ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়
১ সেপ্টেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু, চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। আর এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
রবিবার (২৫ আগস্ট) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হজের সময় সৌদি আরবে গাজা বিষয়ে ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ নিষিদ্ধ
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক নিবন্ধনের উল্লেখিত সময় পরে আর সময় বাড়ানো হবে না। আগের বা নতুন প্রাক-নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি ৩ লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন।
হজ প্যাকেজ মূল্যের অবশিষ্ট টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এ বছরের হজ প্যাকেজ মূল্য সৌদি পর্বের ব্যয় ও বিমান ভাড়া নির্ধারণ সাপেক্ষে ঘোষণা করা হবে। তবে ২০২৫ সালের সাধারণ হজ প্যাকেজ মূল্য গত বছরের চেয়ে কমানোর চেষ্টা করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের প্রাক-নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার টাকা। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের জন্য হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। কোটা পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাথমিক নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ প্যাকেজের বাড়ি বা হোটেলে একরুমে সর্বোচ্চ ৬ সিট থাকবে। তবে প্যাকেজ আপগ্রেডেশন সুবিধা থাকবে। হজ এজেন্সিগুলো বিশেষ প্যাকেজের সুবিধা দিয়ে হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের
হজ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত এজেন্সির তালিকা www.hajj.gov.bd এ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ১৬১৩৬ নম্বরে ফোন করে জানা যাবে হজ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য। ই-হজ সিস্টেম (www.hajj.gov.bd), ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপ থেকেও সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছুরা সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও ঢাকার আশকোনার হজ অফিস থেকে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন।
এছাড়া বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।
সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছুদের সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয় শাখা, মতিঝিল ঢাকার (সেল প্রসিড অফ হজ ডিপোজিট) ০০০২৬৩৩০০০৯০৮ হিসাব নম্বরের অনুকূলে টাকা জমা দিতে হবে।
এছাড়া সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখায় ভাউচারের মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দেওয়া যাবে। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
ক্যানসার, অ্যাডভান্সড কার্ডিয়াক, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগ, সংক্রামক যক্ষা প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং গর্ভবতী নারী ও চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের নিবন্ধন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৩ মাস আগে
এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
হাইকোর্ট বলেছেন, এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে? এত টাকার প্যাকেজ নির্ধারণ তো অমানবিক। বিশ্বের অন্যান্য দেশে হজের জন্য সরকার আলাদা বরাদ্দ রাখে, আমাদের এটি নেই কেন?
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের খরচ কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে করা এক রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার দিন রেখেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আশরাফ-উজ-জামান নিজেই শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আওলাদ হোসেন।
পরে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘আদালত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে হজ প্যাকেজের সর্বশেষ অবস্থা আমাকে জানাতে বলেছেন। এরপর বুধবার রিটের ওপর পরবর্তী শুনানি হবে।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি হজ প্যাকেজে ন্যূনতম খরচ ৬.৭২ লাখ টাকা: হাব
হাইকোর্ট আরও বলেছেন যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার হজ ফান্ড আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ফান্ড কম। একমাত্র বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন। তারপর এ বিষয়ে কেউ চিন্তা করেননি।
সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাইরে অন্য যে কোনো এয়ারলাইন্সের টিকিট ক্রয় করার সুবিধা না থাকার বিষয়ে আদালত বলেন, এখানে ব্যবসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক স্মারকে হজ প্যাকেজ (২০২৩ সাল) ঘোষণা করে। হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর এই খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানিয়ে ৬ মার্চ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আশরাফ-উজ-জামান।
নোটিশে ওই স্মারক সংশোধন বা পরিবর্তন করে চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ (২০২৩ সাল) সাত দিনের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এতে ফল না পেয়ে ১২ মার্চ রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ নির্ধারণ
আইনজীবী আশরাফ উজ জামান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-সৌদি-বাংলাদেশ রুটে প্লেন ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। প্রতি বছর দুই দেশের সরকার হজ যাত্রীদের সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে টিকিট কিনতে হজ যাত্রীদের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়। এসব কারণসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ-২০২৩ সংশোধন, পরিবর্তন এবং পুনর্নির্ধারণ করতে আইনী নোটিশে অনুরোধ করা হয়।
পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে গত ১২ মার্চ আইনজীবী আশরাফ উজ জামান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ডলার সংকট এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে