মা-বাবা
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল মা-বাবা ও মেয়ের
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভাতিজা সিয়াম (১৩) আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার হাউজিং কদমতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. সালাম (৪০), তার স্ত্রী রুপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে সাবা খাতুন (১৩)।
আরও পড়ুন: পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, রুপা ঘরে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের ভেতর ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান স্বামী সালাম ও মেয়ে সাবা। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা তিনজনই ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সালামের ভাতিজাও আহত হন। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সজীব উদ্দিন বলেন, ৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল বলেন, ৩ জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
১ মাস আগে
পারিবারিক বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, মা-বাবা জখম
ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘরে ঢুকে মাহফুজুর রহমান নামে এক যুববকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার মা ও বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের নানি আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় শনিবার (১ জুন) রাতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুল হত্যার তদন্তে নেপাল যাচ্ছেন ডিবি প্রধান
এই মামলায় অন্যরা হচ্ছেন প্রত্যক্ষ হামলাকারী মৃত আজিজ হাওলাদারের ছেলে কবির হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সাদ্দাম হাওলাদার, পারুল বেগম ও তার স্বামী মোস্তফা হাওলাদার।
এ ঘটনায় মোস্তফা হাওলাদার নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, কবির, মনির ও সাদ্দামদের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলছিল মাহফুজুর রহমানদের। এই বিরোধের জেরে বসতঘরে ঢুকে মাহফুজুরসহ তার মা ও বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মাহফুজুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য তার বাবা মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাহফুজুর রহমান মারা যান। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হোটেলে নিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার অভিযোগে সেনাসদস্য আটক
পাবনায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
৬ মাস আগে
যশোরে ভাই ও মা-বাবার মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরের চৌগাছায় ছোট ভাই ও মা-বাবার মারধরে রেজাউল ইসলাম সাইমন নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার নিজ বাড়িতে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাকে পাশ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নিহত রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে।
নিহতের দেড় বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক এবং মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ছোট ভাই ইসরাফিল পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
৯ মাস আগে
সিলেটে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম-আতিকুর রহমান রাহেল (৩০)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগমকে (৫০) কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল নামক এক ব্যক্তি।
পরে, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে গেপ্তার করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খান এর ছেলে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মা মিনারা বেগম বাধা দেন। এসময় তাদের সঙ্গে ছেলের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে আতিক হোসেন খান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মায়ের ওপর হামলা করেন।
স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে ছেলে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের দাফনের পর বাবার মৃত্যু
সিলেটে অটোরিকশা চালকের লাথিতে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু!
১ বছর আগে