অঙ্গীকারবদ্ধ
২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে যে অঙ্গীকার করেছেন, তা পূরণে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: ২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেইর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বলেন, ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে কুষ্ঠ বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬। সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে সেটি দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
এ জন্য যথা শিগগিরই কুষ্ঠ শনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, কুষ্ঠ রোগীদের পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার নানান পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলেও অবহিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকারসহ নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো চাপে নেই, আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে চাই, এখানে ধর্ম বা জাতপাতের কিছু নেই। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি, সব মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করি।’
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় নেতা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গৌতম বুদ্ধের জন্ম, সিদ্ধিলাভ ও মহানির্বাণ লাভ—এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: 'সুন্দর জীবনের' জন্য উন্নত ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
এ সময় অগ্রগতি ও ঐক্যের প্রতি তার সরকারের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশে সব সময় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি, সৌহার্দ্যপূর্ণ চেতনা নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা বিশ্বের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকে আবার বাংলাদেশকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিতে পারছে না। আমাদের মানসিকতা, বাংলাদেশের মানুষ অনেক উদার। আমরা সবাই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পছন্দ করি। এভাবেই আমরা এগোচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গৌতম বুদ্ধের ভাষায় ‘প্রত্যেক ধর্মের মূল নীতি হলো মানবকল্যাণ।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নেও সরকার কাজ করছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি পৃথক তহবিল রয়েছে যেখান থেকে অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিদের কেবল ধর্মীয় কর্মকাণ্ডই নয়, অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়নের জন্যও বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়।
দেশে মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আসলে জীবিকার জন্য আমাদের প্রায়োগিক শিক্ষা প্রয়োজন। সবাই শুরু থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। ধর্মীয় উপাসনার স্থানে বসে তারা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও অনুশীলন করতে পারে এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তাগুলো শিখতে পারে। তার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’
নেপালের লুম্বিনী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের সঙ্গে সরকারের চুক্তি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তারা সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি বুদ্ধ মন্দির নির্মাণ করবে কারণ আমরা গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থানে বাংলাদেশের একটি প্রতীক রাখতে চাই।’
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি লুম্বিনিতে। বুদ্ধের জন্মস্থান শান্তির আবাস এবং বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং শান্তিপ্রেমীদের জন্য একটি চূড়ান্ত তীর্থস্থান।
বুদ্ধ ৬২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং শান্তি ও করুণার সার্বজনীন বার্তা প্রচার করেছিলেন। এটি বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, বেদান্ত শিলভদ্র ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির ৪ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের বোঝা রয়ে গেছে বলে স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সরকার এসব পণ্যের মূল্য সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন,‘পদ্মা সেতু ও ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা বাস্তবায়িত হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের জাতীয় উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'অনেক সংশয় থাকা সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আমরা আরও চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি, আমরা নির্ভীক এবং তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
১০ মাস আগে
নির্বাচন কমিশনের দেয়া দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ পুলিশ: আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে।
তিনি বলেন, সেসময় কমিশন পুলিশকে যেভাবে দায়িত্ব দিবে, পুলিশ সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
বুধবার বিকালে বরিশাল নগরীর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও স্মৃতি লাইব্রেরি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইজিপি।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ একে অপরের পরিপূরক। এরা এক হয়ে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে। কোন সাংবাদিক যদি নির্যাতনের শিকার হয় পুলিশ সেই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও আশ্বাস দেন আইজিপি।
অনুষ্ঠানে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আইজিপি আসার পূর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা অসদাচারণ করায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে সাংবাদিকরা।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সাংবাদিকরা জানান, দায়িত্ব পালন করতে এসে তারা পুলিশ সদস্যদের অসদাচারণে শিকার হয়েছেন। তাই সড়ক অবরোধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর: আইজিপি
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে বাংলাদেশ পুলিশ: আইজিপি
১ বছর আগে