বিখ্যাত
ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই
ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী ও প্লেব্যাক গায়ক পঙ্কজ উদাস সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়কের পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
পঙ্কজ উদাসের মেয়ে নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি- দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি পদ্মশ্রী পঙ্কজ উদাস মৃত্যু বরণ করেছেন।’
বিশিষ্ট গায়কের মৃত্যুর খবরে তার ভক্ত এবং অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানাচ্ছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা বি এম কলিমুল্লাহ আর নেই
পঙ্কজ উদাস ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জেটপুরে কেশুভাই উধাস ও জিতুবিন উদাসের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
তার সবচেয়ে সুপরিচিত গানগুলো হলো- মহেশ ভাট পরিচালিত ১৯৮৬ সালের ক্রাইম থ্রিলার ‘নাম’র ‘চিঠঠি আয়ি চিঠঠি আয়ি হ্যায়’, ১৯৯৮ সালে প্রবীণ ভাটের ‘এক হি মাকসাদ’ ছবির ‘চান্দী জায়সা রং হ্যায় তেরা', ফিরোজ খানের ১৯৮৮ সালের অ্যাকশন থ্রিলার ‘দয়াবন’ ছবির ‘আজ ফির তুম্পে’, ১৯৯১ সালে লরেন্স ডি’সুজার রোমান্টিক ছবি ‘সাজনের’ ‘জিয়ে তো জিয়ে’ এবং আব্বাস-মাস্তানের ১৯৯৩ সালের প্রতিশোধ থ্রিলার ‘বাজিগর’ থেকে ‘ছুপনা ভি নেহি আতা’।
তার গজল ক্যারিয়ারে ‘আহাট’ (১৯৮০) এবং ‘না কাজরে কি ধার’ এর মতো নামী অ্যালবাম তার ট্রাকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘অউর আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’, ‘এক তরফ উসকা ঘর’ এবং ‘থোড়ি থোড়ি পিয়া করো’র মতো গানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া ‘ভালোবাসা’, ‘চোখ তার চোরাবালি’ সহ আধুনিক গানের জন্য বাংলার শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
১৯৮৯ সালে প্রকাশিত ‘ভালোবাসা’অ্যালবামটি।
গজল শিল্প ও ভারতীয় সংগীত শিল্পে তার অবদানের জন্য পঙ্কজ উদাস ২০০৬ সালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
৯ মাস আগে
রোজাদারদের পছন্দের শীর্ষে খুলনার নানা হালিম
মুখরোচক খাবার হিসেবে হালিমের জুড়ি নেই। সারাদিন রোজা রাখার পর মুখে রুচি বাড়াতে খুলনায় ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে অনেকেই রাখেন বিখ্যাত নানা হালিম।
বর্তমানে বাহারি ইফতার আইটেমের ভিড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই নানা হালিম।
নানার হালিমের মালিকের নাম মো. হজরত আলী (৭৯)। নানা নামের আড়ালে তার নিজের নাম প্রায় হারিয়েই গেছে।
খুলনা মহানগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের সামনে নানা হালিমের একমাত্র বিক্রয়কেন্দ্র। বিক্রি হয় শুধু রমজান মাসেই। দূরদূরান্ত থেকে ভোজন রসিকরা আসেন এখানে। রোজার সময় দুপুরের পরই শুরু হয় ভিড়।
আরও পড়ুন: চুইঝালের হালিম বদলে দিয়েছে খুলনার রাশেদের জীবন
রান্নার কলাকৌশল ও বৈচিত্র্যময় নামের কারণে খুলনায় নানা হালিম এখন বেশ প্রসিদ্ধ বলে জানান ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুম্মার পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে ফুটপাতের ওপরে শামিয়ানা টাঙানো ‘নানা স্পেশাল হালিম’ এর দোকান। বিখ্যাত এই হালিম খুলনার মানুষের ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ। কেউ কেউ নানা হালিম নিতে বাড়ি থেকে পাত্র নিয়ে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ওই দোকানের মাটির পাত্রে হালিম নিয়ে যাচ্ছেন।
মালিক মো. হজরত আলীসহ দোকানের ১১ জন কর্মচারী ডেকচি থেকে মাটির পাত্রে ভরে ক্রেতার চাহিদামত হালিম তুলে দিচ্ছেন।
রফিকুল হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, নানা হালিম খুলনায় খুবই বিখ্যাত। প্রতি বছরই রমজানে এখান থেকে হালিম কিনি। তাই এ বছরও কিনতে এলাম।
আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিখ্যাত নানা হালিমের সুনাম আজ শহরময়। প্রতিবছরই রমজানে এখান থেকে হালিম কিনি। নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোজন রসিকরা এসে এখান থেকে হালিম কিনে নিয়ে যান।
নানা হালিমের মালিক হজরত আলী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি রমজানে এই হালিম বিক্রি করে আসছি। নিজের হাতেই রান্না করি। রমজানের প্রথম দিন ১১৫ কেজি হালিম রান্না করেছি। যার দাম ১৫০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ৮০০ টাকা।
এছাড়া সব দ্রব্যের দাম বাড়লেলেও নানা হালিমের দাম বাড়ানো হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম রমজান শুক্রবার হওয়ায় জুম্মার নামাজের পরই ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়ে গেছে। যা চলবে মাগরিব পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা ও কমলা চাষে লাভবান চাষিরা
মাছ আমদানি বন্ধ হলে লাভবান হবেন দেশের চাষিরা
১ বছর আগে