৩ জন
যুগান্তরের সম্পাদক-প্রকাশকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শিরোনামে প্রকাশিত এক নিবন্ধের জন্য যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলাম ও নিবন্ধ লেখক মোহাম্মদ আবদুস ছালামের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে কেন নিবন্ধ লেখক, যুগান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশককে আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে আগামী রবিবারের মধ্যে তাদেরকে এ বিষয়ে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শিরোনামে মোহাম্মদ আবদুস ছালামের লেখা নিবন্ধ ১ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বিচার বিভাগ পৃথকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে গত সোমবার ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিম হোসেইন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিদুয়ানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম।
নিবন্ধটি তুলে ধরে শুনানিতে আইনজীবী তানিম হোসেইন বলেন, যা লেখা হয়েছে, তা ঘটনাগতভাবে সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশন হয়েছে। খুবই কৌশলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গকে মুখোমুখি করে দেওয়ার একটা প্রয়াস মনে হয়েছে। আদালত অবমাননার রুল দেওয়ার আরজি জানান তিনি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান পেয়েছে গুম কমিশন
১ মাস আগে
বিদিশা এরশাদসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মালামাল চুরির অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকসহ (বিদিশা এরশাদ) তিনজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে সোমবার (২৯ জুলাই) মোরশেদ মঞ্জুর রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী মামলার আবেদনটি করেন।
বিদিশা এরশাদ ছাড়া বাকি দুই বিবাদী হলেন- গাইবান্ধার বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও শাহজাদা খন্দকার।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় তিন নাশকতার মামলায় ৬৭ জন গ্রেপ্তার
ব্যবসায়ী মোরশেদ মঞ্জুর নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন শফি টাওয়ারের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রুবেল সুপার মার্কেট ও ঢাকার ইসলামপুরের মেসার্স লতিফা বাহাদুর ফেব্রিক্স নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হাশেম বলেন, ‘আবেদনের পর আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য আগামী ৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।’
মামলার আবেদনে বলা হয়, বিদিশার স্বামী তথা এরিক এরশাদের বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক বিভিন্ন জটিলতায় বিদিশা ও এরিক আর্থিক অসুবিধায় পড়েন। মানবিক কারণে বাদী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রচুর আর্থিক সাহায্য করেন। ভাড়ায় লাগিয়ে এ অর্থ পরিশোধের জন্য বিদিশার পরামর্শে এরিক তাদের ট্রাস্টের পাঁচটি নিশান, জিপ, মাইক্রোবাস আমমোক্তারমূলে বাদীর কাছে হস্তান্তর করেন। বিদিশাও গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ৩৯ লাখ টাকায় তার মালিকানাধীন একটি সিডান গাড়ি বাদীর কাছে বিক্রি করে দখল হস্তান্তর করেন এবং মালিকানা হস্তান্তরের জন্য হলফনামাও সম্পাদন করে দেন। এছাড়া বিভিন্ন তারিখে বিদিশা ও তার ছেলে এরিকের কঠিন সময়ে বাদী নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ধারও দেন। বিপরীতে বিদিশার পরামর্শে এরিক বাদীকে ৯০ লাখ টাকার দুইটি চেক প্রদান করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, বিদিশা অপর দুই বিবাদীর সহযোগীতায় গত ২১ এপ্রিল বাদীর খুলশীর শফি টাওয়ারের বাসা থেকে বৃদ্ধ বাবা মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২২টি হাতঘড়ি, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অলিখিত ও স্বাক্ষরবিহীন ৬টি চেক বই, দুটি স্যামসাং এনড্রয়েড মোবাইল ও একটি অপ্পো মোবাইল, বিদিশার কাছ থেকে কেনা গাড়ির ডকুমেন্টস ফাইল, এরিক থেকে কেনা গাড়ির ডকুমেন্ট ও স্ট্যাম্প, বিদিশার সঙ্গে ৩টি ব্যবসায়িক চুক্তি ও ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত বিদিশার কাছ থেকে নেওয়া একটি রেস্টুরেন্টের দোকান ভাড়ার দলিল, মোটরসাইকেলের ক্রয় রশিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও দলিলাদি, ব্যাগে রক্ষিত নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এসময় বাদীর পিতা-মাতাকে বলা হয়, তোমাদের পোলা আমাদের ম্যাডামের সঙ্গে টক্কর দিতে আসছে। বাঁচতে চাইলে ম্যাডামের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে।
বাদীর বাসা থেকে এসিসহ আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও মামলার আবেদনে বলা হয়।
বিবাদীরা একটি সংঘবদ্ধ দল, যারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানুষের সর্বস্ব লুটে খায় উল্লেখ করে আবেদনে আরও বলা হয়, প্রাপ্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা শোধের জন্য এরিককে আইনি নোটিশ দিলে বিবাদী বিদিশা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদিশা এরশাদ গণমাধ্যমকে জানান, মোরশেদ মঞ্জুর তাদের গাড়িচালক ছিলেন। তাদের গাড়ি চুরির অভিযোগে মোরশেদ মঞ্জুর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে বাঁচতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিটিভি ভবনে নাশকতা মামলায় বিএনপির শিমুল বিশ্বাসসহ ৭ জন রিমান্ডে
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ১৪ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২৪৩: ডিএমপি
৪ মাস আগে
কৃষকের কিডনি চুরি, দুই চিকিৎসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে কিডনি চুরির অভিযোগে ডা. রবিউল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মো. আবু বক্কর নামে এক কৃষক।
রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম এবং তাদের ছেলে ডা. রাজিব হোসেন।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
আসামিরা মীরসরাই উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও নগরীর খুলশী থানার চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বসবাস করেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে এক কৃষকের কিডনি চুরির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী মো. আবু বক্কর গ্রামে কৃষিকাজ ও পশু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ডা. রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ২০১২ সালে চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স স্টাফ কোয়াটারে বাসায় নিয়ে গিয়ে ডা. রবিউলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সিঙ্গাপুরে ডা. রবিউলের চিকিৎসা করার জন্য তাদের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট প্রয়োজন বলে জানান আবু বক্করকে। ২০১২ সালে ১০ মার্চ ডা. রবিউল হোসেন, তার স্ত্রী খালেদা বেগম, ডা. রাজীব হোসেনসহ তিনি সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ডা. রবিউলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রাজিব হোসেনের চিকিৎসার জন্য আবু বক্করকে টিস্যু দেওয়ার অনুরোধ করেন ডা. রাজিব। একই বছরের ৩ এপ্রিল বক্করের অপারেশন সম্পন্ন করে ৯ এপ্রিল বক্করকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১৫ এপ্রিল বক্করকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে আসামিদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং আই ইনফর্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফিজিক্যাল আনফিট দেখিয়ে বক্করকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর থেকে বক্করের শারীরিক সমস্যা হলে ২০২৪ সালের ২১ মে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করান। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তাকে চিকিৎসক জানান, তার ডান কিডনি নেই। সার্জারির মাধ্যমে তার ডান কিডনি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপর আসামিদের বিষয়টি বললে, তারা কাউকে বিষয়টি না জানাতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা শিপইয়ার্ডের সাবেক এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
