তিনটি দোকানে।
এরমধ্যে দুটি তুলা-লোপ-তোষকের দোকান এবং একটি টায়ারের দোকান ছিল। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, আমাদের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুনে তিনটি দোকান পুড়েছে। আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ৩৭ ঘণ্টায় ১৫টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আসা তুলার ফিউমিগেশন বাতিলকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা বাংলাদেশের বন্দরে ফিউমিগেশন (বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়া) ছাড়াই আসতে পারবে। মঙ্গলবার (১৬ মে) থেকে কার্যকর হওয়া আইন অনুযায়ী বাংলাদেশি আমদানিকারকদের শত শত কোটি টাকা ব্যয়-সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ দিন অপেক্ষার অবসান হবে।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি কারিগরি প্রতিনিধিদল ২০২২ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সফল সফরের পর ১৬ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়।
প্রতিনিধি দলটি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সরজমিনে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেছে এবং তাদের কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা কৌশল যাচাই করে দেখেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার
এই সময়ে তারা তুলা প্রক্রিয়াকরণে যে কৌশলগুলো অনুসরণ করে- জিনিং বা তুলা থেকে বীজ ও ময়লা পরিষ্কার করা, লিন্ট ক্লিনিং বা পাতা, ঘাস বা অন্যান্য উপাদান সরিয়ে ফেলা, তুলার বেল তৈরির সময় কঠোরভাবে চাপানো- দেখে আশ্বস্ত হয়েছে যে আমেরিকা থেকে আমদানি করা তুলাতে বোল উইভিল বা তুলার ভোমরা পোকা থাকার কোনও উপায় বা সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশ তুলা আমদানির দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ, যা দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার সপ্তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজারে পরিণত করেছে এবং যার আর্থিক মূল্য ২০২২ সালে ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
এবং বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় একদিকে আমদানিকারকের কাছে তুলা পৌঁছাতে দেরি হতো। অন্যদিকে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের প্রতিবছর শত শত কোটি টাকা এই বাবদ খরচ করতে হতো।
আমেরিকা থেকে আমদানি করা উচ্চমানের ও টেকসই তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার প্রক্রিয়ার প্রথা বাতিল করায় এখন আমেরিকান তুলা সরাসরি ও সহজেই বাংলাদেশি আমদানিকারকদের মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক খাতের উল্লেখযোগ্য সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারা এবং একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানো ও বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করার একটি বড় উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকান ভোক্তারা যেহেতু বাংলাদেশে উৎপাদিত টেকসই, উচ্চমানের পোশাকের উপর নির্ভর করে তাই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে উচ্চমানের আমেরিকান তুলা প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিকাশ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
গত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আমেরিকার তুলা শিল্পের সহযোগিতায় আমদানি করা তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার বাধ্যবাধকতা বাতিলের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে ক্রমাগত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে 'গভীর সম্পর্ক' এগিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: দূতাবাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে মন্টানায় ব্যক্তিগত ডিভাইসে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে টিকটক
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি তুলার গোডাউনে শনিবার সকালে লাগা আগুন দীর্ঘ ৯ ঘন্টা চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস জানায় যে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলেও বড় ধরণের আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা হিঙ্গুরী পাড়া এলাকায় ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ‘ইউনিটেক্স’-এর মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে আগুন লাগে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, ‘এখনও কুমিরা, সীতাকুণ্ড ও নগরীর আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গুদামটিতে তুলার বড় বড় গাইড থাকায় আগুন সহজে নির্বাপণ করা যাচ্ছে না। এরমধ্যে আশেপাশের যত পুকুর ছিল সবগুলোর পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা পানি সংকটে পড়েছি। আশেপাশের গ্রাম থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
এর আগে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পরে আবার ভেতর থেকে আগুন জ্বলে ওঠে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিক জানান, গোডাউন সংস্কারে টিনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল।
ধারণা করা হচ্ছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চান। এরপর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, তুলার গুদামের পাশের নেমসন ডিপোকে আগুন থেকে রক্ষায়ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পানি সংকটের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছিল। তবে দুপুরের পর নেমসন কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করলেও বিকাল থেকে আবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লোকমানের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স লিমিটেড ভাড়া নেয়। তাদের নিজস্ব সুতা তৈরির কারখানার জন্য সেখানে অনেক তুলা মজুত করা হয়।
রাতে এই রির্পোট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের টিম ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
১ বছর আগে