৩ জন
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয়জনের লাশ উদ্ধার হলো।
রবিবার (২৪ মার্চ) আড়াইটার দিকে ভৈরব মেঘনা নদী ও পুলতাকান্দা এলাকা থেকে ভাসমান তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো লাশ উদ্ধার
তারা হলেন, নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার, ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দের স্ত্রী রুপা দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা এবং পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের স্ত্রী মৌসুমি ও আরাধ্যা নামে এক মেয়ে।
এছাড়া ট্রলার দুর্ঘটনায় আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন, মানিকখালির বেলন দে, পুলিশ সদস্য সোহেল রানা, তার ছেলে রায়সুল।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার নদী থেকে ডুবুরি দল দুইজনের লাশ এবং রবিবার আড়াইটার দিকে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্য মো. সাদেক বলেন, আমাদের সহকর্মী সোহেল রানার মেয়ের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে থানায় এসে তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেছি।
নিহতে রুপা রানী দের জা রুমা রানী দে বলেন, দুর্ঘটনার তিন দিন পর রবিবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্য শনিবার দুইজনের লাশ ও রবিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় নারী এনজিও কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেরপুরের নকলার তিন রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের বিচারপতি) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এ রায় দেন।
তিন রাজাকার হলেন- এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম. আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান ওরফে তারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নকলার মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হলো নকলার মাটি ও মানুষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামেরকান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজারদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর চার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান আসামি মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ৩০ জানুয়ারি এ আসামির নাম মামলা থেকে বাদ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৩ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি।
এ দিনই মামলাটি রায়ের জন্য আপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ে তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে আছিয়া খাতুন নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ফুল জাহান বেগম নামে অপর আরেক নারীর লাশ পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় একটি ব্রীজের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আড়াই বছরের এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, মঙ্গলবার সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠে আছিয়া খাতুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ওসি আরও জানান, ভোরে হয়তো ওই নারীকে খুন করা হয়। নারীর লাশেহের পাশে রক্ত ও তার গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃত নারী আছিয়া খাতুন চানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত নারীর ছেলে আব্দুল মজিদকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামে একটি পুকুর থেকে ফুল জাহান বেগম নামে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী জিরুন্ডা গ্রামের মৃত আলী আহমদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
অপরদিকে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের পশ্চিম ব্রিজের নিচ থেকে আড়াই বছরের অজ্ঞাত এক কন্যা শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, স্থানীয় এক কৃষক প্রথমে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
তবে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
ফেনীতে আগুনে দগ্ধ সেই পরিবারের ৩ জনের কেউই বেঁচে নেই
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষের পরিবারের তিনজনের কেউ আর কেউ বেঁচে রইল না।
আগুন লাগার ঘটনার ১৩ দিনের মধ্যে একে একে মারা গেলেন আশীষ চন্দ্র সরকার, তার একমাত্র সন্তান রিক সরকার ও স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তারা তিনজনই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় আগুন লাগে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। গ্যাসের চুলায় তিতাসের সংযোগ লাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনার কথা স্বজনদের বলেছিলেন আশীষ ও টুম্পা।
গত ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) মারা যান আশীষ চন্দ্র সরকার, ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে রিক সরকার ও সর্বশেষ গত সোমবার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকারের।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়িতে বাসে আগুন, দগ্ধ ৭
আশীষের ছোট ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আশীষের ৮২ শতাংশ, টুম্পার ৬০ শতাংশের বেশি এবং রিকের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়। শুরু থেকেই রিককে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আর আশীষ ও টুম্পাকে এইচডিইউ ভর্তি করা হয়। তিনজনের অবস্থাই সংকটাপন্ন ছিল।
সোমবার টুম্পার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার সময় তাকে এইচডিইউ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে টুম্পার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
তার লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দিকে রওনা দিয়েছেন। এর আগে আশীষ ও রিকেরও শেষকৃত্য হয় ধোবাউড়ায়।
আশীষের ভাই পরিতোষ জানিয়েছিলেন, তাদেরও বাসার দরজা-জানালা সব সারা দিন বন্ধ ছিল। রাতে আশীষ অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর ভাত রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতে যান। চুলা জ্বালানোর পরপরই দুই কক্ষের বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা অবস্থায় তারা নিজেরাই দরজা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌঁড়ে নামছেন তিনজন। কাপড় জড়িয়ে দিয়ে সেই আগুন নেভান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়।
ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রিক ফেনীতে একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে দগ্ধ যুবকের মৃত্যু
পটুয়াখালীতে ৩ জনের মনোনয়ন প্রত্যাহার, মাঠে ২২ প্রার্থী
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তারা রিটার্নিং অফিসার নূর কুতুবুল আলমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
তারা হলেন- পটুয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হাসিব আলম তালুকদার।
পটুয়াখালী-৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ওবায়েদুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে পটুয়াখালী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী আফজাল হোসেনের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।
রবিবার বিভিন্ন সময়ে তারা রিটার্নিং অফিসার নূর কুতুবুল আলমের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
এ দিকে আপিল করে মনোনয়নের বৈধতা পেয়েছেন পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার চারটি সংসদীয় আসনে ৯টি দল ও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রত্যাহারের পর পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি, মির্জাগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, তরিকত ফেডারেশনের মো. খলিল, জাসদের কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মহিউদ্দিন মামুন, এনপিপির মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) জোবায়ের হোসেন, তৃণমূল বিএনপির মাহাবুবুল আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মহসিন হাওলাদার।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম শাহাজাদা, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ছাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ নূরে আলম, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক বিজিবি মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবুল হোসেন।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, জাতীয় পার্টির আব্দুল মন্নান হাওলাদার, জাসদের বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্বতন্ত্র প্রাথী কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম লিটন নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
করোনায় আরও ৩ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৬৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৪ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৪ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
করোনায় আরও ৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
করোনায় আরও ৩ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৬জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮৪৭ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ৬ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
করোনায় আরও ৫ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪২
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩২ জনে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৭৭
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৬ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৯৭০ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫৫ জন এবং ২ হাজার ১১৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০৬ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ১০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০৫
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৬৮
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৭১
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৮ জনে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭১ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৭৭
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৭ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩ হাজার ৫৯৫ জন রোগী। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭ জন ঢাকায় এবং ২ হাজার ৫৭৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৫৯
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৪৫
ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৫ জনে।
রোববার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী ২৪৩ জন
মৃতরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার খাবাসপুর এলাকার বাসিন্দা নাওবাহার (৬০), মধুখালী উপজেলার চরবাগাট এলাকার বাসিন্দা হালিমা (৬০) এবং নগরকান্দা উপজেলার বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম (৫০)।
পরিচালক ডা. এনামুল বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নাওবাহার ১৩ অক্টোবর, হালিমা ১১ অক্টোবর এবং হাসিনা বেগম ১৪ অক্টোবর এই হাসপাতালে ভর্তি হন। এরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮০ জন রোগী।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১৬ হাজার ৮৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন; এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫২৭ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভুবনেশ্বর নদে কুমির, এলাকায় আতঙ্ক
বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী