কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদী
বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
বান্দরবানের থানচিতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা রবিবার একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং অপর দুই সেনা আহত হয়।
নিহত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে টহল দল রবিবার দুপুরে মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যাওয়া একটি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যায়।
আইএসপিআর জানায়, দুপুর ১টার দিকে সশস্ত্র কেএনএ সদস্যরা অতর্কিতভাবে একটি অ্যামবুশ ভ্যানটেজ পয়েন্ট থেকে টহল দলের ওপর গুলি চালায়, এতে ওয়ারেন্ট অফিসার ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও দুজন আহত হন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
আইএসপিআর জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা অর্থের জন্য বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থানচিতে চলমান সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী গ্রুপ। ব্যর্থ হয়ে তারা ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ১২জন শ্রমিককে অপহরণ করে।
তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক বুলেটে আহত হয়েছেন এবং চারজন শ্রমিক এখনও কেএনএ-র হাতে জিম্মি রয়েছে।
বাকি সাত শ্রমিককে মুক্তিপণের জন্য ছেড়ে দেয়া হলেও তারা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করার হুমকি দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেএনএ বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধের হুমকি দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতিকে একটি নোটিশ পাঠায়।
কেএনএ সদস্যদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে জেলা প্রশাসন ১২ মার্চ (রবিবার), ২০২৩ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
১ বছর আগে