বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধির আশাবাদ
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৮ মার্চ বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন, সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সংসদীয় দলের চেয়ারম্যাট বারনেল এবং সদস্য এ্যানড্রু চার্লটন,অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে দু’দেশের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাদের সফর ও যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এ সময় হাইকমিশন পরিবারের শিশু-কিশোরীদের একটি দলীয় নৃত্যসহ দু’টি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এর পূর্বে ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
১ বছর আগে