রকিব
জামিন পেলেন মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির পর এবার তার স্বামী রকিব সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মারামারি মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রকিব সরকারের আইনজীবীরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিয়াজ মাখদুম এর আদালতে তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে হুইল চেয়ারে চড়ে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসানুল হক বলেন, রকিব সরকারের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে দুই মামলায়ই তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। একই মামলার আসামি তার স্বামী রকিব সরকার সেদিন দেশে না এসে পরদিন রবিবার সকালে দেশে ফেরেন।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়ে তিনি সোমবার তার স্ত্রী মাহিয়া মাহিকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে যান জামিন নিতে।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর মাহি বলেন, আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অনন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।
রকিব সরকারের আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার বলেন, রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলাসহ দুইটি মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। পরবর্তী পুলিশ প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত এই জামিন বহাল থাকবে।
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল। আর অপর মামলাটির দিন ধার্য হয়েছে ২৫ মে তারিখে।
পুলিশের দেয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় নায়িকা মাহি ও তার স্বামী আসামি হয়েছেন।
মাহিয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশ কমিশনারের দেড়কোটি টাকা লেনদেনের কথা বলে পুলিশ বিভাগ, পুলিশ কমিশনার ও তার পারিবারিক ভাবমূর্তি ও মর্যাদা দারুন ভাবে ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছেন জিএমপি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
১ বছর আগে