সদর দপ্তর
মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
প্রকৃত অপরাধীরা যাতে খালাস না পায় সেজন্য মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রবিবার বিকালে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় (এপ্রিল-মে/২০২৩) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা রেকর্ড করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: জানাজায় জনস্রোত: পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্ত কমিটি গঠন
সমস্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) অনলাইনে বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত ঈদুল ফিতরে জনগণের ঈদ ভ্রমণ ছিল আরামদায়ক ও নিরাপদ।
আসন্ন ঈদে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভুয়া এএসপি গ্রেপ্তার, পুলিশ সদর দপ্তরের জাল চিঠি উদ্ধার
সভায় আসন্ন ঈদকে লক্ষ্য করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, কোরবানির পশু পরিবহন নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাখা, পশুর বাজারের নিরাপত্তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এপ্রিল-মে/২০২৩ মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন ডাকাতি, ডাকাতি, চুরি, চুরি, খুন, মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি পর্যালোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার ওপর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এই প্রদর্শনীটি বুধবার জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
তিনি এই প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজন করতে আন্তরিকভাবে সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’
আজকের এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। যা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
১ বছর আগে