দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব
বাংলাদেশ ও ইইউ দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ইইউ অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ও বুধবার (২ ও ৩ মে) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক কমিশনার জুটা উরপিলাইনেন, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার মিজ ইলভা জোহানসন, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জেনেজ লেনারসিচ, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড ল্যাঞ্জ, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিড ম্যাকঅ্যালিস্টার এবং মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোরের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে বাংলাদেশকে একটি সাফল্যের গল্প বলে অভিহিত করেছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি: বিশ্বকে 'ট্র্যাকে ফিরে' পেতে ইইউকে সহায়তা করার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ প্রধান
অপরদিকে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়নে ইইউ-এর ভূমিকা বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইবিএ-এর অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইইউকে অবহিত করে ভবিষ্যতে ইইউ-এর আরও বড় ভূমিকা পালনের আশা প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া এলডিসি-পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্ক, ইইউ-এর গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রিন ট্রানজিশন, দক্ষ অভিবাসন, মানবাধিকার উন্নয়নের বিষয়গুলো বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও ইইউ এর সম্পর্ককে আরো সুসংহত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি হিসেবে অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি দ্রুত শুরুর আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ পক্ষ।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্যেও ইইউ-এর সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইন্দো-প্যাসিফিক, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করেছে।
বৈঠকে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বেলজিয়াম ও ইইউতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ব্রাসেলসে চারদিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
এ সফরে ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে মতবিনিময় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের মতো বিপর্যয় এড়াতে দরকার নিয়ন্ত্রিত আরএমজি শিল্প: ইইউ
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলার কৌশল নিয়ে ইইউ, দক্ষিণ এশিয়ার নীতি নির্ধারক-বিশেষজ্ঞদের আলোচনা
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব ব্যাপক পরিসরে বৃদ্ধির আশাবাদ
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৮ মার্চ বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বাওয়েন, সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সংসদীয় দলের চেয়ারম্যাট বারনেল এবং সদস্য এ্যানড্রু চার্লটন,অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে দু’দেশের ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতাদের সফর ও যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত দু’টি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এ সময় হাইকমিশন পরিবারের শিশু-কিশোরীদের একটি দলীয় নৃত্যসহ দু’টি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এর পূর্বে ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
১ বছর আগে