বিশ্বাসযোগ্য
বাংলাদেশে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সংস্কারে সমর্থন ইইউ'র
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্ভাব্য সমন্বিত অংশীদার ও সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে অংশীদারত্ব গড়ে তোলার নতুন পথ খোঁজার অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এ বার্তা দেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ইইউ একটি সংস্কার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। যেটি হবে 'শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক নীতি, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। একই সঙ্গে যা- স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের' দিকে পরিচালিত করবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট টেকসই উন্নয়ন, সবুজ উত্তরণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আর্থিক ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতির প্রতি ড. ইউনূসের প্রতিশ্রুতিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান।
ইইউ এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এই বিষয়গুলোতে জড়িত রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভন ডের লেইন বলেছেন, ‘আমরা খাতসংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে এবং চলমান উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অতিরিক্ত সহায়তা বিবেচনা করতে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, গ্লোবাল গেটওয়ে ফর ইইউ'র আওতায় রেলওয়ে, পানিসম্পদ, জলবায়ু অভিযোজন, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল ও জ্বালানিসহ নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটিতে ইইউ’র বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
এর পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ফন ডের লিয়েন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে তারা ড. ইউনূস প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
তিনি বলেন, ‘আমরা এই খাতগুলোতে নীতি উন্নয়ন এবং কার্যকর প্রশাসনকে সমর্থন করার জন্য লক্ষ্যযুক্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা একীভূত করে এবং যেখানে প্রাসঙ্গিক সেখানে ইইউ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এই কাজের প্রভাবকে সর্বাধিক করতে চাই।’
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার পূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ইইউ নিয়মিত সমন্বয় সভা আয়োজন করতে প্রস্তুত। যাতে ইইউ কর্মসূচিগুলোর সময়োপযোগী করা যায়, তাদের সহায়তার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা এবং তাদের অভিন্ন অগ্রাধিকারগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং অংশীদারত্বকে জোরদার করতে নতুন অনুরোধগুলো মূল্যায়নের কৌশলগত সংলাপ নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৬২ দিন আগে
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিতে চাই: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থার ঘাটতি থাকলেও তারা অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ নিতে চান।
তিনি বলেন, 'জনসাধারণের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে। আমাদের ও সরকারের ওপর কোনো আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে হয় না (মানুষ মনে করে)। আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ হয় সে চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে চাই।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় ৫০ জন ইউএনও ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা অংশ নেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা মনিটরিং ও মিডিয়া নজরদারির মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে আস্থার সংকট না হয় সেজন্য অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব- নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা- তাদের আরপিও অনুযায়ী সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ (দায়) আমাদের ওপর পড়েছে। তাই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সিইসি নির্বাচনের সময় কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন থেকে আমরাও কঠোরভাবে মনিটরিং করব।
নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা মনে রাখতে বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, 'এটা অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০ ও ৭০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে ব্রিটিশ আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটেছিল... তবে এর মাত্রা কিছুটা কম ছিল।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'বিশ্বাসযোগ্য' বলে একটি শব্দ আছে, যা সব দেশের আইনে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। ‘এটি কেবল তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে যখন আমরা আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারি।’
প্রচার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার কঠোরভাবে দমন করবে ইসি।
তিনি বলেন, এখন গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়, যাকে ভুল তথ্য বা কুতথ্য বলা হয়। তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা কঠোরভাবে এসব প্রতিহত করব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে ইইউ'র চিঠির জবাব দিলেন সিইসি
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনের মাধ্যমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে: সিইসি
৫৪৬ দিন আগে
বাংলাদেশে 'বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের কথা বলেছে জাতিসংঘ
জাতিসংঘ বাংলাদেশে 'শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনকে উৎসাহিত করেছে।
৩১ জুলাই জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন যে জাতিসংঘ শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উদারতার প্রশংসা করে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র বলেন, ‘এবং আমরা আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব পক্ষকে মৌলিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনকে সম্মান করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নিয়ে মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া মূলত সদস্য দেশগুলোর কাজ।’
সাংবাদিক লাভলু আনসার বলেন, ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তা সত্ত্বেও তিনি বলেন যে তথাকথিত নাগরিক সমাজের কিছু মানুষ, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কিছু সংগঠন এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্যও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
তথাকথিত নাগরিক সমাজ ও মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ওই সাংবাদিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ দল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
৬০৮ দিন আগে
ফয়জুল করিমের ওপর হামলা আবারও প্রমাণ করে আ.লীগের অধীনে কখনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য ক্ষমতাসীন দলের 'ক্যাডারদের' দায়ী করেছেন।ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ধর্মীয় নেতা এবং একজন মেয়র প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য। এই বর্বরোচিত হামলা আবারও উন্মোচিত করেছে যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী ছাড়া বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীকে সহ্য করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যে কোনো উপায়ে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার মনোভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারে না বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের নির্বাচন করতে ইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একজন মেয়র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা আক্রান্ত, সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়? এমন নির্বাচনী পরিবেশের কারণে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম অভিযোগ করেছেন যে কাউনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের হামলায় তার সমর্থকদের পাশাপাশি তিনি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোটার ও তার এজেন্টদের কাউনিয়া কেন্দ্র ও মানিক মিয়া কেন্দ্র ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইএবি।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
৬৫৭ দিন আগে
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না এটা এখন বাস্তবতা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তা গ্রহণ করা হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সত্য এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ কখনই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো স্থান নেই, এটি সারা বিশ্বে এখন স্বীকৃত।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণরূপে স্বৈরাচারী শাসকের হাতে, তাই গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এখানে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারা বিশ্বে যারা স্বাধীন সংবাদপত্র, গণতন্ত্র এবং ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, , তারা সবাই এক বাক্যে বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, কারণ ভিন্ন মতামত সহনশীল করার মানসিকতা সরকারের নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (সরকার) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং বাঁচার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
৬৭০ দিন আগে
আমরা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ানকে বলেছেন, ‘আপনাদের এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আমরাও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।’
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোমনে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের পক্ষ বিষয়টি উত্থাপন করেনি, তিনি (মোমেন) নিজেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার একটি ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন’ নির্বাচন কমিশনসহ একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করেছে।
মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনগণ তাদের (আ.লীগ) করা ‘ব্যাপক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা’র জন্য আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।
অন্যদিকে, অ্যান-মারি এক টুইটে বলেছেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সংকট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
নিরাপদে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজ দেশে ফিরে না যেতে পারা পর্যন্ত তাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি বাংলাদেশের বিনিয়োগ যাত্রার কথা শুনে আনন্দিত এবং ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩-এ বক্তৃতা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য পারস্পরিক বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে তাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছে মোমেন
৭৪৯ দিন আগে