শাহবাগ থানায় কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ বোনসহ ৩ জনের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই বোনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) কচাকাটা থানা এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১) ও মাছুমা (৬) এবং নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে সেচ পাম্পের ঝুলানো বিদ্যুতের তারে তাদের গলা আটকে যায়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে প্রায় একই সময় নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ভেলায় চড়ে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলার লগি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের সঙ্গে লেগে যায়। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তারও মৃত্যু হয়।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় বলেন, তিনজনের লাশ পরিরারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে পৃথক স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
৫ মাস আগে
মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মা মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে ছেলে মুন্না বাবুসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরে তাদের কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন, মিরপুর থানার কাঠদহর চর গ্রামের মৃত ফজল বিশ্বাসের ছেলে মুন্না বাবু, ইয়াছিন আলির ছেলে রাব্বী আলামিন এবং ইনছার বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল কাদের।
এর মধ্যে মুন্না বাবুর আপন চাচা আব্দুল কাদের।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার এবং আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলার কাঠদহর চর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মমতাজ বেগম।
এ ঘটনায় তার ভাই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে সন্দেহমূলকভাবে মমতাজের ছেলে মুন্না বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় চাচা আব্দুল কাদেরের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি মাকে হত্যা করেন।
পরে লাশ একটি বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরের কাদার মধ্যে পুঁতে রাখে। মুন্নার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে।
পরে এই হত্যাকাণ্ড তাদের দায় স্বীকার করে দণ্ডপ্রাপ্ত মুন্না ও রাব্বী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, দীর্ঘ শুনানি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৬ মাস আগে
জয়পুরহাটে কৃষক বুলু মিয়া হত্যায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
পারিবারিক বিরোধের জেরে জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ- ২ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভেকেট উদয় সিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশ্বুর বাড়িতেই থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। ওই রাতেই আসামিরা পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরদিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরির ট্যাংকির উপর তার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ছেলে হত্যা মামলায় বাবা-মায়ের যাবজ্জীবন
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ মে) উপজেলার হামিরদী ও কৌডুবি সদরদী এলাকায় এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত
নিহতরা হলেন- আবুল কাশেম শেখ, তার ভাই নাজমুল শেখ, ৮ বছর বয়সী মুরসালীন এবং ভাঙ্গা কেএম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শ্রাবন্তী।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হামিরদী এলাকায় একটি ইট বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে হাসপাতালে নেওয়ার পরে তিনজনের মৃত্যু হয়।
অপর ঘটনায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কৈডুবি সদরদীতে ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে একটি ইজিবাইককে অন্য একটা গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ভাঙ্গা কেএম কলেজের এক ছাত্রী শ্রাবন্তীর মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রাবন্তী ঘারুয়া ইউনিয়নের খামিনারবাগের শাহাদত মোল্লার মেয়ে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
৭ মাস আগে
ভ্যানচালক হত্যা মামলা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর দিকে এ রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-প্রথম আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সেমামবার (৭ মে) জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ তথ্য জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে আবু সালামকে আসামিরা হত্যা করে তার লাশ কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পুরাতন কবরে লুকিয়ে রেখে তার ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি স্থানীয়রা ওই কবরে তার লাশের পা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই কবরস্থানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মো. শাহজাহান আলী বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: বিমানবন্দরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নওগাঁয় স্ত্রীহত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
৭ মাস আগে
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার হলো।
রবিবার (২৪ মার্চ) আড়াইটার দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার
তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা এবং পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও আরাধ্যা নামে এক মেয়ে।
এছাড়া ট্রলার দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, মানিকখালির বেলন দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানা, তার ছেলে রায়সুল।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ এবং রবিবার আড়াইটার দিকে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সাদেক বলেন, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছি।
নিহতে রুপা রানী দের জা রুমা রানী দে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর রবিবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য শনিবার দুইজনের লাশ ও রবিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেরপুরের নকলার তিন রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের বিচারপতি) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এ রায় দেন।
তিন রাজাকার হলেন- এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম. আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান ওরফে তারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নকলার মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হলো নকলার মাটি ও মানুষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামেরকান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজারদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর চার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান আসামি মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ৩০ জানুয়ারি এ আসামির নাম মামলা থেকে বাদ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৩ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি।
এ দিনই মামলাটি রায়ের জন্য আপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ে তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
১০ মাস আগে