ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
হজ প্যাকেজ ফি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য মুদ্রার বিনিময় হারকে দায়ী করছে সরকার
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, স্থানীয় মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলার ও সৌদি রিয়ালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে হজ প্যাকেজ ফি বাড়াতে হয়েছে সরকারকে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সরকার ঘোষণা করেছে যে এই বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ফি হবে ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা- যা আগের তুলনায় অভূতপূর্ব ৩০ শতাংশ লাফিয়ে বেড়েছে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ) আয়োজিত ‘হজ প্যাকেজ ২০২৩ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের পক্ষ থেকে হজ ব্যবস্থাপনার কোনো খরচ বাড়াইনি। সৌদি রিয়াল ও মার্কিন ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমাদের ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে।
২০২২ সালে সৌদি রিয়াল-এর দাম ছিল মাত্র ২১ টাকা যেখানে এখন এটি প্রতি সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা।
মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের তীর্থযাত্রীদের ‘ডি’ ক্যাটাগরির প্যাকেজের আওতায় পাঠিয়ে খরচ কমাতে পারি। কিন্তু হজযাত্রীরা সেই বিভাগের অধীনে দেওয়া পরিষেবাগুলোর সঙ্গে সন্তুষ্ট হবেন না।’
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত
ফরিদুল হক খান উচ্চ ফি নিয়ে হজযাত্রীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, আগামী বছরের হজযাত্রার জন্য সময়মতো একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে হজ ফি ও বিমান ভাড়া একটি যৌক্তিক পদ্ধতিতে স্থির করা যেতে পারে।
হজ এজেন্সিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন হাব-এর সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত হজ প্যাকেজ ফি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন এবং হজযাত্রীদের কষ্ট লাঘবের জন্য প্যাকেজ থেকে উচ্চতর খরচ বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরআরএফ সভাপতি উবায়দুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, মহাসচিব ফারুক আহমেদ সরদার ও আরআরএফের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে