মোটরসাইকেল
শীতকালে নিরাপদে মোটরসাইকেল চালকদের প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার ও পোশাক
শীতকালে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে মোটরসাইকেল চালকরা নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কুয়াশায় চারপাশ অন্ধকার এবং শিশির পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাওয়াটা মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তাই ঠান্ডা বাতাস, অন্ধকারাচ্ছন্নতা ও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি থেকে নিরাপত্তার জন্য রাইডারদের উপযুক্ত পোশাক পড়া জরুরি। এগুলো শরীরের জন্য অনেকটা প্রতিরক্ষামূলক বর্মের মতো কাজ করে। তবে এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কেনার সময় এর গুণগত মান যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই প্রয়োজনীয় পোশাক ও আনুষঙ্গিক নিরাপত্তা সামগ্রী নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, শীতকালীন বাইক চালনাকে উপভোগ্য এবং নিরাপদ করতে উপকারি পরিধেয় সম্বন্ধে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
শীতকালে নিরাপদ বাইক রাইডিং-এ ১০টি দরকারি গিয়ার ও পোশাক
.
থার্মাল বেস লেয়ার
এই স্কিন-টাইট পোশাকগুলো শরীরে তাপ ধরে রাখার পাশাপাশি আর্দ্রতা দূর করতেও সক্ষম। ফলে এগুলো পড়ে বাইক চালানোর পুরো সময়টা জুড়ে চালক উষ্ণ এবং শুষ্ক থাকে। টি-শার্ট ও প্যান্টগুলোর মূল উপকরণ হিসেবে থাকে মেরিনো উল বা পলিয়েস্টার; কখনও বা দুটোরই সংমিশ্রণ ঘটানো হয়। এতে করে লেয়ারগুলো ত্বকের সঙ্গে খুব সহজভাবে ফিট করে।
ময়েশ্চার-দূরীকরণ বৈশিষ্ট্যের কারণে আকস্মিক ঘেমে যাওয়ার অস্বস্তির আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া উপাদানগত দিক থেকে শুষ্ক হওয়ায় এটি প্রচণ্ড ঠান্ডাজনিত আঘাতের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বাইক চালকের শরীরের ভারসাম্যপূর্ণ উষ্ণতা এবং শুষ্কতা বজায় রাখতে এই থার্মাল বেস লেয়ার প্রথম প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ।
বাজারে টাইট টি-শার্টগুলো সাধারণত ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে উচ্চ মানের পলিয়েস্টারের বেস লেয়ার পেতে হলে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
আরো পড়ুন: বারিধারার ১০০ ফিট মাদানী এভিনিউ: যেভাবে যাবেন, যা দেখবেন
মোটরবাইক জ্যাকেট
বাইক চলমান অবস্থায় অগ্রহায়ণের হাল্কা শীতেও শরীরে কাঁপুনি ধরে যাওয়ার যোগাড় হয়। এ থেকে রক্ষা করতে পারে হিটেড রাইডিং জ্যাকেটগুলো। নমনীয়তার পাশাপাশি তাপ সুরক্ষা প্রদান এগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এগুলোর ভেতরে সাধারণত ডাউন বা সিন্থেটিক নিরোধকের মতো তাপীয় আস্তরণ থাকে, যেগুলোর মূল কাজ হচ্ছে শরীরে তাপ ধরে রাখা।
উপরন্তু, বায়ুরোধী এবং জল-প্রতিরোধী উপকরণগুলো ঠান্ডা বাতাস এবং বৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য ঢাল হিসেবে কাজ করে।
এই বাইক জ্যাকেটগুলো সাধারণত ৭০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে ব্র্যান্ডের গুলোর দাম শুরু হয় ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা থেকে।
জলরোধী রাইডিং প্যান্ট
ভেজা পরিবেশ, কুয়াশা, এমনকি ঘর্মাক্ত কলেবর অবস্থার জন্য যথেষ্ট উপযোগী এই প্যান্টগুলো। যেকোনো পরিস্থিতিতে সব ধরনের স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্রতা ভাব দূর করাই এই পরিধেয়ের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অধিকাংশ রাইডিং প্যান্ট বানানো হয় ভেড়ার লোম বা অন্যান্য তাপ অন্তরক উপকরণ দিয়ে। রেখাযুক্ত প্যান্টগুলো ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার এক অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। অনেক ক্ষেত্রে এগুলোতে বায়ুপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকে ভেন্ট। তদুপরি, এদের টেকসই ফ্যাব্রিক দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
আরো পড়ুন: ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন
বাজারে এগুলোর দাম ন্যূনতম ২ থেকে ৬ হাজার টাকা। ব্র্যান্ডেরগুলোতে খরচ পড়বে ৫ থেকে ১৩ হাজার টাকা।
মোটা গ্লাভ্স
মোটরসাইকেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চালককে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হয় তার হাত দুটোকে। তাই হিমবাহতে কোনোভাবেই যেন হাত অসাড় বা জড়সড় হয়ে না যায় সেই দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক। নতুবা একটু বেখেয়ালে ভয়াবহ কোনো বিপদ ঘটতে পারে।
এই ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতেই প্রয়োজন মান সম্পন্ন এক জোড়া গ্লাভ্স। এগুলোর অতিরিক্ত প্যাডিং এবং নিরোধক বৈশিষ্ট্য কনকনে ঠান্ডায়ও হাতকে গরম রাখে। চামড়া বা একাধিক উপকরণের মিশ্রণে তৈরি সংকর কৃত্রিম কাপড় গ্লাভের স্থায়িত্ব এবং বায়ুরোধী ক্ষমতার জন্য দায়ী। কিছু সংস্করণ দীর্ঘক্ষণ যাবৎ শৈত্যপ্রবাহতেও হাতকে বাইকের গ্রিপের উপর সক্রিয় রাখে। একই সঙ্গে হ্যান্ডেলবার থেকে হাতের তালুর পিছলে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।
নিদেনপক্ষে ৫০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গ্লাভগুলো দিয়ে যথেষ্ট কাজ চালানো যায়। তবে অতিরিক্ত সুরক্ষিত এবং অত্যাধুনিক ফিচারযুক্ত সংস্করণগুলোর দাম শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে।
আরো পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
তাপ সঞ্চালক গ্রিপ্স এবং সিট কভার
দীর্ঘ যাত্রার সময় মোটরসাইকেলকে সঠিক অবস্থানে রাখার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশ হচ্ছে গ্রিপ এবং সিট। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে বাইককে সঙ্গতিপূর্ণ গতিতে চালানোর জন্য চালকের আরামে বসে গ্রিপে স্বাধীনভাবে হাত রাখাটা জরুরি। শীতের মৌসুমে প্রায় ক্ষেত্রে এই অবস্থানটি সঠিক রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাপ সঞ্চালনকারি গ্রিপ অসাড়তা কাটিয়ে হাতের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক হয়। বর্তমানে উচ্চ মানের গ্রিপে সাধারণত তাপ কমবেশি করার সুবিধা পাওয়া যায়।
অপরদিকে, শক্ত পৃষ্ঠের পরিবর্তে তাপ প্রদানকারী নমনীয় সিট কভার শীতলতার বদলে আরামদায়ক উষ্ণতা প্রদান করে। এই প্রয়োজনীয় তাপের কারণে চালনার পুরোটা সময় জুড়ে মোটরসাইকেল কেবল নিয়ন্ত্রণেই থাকে না বরং ঠান্ডার চিন্তা বাদ দিয়ে চালক সামনের রাস্তার দিকে ফোকাস দিতে পারেন।
গ্রিপগুলোর দাম সাধারণত ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। রাবারেরগুলো অবশ্য ৫০০ থেকে ১ হাজারের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর সিট কভারের জন্য খরচ করতে হবে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।
কুয়াশারোধী ভিসার সহ ফুল-ফেস হেলমেট
যেকোনো মৌসুমেই মোটরসাইকেল চালানো সময় নিরাপত্তাজনিত সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হচ্ছে হেলমেট। শীতের ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য আরও বহুগুনে বেড়ে যায়। মাথা, ঘাড়সহ পুরো মুখমন্ডল আবৃত রাখার পরেও দৃষ্টির সুবিধার্তে আরও একধাপ এগিয়ে যোগ করতে হবে অ্যান্টি ফগ ভিসার। এই স্বচ্ছ দৃষ্টি বন্ধনীর মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার ভেতরেও সামনের সড়ক পরিস্কারভাবে দেখতে পারা যায়।
আরও পড়ুন: শীতের মৌসুমে বাইক রাইড করার প্রয়োজনীয় টিপস
সাধারণ গ্লাসগুলো প্রায় শিশিরে ভিজে সামনের পথ ঝাপসা করে দেয়, যা মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। সেখানে কুয়াশারোধী ভিসারসহ হেলমেট সর্বাঙ্গীনভাবে গোটা মুখমন্ডলকে সুরক্ষা দেয়। শৈত্যপ্রবাহের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও এই আবরণ ভেতরে ভারসাম্যপূর্ণ বায়ুচলাচল অব্যাহত রাখে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে বদ্ধ থাকার কারণে মাথা, মুখ এবং ঘাড় ঘামে ভিজে যায় না।
সাধারণ ১ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকাতে মোটামুটি ভালো মানের হেলমেট কেনা যায়। তবে ব্রেথ গার্ড এবং চিবুক ডিফ্লেক্টরসহ ভালো মানের ভিসার নিতে হলে ৮ থেকে ১০ হাজারের উপরে খরচ হতে পারে।
মাংকি টুপি বা বালাক্লাভা
শীতের প্রকোপ থেকে ঘাড় ও মুখের উন্মুক্ত অঞ্চলগুলোকে মুক্ত রাখার জন্য একটি চমৎকার উপায় হচ্ছে বালাক্লাভা। ঘাড় থেকে শুরু করে (চোখ বাদে) নাক-মুখ ও মাথা আবৃত করা এই টুপি বরফ ঠান্ডা বাতাসের বিপরীতে প্রয়োজনীয় তাপের যোগান দেয়।
জ্যাকেটের কলারের সঙ্গে এর প্রান্তদেশ মসৃণভাবে ফিট হয়ে যায় বিধায় জ্যাকেটের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। থার্মাল বেস লেয়ারের মতো এতেও আছে আর্দ্রতা-দূরীকরণ বৈশিষ্ট্য। তাই চলমান মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় সারাক্ষণ পড়ে থাকলেও ঘাম জমে ওঠার ঝামেলা নেই।
আরো পড়ুন: পুষ্টিগুণ অটুট রেখে শীতকালীন সবজি খাওয়ার সঠিক উপায়
দেশ জুড়ে জনপ্রিয় এই মাংকিটুপির মূল্য গড়ে ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা।
সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন পরিধেয়
মাঘ মাসের দিকে ঘন কুয়াশার দিনগুলোতে অনেক সড়কে কাছাকাছি গাড়ির অবয়বকে স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। তাছাড়া আন্তঃজেলা মহাসড়কগুলোতে বড় বড় গাড়ির অবস্থান বোঝা গেলেও পাশ কাটানোর সময় দূরত্ব বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই সড়ক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এড়াতে মোটরসাইকেল আরোহীরা রিফ্লেক্টিভ ভেস্ট বা উজ্জ্বল হলুদ বা কমলার মতো ফ্লুরোসেন্ট রঙের জ্যাকেট পড়তে পারেন। এই পরিধেয়গুলোতে থাকে একাধিক রিফ্লেক্টিভ স্ট্রিপ বা প্যানেল, যেগুলোর কারণে খারাপ আবহাওয়া এমনকি রাতেও যে কেউ নিকট দূরত্ব থেকে চালককে শনাক্ত করতে পারেন। ওজনে বেশ হাল্কা হওয়ায় অন্যান্য পোশাকের উপরেই পড়া যেতে পারে এই বিশেষ আবরণটি।
এ ধরনের পোশাকের মূল্য গড়পড়তায় ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।
তাপধারক রেখাযুক্ত জলরোধী বুট
দীর্ঘ যাত্রায় মোটরসাইকেল চালনায় হাতের পাশাপাশি পা-এরও রয়েছে সমান গুরুত্ব। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডায় পা যেন অসাড় হয়ে অকেজো হয়ে না পড়ে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তাপধারক রেখাযুক্ত জলরোধী লম্বা বুট যথেষ্ট উপকারি। উপাদানগত দিক থেকে এগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকার জন্য উপযোগী। শিলা বৃষ্টির শিলা, শিশির বা অন্যান্য ধুলাবালি এই বুটের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
তাপধারক রেখা অংশের প্রধান উপকরণ হলো ভেড়ার লোম, যা পায়ের জন্য পরিমিত উষ্ণতা সঞ্চিত রাখে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু সংস্করণে নন-স্লিপ সোল থাকে, যা বরফ বা ভেজা পৃষ্ঠে ট্র্যাকশন দেয়। ফলে পিচ্ছিল রাস্তায় বাইক থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
উচ্চ মানের বুটগুলোর দাম ৬ থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকারও বেশি হয়ে থাকে। তবে কিছু রেইন বুট রাইডিংয়ের জন্য উপযোগী, যেগুলোর ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাওয়া যেতে পারে।
অত্যাধুনিক নিরাপত্তা গ্যাজেট
রাইডিং অভিজ্ঞতায় নিরাপত্তার নতুন মাত্রা এবং আত্মবিশ্বাস যোগ করতে প্রয়োজন উন্নত নিরাপত্তা গ্যাজেট। যেমন টায়ার প্রেশার মনিটর সাইকেলের চাকার টায়ারের চাপ সর্বোচ্চ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কাজে লাগে। আধুনিক বেশ কিছু বাইকে এই মনিটরিং ব্যবস্থা দেখা যায়।
আরও একটি উদ্ভাবনী গ্যাজেট হচ্ছে হিটেড ভিসার সিস্টেম, যেটি হেলমেট ভিসারের কুয়াশা এবং জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
আরো পড়ুন: সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
জিপিএস ডিভাইসগুলো প্রতিকূল পরিবেশে অপরিচিত জায়গায় পথ চিনে চলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সামনের কোনো স্থানের আবহাওয়া কেমন রয়েছে তা আগে থেকে জানান দেয়।
এখানে মোটামুটি ভালো মানের প্রেসার মনিটরের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৮০০ টাকার মতো। ফগ লাইটের দাম ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং জিপিএস ট্র্যাকার পাওয়া যেতে পারে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
শেষাংশ
শীতে মোটরসাইকেল চালনার ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় এই পরিধেয় ও সেফটি গিয়ারগুলো সংগ্রহের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। থার্মাল বেস লেয়ার, ইনসুলেটেড জ্যাকেট, ওয়াটারপ্রুফ রাইডিং প্যান্ট, হিটেড গ্রিপ্স এবং বালাক্লাভা সম্মিলিতভাবে তীব্র ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। উপরন্তু, গ্লাভ্স, অ্যান্টি-ফগ ভিসারসহ ফুল-ফেস হেলমেট, হাই-ভিজিবিলিটি গিয়ার এবং জলরোধী বুটের মতো সামগ্রীগুলো প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাইক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সর্বপরি, এগুলোর সঙ্গে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা গ্যাজেটের সমন্বয় সার্বিক নিরাপত্তায় যুক্ত করতে পারে অনন্য মাত্রা।
আরো পড়ুন: রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
২ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ সবুজ (২৫) নামের এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের একটি বাগানে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সবুজ ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের ফকিরপাড়ার গরু ব্যবসায়ী জয়নালের ছেলে। বুজ মোটরসাইকেলের ব্যবসা করতেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুনতাহা হত্যাকাণ্ড: ৪ আসামি ৫ দিনের রিমাণ্ডে
বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শামীম রেজা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মোটরসাইকেলসহ সবুজকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
‘মোটরসাইকেলের নিচে চাপা দেওয়া ছিল তার দেহ। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো সময় এ ঘটনা ঘটেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আলমডাঙ্গার মেহগনি বাগানে সবুজ নামে একজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
১ মাস আগে
রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির নতুন চারটি মোটরবাইক মডেলের আকর্ষণীয় সব ফিচার
নিত্য নতুন ফিচার এবং প্রযুক্তির সংযোজনে দেশের মোটরবাইকগুলো আরও উন্নত হচ্ছে; সেই সঙ্গে রাইডারদের অভিজ্ঞতাতেও আসছে বৈচিত্র্য। যন্ত্রকৌশলে এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিকশিত করছে দেশের সমগ্র অটোমোবাইল শিল্পকে। এই পরিবর্তনের প্রথম সারির অগ্রপথিক হচ্ছে নবাগত রয়্যাল এনফিল্ড। এর ৩৫০ সিসির চারটি ভিন্ন মডেলে সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার। ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার ও মিটিওর শিরোনামের মোটরযানগুলোকে দেশের রাস্তায় দেখার জন্য রীতিমতো মুখিয়ে আছেন বাইকপ্রেমীরা। চলুন, এই আইকনিক মডেলগুলোর প্রধান ফিচারগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০
আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে এনফিল্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কারণেই মূলত এর জন্য ক্লাসিক নামটি বাছাই করা হয়েছে।
এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ক্র্যাঙ্ক আর্মের ৬ হাজার ১০০ আরপিএম (রিভোলিউশ্যন পার মিনিট) ঘূর্ণন ক্ষমতা।
অপরদিকে,গতি নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ২০ দশমিক ২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার)। এটি ৪ হাজার আরপিএমের প্রতি ফুট দূরত্বে সরবরাহ করবে ১৯ পাউন্ড টর্ক।
যানের বডিকে ঠান্ডা রাখার জন্য রয়েছে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার।
সজ্জাগত দিক থেকে সর্বাঙ্গে থাকা স্টিলের ফ্রেমটি কেবল নান্দনিকই নয়; যথেষ্ট উপকারীও বটে। কারণ এতে চালক ও যাত্রী দুজনের উচ্চতা ও বসার অবস্থানের সঙ্গে হ্যান্ডেলবার ও হ্যান্ড গ্রিপগুলোকে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখে।
সামনের সাস্পেনশনে রয়েছে ৪১ মিলিমিটার টেলিস্কোপিক ফর্ক। আর পেছন থেকে একে সাপোর্ট দেয় টুইন সাইড সুইং আর্ম। সামনে ও পেছনে উভয় দিকেই আছে হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, যেটি এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম)-এর কাজ করবে।
যাবতীয় যান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে শক্তিশালী ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিন।
রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০: বাংলাদেশের প্রথম ৩৫০ সিসি মোটরবাইক
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০
ইঞ্জিন ও ক্র্যাঙ্ক শিফটিং-এ বুলেট ক্লাসিকের মতোই। তবে পার্থক্য হচ্ছে গতি সামলানোর জন্য ক্র্যাঙ্কটি ৪ হাজার আরপিএম-এর প্রতি ফিট দূরত্বে ১৯ দশমিক ৯ পাউন্ড টর্ক পাবে।
১৩ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক পুরোটা একবার ভরে নিলেই মাইলেজ পাওয়া যাবে ৩০০-এরও বেশি।
বুলেটের নকশার বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনফিল্ডের ঐতিহাসিক ডিজাইন শৈলী। পুরো ভিন দেশি এই নকশাই মডেলের মূল আকর্ষণ। অবশ্য ইউএসবি চার্জিং পোর্টটিও আলাদাভাবে দৃষ্টি কাড়ে।
সিট সেট-আপ ডুয়্যাল এবং মোটা-প্যাডের হওয়ায় তা ৮০৫ মিলিমিটার উচ্চতায় চালক ও যাত্রীর বসার জায়গাকে আরামদায়ক করে তোলে।
রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০
চার মডেলের মধ্যে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সব থেকে এগিয়ে হান্টার। অন্য দুটোর মধ্যে এখানেও একক সিলিন্ডার আর ইঞ্জিন ৩৪৯ সিসির। গতির ক্ষেত্রে ৬ হাজার ১০০ আরপিএমের সঙ্গে ব্রেকিং ক্ষমতা ১৪ দশমিক ৮৭ কিলোওয়াট বা ১৯.৯ এইচপি (১ কিলোওয়াট = ১ দশমিক ৩ হর্সপাওয়ার)। হর্সপাওয়ারের হিসেবে এটি ক্লাসিক ও বুলেট থেকে কিছুটা কম। অবশ্য ৪ হাজার আরপিএমে সরবরাহ করা টর্ক ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার)। প্রতি ফুট দূরত্বে পাউন্ডের হিসেবে এটি প্রায় ১৯.৯ পাউন্ড (১ পাউন্ড টর্ক = ১ দশমিক ৪ এনএম) অর্থাৎ বুলেটের টর্কের সমান।
অন্যগুলোর মতো এর বডিতেও স্টিলের ফ্রেম এবং সামনের সাস্পেনশনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পেছনেরটিতে টুইন সাইড সুইং আর্ম। একই সঙ্গে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে সামনে ও পেছনের এবিস সমৃদ্ধ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক।
হান্টারের ওজন সর্বোচ্চ ১৮১ কেজি এবং বসার জায়গাটির উচ্চতা ৭৯০ মিলিমিটার। অ্যালুমিনিয়ামের চাকাগুলোতে লাগানো টায়ারগুলো টিউবলেস। এ সবকিছুর মধ্যে ডিজিটাল পাওয়ার আউটলেটটি আলাদাভাবে নজর কাড়ে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর ১০টি উপায়
রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০
ওজন, সিলিন্ডার ও ক্র্যাঙ্ক ঘূর্ণনের গতির ক্ষেত্রে মিটিওর অনুসরণ করেছে ক্লাসিক মডেলকে। আর গতি নিয়ন্ত্রণের টর্কের সাদৃশ্য রয়েছে হান্টারের সঙ্গে।
তবে যে বিষয়টি অন্যান্যগুলো থেকে একে আলাদা করেছে, তা হচ্ছে এর আরামদায়ক রাইডিং অভিজ্ঞতা। ইঞ্জিন ও গিয়ারের বোঝাপোড়াটা এতোটাই সঙ্গতিপূর্ণ যে,গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও চালক কম্পন অনুভব করবে না।
গ্রাউন্ড থেকে বসার অবস্থানের ডুয়্যাল সিট পর্যন্ত উচ্চতা ৭৬৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার। বাকি বডি থেকে শুরু করে সাস্পেনশন ও হুইল আর্মার এবং ডিজিটাল যন্ত্রাংশ সব অন্য ৩ মডেলের মতোই।
মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
শেষাংশ
বিভিন্ন ধরনের বাইক রাইডারদের পছন্দগুলোর এক অভাবনীয় সন্নিবেশ ঘটেছে রয়্যাল এনফিল্ড ৩৫০ সিসির চারটি মডেলে। তন্মধ্যে ‘ক্লাসিক’ শক্তিশালী যান্ত্রিক সজ্জার সঙ্গে দিচ্ছে পুরোনো ধাঁচের বৈশিষ্ট্য ফিরে পাওয়ার নস্টালজিয়া। ‘বুলেট’ তার অভূতপূর্ব ডিজাইন দিয়ে ইতোমধ্যেই দৃষ্টি কেড়েছে স্টাইল সচেতন ব্যক্তিদের। ঢাকার মতো জনাকীর্ণ শহরের জন্য একচেটিয়া অবস্থানে রয়েছে হাল্কা ওজনের প্রযুক্তি-বান্ধব ‘হান্টার’। ‘মিটিওর’-এর আরামদায়ক ও নিরাপদ দীর্ঘ ভ্রমণের ফিচারগুলো অনায়াসেই যেকোনো বাইকপ্রেমীর মন জয় করে নিতে সক্ষম।
উপরন্তু, ক্লাসিক, বুলেট, হান্টার বা মিটিওর; পছন্দ যেটাই হোক না কেন, তা দেশের রাস্তায় বাইক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
১ মাস আগে
বগুড়ায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
বগুড়ায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে পলাশ ও আপেল নামে দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া কৃষি কলেজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মসজিদের ইমাম খুনের অভিযোগ
নিহত পলাশ শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রামের মানিকের ছেলে এবং একই এলাকার বাসিন্দা আপেল। তারা দুইজনই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন।
স্থানীরা জানায়, দুই যুবক মোটরসাইকেল করে নাটোরের দিকে যাওয়ার সময় জোড়ায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন আরোহীর মৃত্যু হয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মোটরসাইকেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তবে ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের শহিদেরা দেশ-জাতির স্বার্থে আত্মোৎসর্গ করেছেন: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
নরসিংদীতে কাভার্ডভ্যান চাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাবতলী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলশানে ২ জনের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুরের আক্তারুজ্জামানের ছেলে দারুল কারার সিফাত ও একই এলাকার ইকবাল ফকিরের ছেলে সোহেল ফকির।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানায়, সোহেলকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে নরসিংদীর চিনিশপুরে ফিরছিলেন সিফাত। এসময় শিবপুরের গাবতলী এলাকায় পৌঁছালে একটি কাভার্ডভ্যানের চাপায় গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সোহেল সারোয়ার বলেন, কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধারের পাশাপাশি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে জাকের পার্টির সভাপতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ (৩০) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে রাধিকা-নবীনগর সড়কের ব্রাহ্মণহাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহাদ জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পৌর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
আহতরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকার (৩০) ও সদর ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান (৪০)।
হাসপাতাল ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির সভায় অংশ নেওয়ার জন্য দুই ছাত্রদল নেতাসহ চারজন দুইটি মোটরসাইকেল করে কসবায় আসছিলেন। ব্রাহ্মণহাতা এলাকায় পৌঁছলে একটি বেপরোয়া অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাইয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
৩ মাস আগে
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মেহেরপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুলাল হোসেন নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আর ২ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের আজিমুদ্দিনের ইটভাটার কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত দুলাল হোসেন (১৬) কেদারগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
নিহত দুলাল ও আহত আলাল হোসেন (১৬) মুজিবনগর উপজেলার রামনগর গ্রামের মদন আলীর দুই ছেলে।
আহত অন্যজন দুলালের বন্ধু আবু সাঈদ (১৫)।
আহত আবু সাঈদ জানান, তারা তিনজন তাদের বন্ধু শালিকা গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ হোসেনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। রাত ১১টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে শালিকা গ্রামের আজিমুদ্দিনের ইটভাটার কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেল থেকে তিনজনেই ছিটকে পড়েন।
তিনি আরও জানান, পথচারী ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক দুলাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তারেক হোসেন জানান, দুলালকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া জানান, নিহত দুলাল হোসেনের লাশ সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। কোনো অভিযোগ না থাকায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
নরসিংদীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৫
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাসাইলে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনটি মোটরসাইকেলের আরও পাঁচ আরোহী।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মহাসড়কের বাসাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ হোসেন (২৬) পুরান ঢাকার কেরাণীগঞ্জের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আহতরা হলো- একই এলাকার হাবিব, ইয়ামিন নরসিংদীর জিনারদী এলাকার আতিকুর রহামন, আরিফ এবং সুজন মিয়া।
স্থানীয়রা জানায়, দুটি মোটরসাইকেলে করে সিলেট থেকে আনন্দ ভ্রমণ শেষে পুরান ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় যাচ্ছিলেন আরিফ ও তার দুই বন্ধু। একই সময়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে নরসিংদীর জিনারদী এলাকার অপর তিনজন ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মিতালী পরিবহনের (ফাহিমা এন্টারপ্রাইজের) দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরিফ হোসেনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় আহত এবং নিহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাসটি ঘটনাস্থলে থাকলেও পালিয়েছে চালক ও সহযোগী।
এব্যাপারে ইটাখোলা হাইওয়ে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। বাসটি আটক রয়েছে বলে জানান তিনি।
৩ মাস আগে
মাগুরায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
মাগুরায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সিকান্দার আলি (৪২) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে মাগুরা শহরের ভায়না এলাকার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রামে ট্রাকের চাপায় পথচারীর মৃত্যু
সিকান্দার মাগুরা শহরের ভিটাসাইর গ্রামের মোসলেম আলির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মাগুরা-যশোর সড়কের ট্রেক্সটাইল মিলের সামনে সিকান্দারকে ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেল।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয় পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেহেদী রাসেল বলেন, এ ঘটনায় মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ইজিবাইকের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
মোহাম্মদপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে রড পড়ে পথচারীর মৃত্যু
৩ মাস আগে
মুন্সীগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত
, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)-
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার রাউৎভোগ সেতুর ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সোহান শেখ (২১) উপজেলার যশলং গ্রামের বড় বাড়ির আবু বক্কর শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোহান মোটরসাইকেলে করে কালিবাড়ি বাজার থেকে বাড়ৈপাড়া যাওয়ার সময় রাউৎভোগ সেতুর ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সোহান।
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) শফি উদ্দিন বলেন, ‘সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কা লেগে সোহানের মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
৩ মাস আগে