মধ্যস্বত্বভোগী
কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে কৃষিপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্ট্যাডি করতে চাই।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, মার্কেট দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোনো ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয় ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হয় না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উৎপাদন যাতে বেশি হয়, ফসল যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোনো জমি খালি রাখতে চাই না। যেসমস্ত জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করব। গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিক মাত্রায় সার দিচ্ছে কি না- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিকমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোনো আপস করব না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রক্ষা করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে চাকরি প্রত্যাশীরা যেন জালিয়াতি ও মধ্যস্বত্বভোগীর শিকার না হন তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই আমাদের সবসময় বিবেচনা করতে হবে যে এই প্রার্থীরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে যেতে পারে এবং উপযুক্ত চাকরি পেতে পারে। এই লোকেরা যেন প্রতারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিভিন্ন ট্রেডে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি জনশক্তি প্রেরণের জন্য নতুন গন্তব্য খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে আমাদের জনশক্তি আছে। কিন্তু আমাদের আরও গন্তব্য খুঁজতে হবে। সরকার নতুন কিছু দেশে জনবল পাঠানো শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে। আমরা প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
কোন দেশে কী ধরনের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন তা খুঁজে বের করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বিদেশে চাকরির জন্য অসাধু মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের টাকা দেওয়ার জন্য মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে।
তিনি মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে চাকরির জন্য বিদেশে যাওয়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির ওপর সৃষ্ট চাপের সময় প্রবাসীদের আয় দেশের রিজার্ভ এবং সামগ্রিক উন্নয়নে প্রচুর অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে প্রবাসীদের ঋণ প্রদানের জন্য।
শেখ হাসিনা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের ফ্রিল্যান্সারদের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ফ্রিল্যান্সাররাও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় এনে আমরা তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছি।’
তিনি প্রবাসীদের বৈধ উপায়ে তাদের টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।’
বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং মানুষ বেশি উপার্জন করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে দিনমজুররা আগে দৈনিক ২০০-৩০০ টাকা উপার্জন করত, এখন কাজের ধরন অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০-১০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলে উপার্জন এই পরিমাণের চেয়ে বেশি। ধান কাটার মৌসুমে তিনবেলা খাবারসহ ৭০০-৮০০ টাকা উপার্জন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কেউ যদি গ্রামাঞ্চলে যান তাহলে দেখবেন সেখানে জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। মাঝে মাঝে শ্রমের অভাবও দেখা যায়, কারণ মানুষ স্বচ্ছল হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে