সুদমুক্ত ঋণ
জেলেদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জেলেদেরকে যদি সুদমুক্ত ঋণ দিতে নাও পারি, তাহলে স্বল্প সুদে যাতে ঋণ দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। তবে কাজগুলো করতে আমাদের সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বছরে তিনবার জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হয়। এই নিষেধাজ্ঞাকালীন তাদের জন্য কিছু করা যায় কিনা বা সুযোগ সুবিধা বাড়ানো যায় কিনা সে পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে: উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সদরের ভোলার খাল-সংলগ্ন বালুর মাঠে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ আয়োজিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’ উপলক্ষে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ইলিশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সম্পদ। যে জেলায় ইলিশ উৎপাদন হয়, ওই জেলার মানুষ গরিব হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নয়, ইলিশের বাড়ি ভোলায়। বাইরের জেলেদের বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরার অধিকার নেই। তাদের বিতাড়িত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মা ইলিশ রক্ষায় আইন অমান্যকারীদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহিন মজিদ, নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মোল্লা এমদাদুল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ও জেলে সর্দার বশির গাজী।
অনুষ্ঠানে জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ৫ শতাধিক জেলে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ও নদী দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: পরিবেশ উপদেষ্টা
৪ সপ্তাহ আগে
ব্যবসায় টিকে থাকতে সুদমুক্ত ঋণ চান বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় টিকে থাকতে এবং ব্যাংকের দায় পরিশোধের জন্য সুদমুক্ত ঋণ চেয়েছেন।
এছাড়াও, তারা একই জায়গায় আবার ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত বাজারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বঙ্গবাজার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।
সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার ও এর আশেপাশের মার্কেটে প্রায় পাঁচ হাজার ছোট-বড় দোকান পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার মার্কেট নিয়ে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে: ফখরুল
পুড়ে যাওয়া দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসায়ী দাউদ মিয়া ইউএনবিকে বলেন, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লোন নেন জামানত হিসেবে বাড়ি দিয়ে।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘আগুনে আমার তিনটি দোকানের মালামালসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে, আমি এখন নিঃস্ব। কিস্তি পরিশোধের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই, আমি সরকারের কাছে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য সুদমুক্ত ঋণের জন্য অনুরোধ করছি।’
ব্যবসায়ীরা একই জায়গায় আবার দোকান স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তাদের গুদামে কাপড় আছে এমন ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য একটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে, দৃশ্যত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য একটি পথ তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে