ভারত পেট্রাপোল
৪৫.৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পৌঁছেছে
বৃহস্পতিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫ দশমিক ৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইলিশ বহনকারী মোট ১২টি ট্রাক ভারতের পেট্রোপল ল্যান্ডপোর্টে পৌঁছেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ এবং প্যাসিফিক সিফুড।
আরও পড়ুন: ৫০৭ টাকা কেজি দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
ভারতীয় আমদানিকারক হলো- এসআর ইন্টারন্যাশনাল নাজ ইমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বরখা বিকাশ ফিশ এজেন্সি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ ও গনি অ্যান্ড সন্স চালানটি মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, রপ্তানিকারকদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে।
এর আগে বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত বছর সরকার ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন।
২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ।
১ বছর আগে
ভারতের পেট্রাপোলে কাজ বন্ধ থাকায় বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যবাহী মাছের ট্রাকে স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় ভারতীয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য।
শনিবার (১ এপ্রিল) সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ হয় রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অরগানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ‘ব্রাদার্স সেন্ডিগেট’ নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। মাছ আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ‘বাবা ইন্টারন্যাশনাল’। ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টুনের মধ্য থেকে চার কেজি ৬৬৬ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সু শঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ লালটুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ীরা শনিবার কর্মবিরতি ডাক দেয়। এতে বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কেমিকেল গার্মেন্টস, মাছসহ জরুরি মালামাল রয়েছে।
দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, আগে সীমান্ত পথে পাচার কার্যক্রম হলে এখন বৈধ পথে স্বর্ণ, মাদক পাচার বেড়েছে। এতে বাণিজ্য বিঘ্ন ও সাধারণ ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা গেলে পাচার কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, স্বর্ণ পাচার মামলা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতিতে শনিবার দিনভর রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল এবং আজও বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
১ বছর আগে