বিচরণ
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো না থাকায় কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়াও, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, চর জেগে ওঠা এবং পানিতে দূষণ বেড়ে যাওয়ার মতো কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চতুরঙ্গের আয়োজনে ১৫তম ইলিশ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। আবার সাগরে চলে যায়। জাতীয় এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষকরা নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে জাটকা রক্ষার সময় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস এবং মা ইলিশের প্রজননের সময় ২২ দিন প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ খুবই গুরুত্ব দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে। এই সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
দীপু মনি আরও বলেন, অনেক বছর ধরে চাঁদপুরে এই ইলিশ উৎসব হয়ে আসছে। এটি শুধুমাত্র ইলিশ উৎসবই নয়। বরং এখানে সাংস্কৃতিক চর্চাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় নানাভাবে নানা সংগঠন এগিয়ে আসছে। সপ্তাহব্যাপী এই ইলিশ উৎসব যাতে সফল হয়, আমি সেই কামনা করছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
এক স্কুলেই বিচরণ ১০ জোড়া যমজের!
ঠাকুরগাঁও-এর এক স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশোনা করছে। তারা একসঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা করে, একসঙ্গেই খেলে ও খায়। আশেপাশের সবাই তাদের মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখে। এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাইবোন পড়াশোনার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। বেশ আকৃষ্ট করেছে সবাইকে।
জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুল ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশুনা করছে। স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা-চঞ্চল রাহা।
যমজ ভাইবোনদের চেহারায় মিল থাকায় স্কুলের শিক্ষকরাও মাঝেমধ্যে দ্বিধায় পড়েন। খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের নিয়ে বেশ উপভোগও করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দু’জন একসঙ্গে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গে দেখছেন যমজ ভাইবোনরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় কোমড় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
ষষ্ঠ শ্রেণির যমজ দুই ভাই সান ও মুন জানায়, আমরা দুই ভাই একসঙ্গে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা-যাওয়া করি৷ আমাদের দু’জনের পছন্দ মাংস-ভাত৷ শুধু দু’জনের দুই রঙ পছন্দ। একজনের লাল আরেকজনের নীল।
তারা আরও জানায়, আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না, আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এক রকম। এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না কে সান আর কে মুন, তখন আমাদের হাসি পায়। আমরা খুব মজা পাই। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসঙ্গে। বাড়িতে একসঙ্গে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সবাই আমাদের নিয়ে খুশি।
সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া জানায়, আমাদের সব কাজ আমরা একসঙ্গে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসঙ্গে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করি। ক্লাসে স্যার একজনকে বকা দিলে অন্যজনের খুব খারাপ লাগে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশির জানায়, আমাদের একটা বড় সুবিধা হলো কেউ কোনো ভুল করলে আরেকজনকে চাপিয়ে দেয়া যায়, পরে আবার আমরা একসঙ্গে মিলে যাই। আর পরিবারের কাছে, আত্মীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই। আমরা পুরো সময় একসঙ্গে কাটাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়ে। আমরা তাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। ক্লাসে তাদের প্রত্যেকের মেধাক্রম কাছাকাছি। আমাদের স্কুলের জন্যও এটা গর্বের যে তারা আমাদের স্কুলে পড়ছে। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যমজ ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে প্রশংসা করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমজ ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে দেখাশোনা ও লেখাপড়ার সকল সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যমজ তিন কন্যা শিশুর জন্ম
১ বছর আগে