১০ শতাংশ
মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে আবারও নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সংশোধন করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নীতি সুদহার বাড়ায়। সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে, ঋণের ব্যয়ও বাড়বে, যা ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগ হ্রাস করে, শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় আর্থিক নীতিগুলো কঠোর করছে। এই পদক্ষেপটিও একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে অনুসরণ করে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরের স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদের হারের নিম্ন সীমা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের ১০ শতাংশের মাঝে দেশটির ব্যাংকগুলোতে উচ্চ আস্থা রয়েছে: এপি- এনওআরসি জরিপ
ওয়াশিংটনযুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ বলেছেন, দেশটির ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের উচ্চ আস্থা রয়েছে। যা ২০২০ সালের ২২ শতাংশের চেয়ে বেশ কম।
চলতি মাসে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের পর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চের জরিপে দেখা গেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বলছেন যে সরকার এই ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কাজ করছে না।
২০০৮-২০০৯ সালের আর্থিক সঙ্কটের বিরক্তিকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনার পর আমেরিকার ব্যাংক ও ব্যাংক প্রবিধানের এই অপ্রীতিকর মূল্যায়ন করা হয়।
দেশের ১৬ তম বৃহত্তম ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ড মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাজি ধরে গত ১০ মার্চ ব্যর্থ হয়। দুই দিন পরে দেশটির নিয়ন্ত্রকরা নিউইয়র্কভিত্তিক সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ করে দেয়। যা ক্রিপ্টোকারেন্সির সঙ্গে জড়িত ছিল। আটলান্টিক মহাসাগর জুড়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ‘শটগান ম্যারেজ’ নকশায় রবিবার প্রতিদ্বন্দ্বী ইউবিএস দীর্ঘদিনের ঝামেলাপূর্ণ ‘ক্রেডিট সুইস’ কিনে নেয়। শটগান ম্যারেজ হচ্ছে বিশেষ পরিস্থিতিতে সংকট মুহূর্তে তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বা কাজ করা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোতে ৩০০ বিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল ধার দিল ফেডারেল রিজার্ভ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই অস্থিরতা নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ২০১৮ সালের আইন সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করে। ফলে আর্থিক সংকটের পরে প্রণীত কঠোর বিধিগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
জরিপটি থেকে যেসব বিষয় জানা যায়: ৫৬ শতাংশ বলেছেন যে সরকার ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত কাজ করছে না। অন্যদিকে ২৭ শতাংশ বলেছেন যে তারা সঠিক পরিমাণে কাজ করছে এবং ১৫ শতাংশ বলেছেন যে এটি খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্ডার-রেগুলেশন সম্পর্কে উদ্বেগ দ্বিপক্ষীয়: ডেমোক্র্যাটদের ৬৩ শতাংশ বলেছেন, বর্তমান ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ অপর্যাপ্ত এবং রিপাবলিকানদের ৫১ শতাংশ একই কথা বলেছেন।
জরিপে দেখা গেছে, ১০ শতাংশ আমেরিকান দেশের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাদের উচ্চ আস্থা আছে বলে দাবি করলেও ৫৭ শতাংশের কিছুটা আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এবং ৩১ শতাংশের ক্ষেত্রে তা খুব কম।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাম্প্রতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অস্থিরতার এক মাস আগে থেকে মার্কিন অর্থনীতির মূল্যায়নে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র এক চতুর্থাংশ বলেছেন, জাতীয় অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। তিন-চতুর্থাংশ খারাপ অবস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ৪৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট অর্থনীতিকে ভালো বলে অভিহিত করেছেন, অন্যদিকে রিপাবলিকানদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র সাত শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্করা তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতিকে ভালো হিসেবে বলেছেন। প্রতি ১০ জন ডেমোক্র্যাটের মধ্যে ৬ জন এবং রিপাবলিকানদের প্রায় অর্ধেক তাদের বর্তমান আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ইতিবাচক মূল্যায়ন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে অস্ট্রেলিয়া
১ বছর আগে