এনামুর রহমান
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘সকালে ভাটা শুরু হয়েছিল এবং মোখা এখন ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২২০ কিলোমিটার। তাই জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই।’
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ইতোমধ্যে সাত লাখ মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
সরকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং নগদ অর্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যখন মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত এলাকা খালি করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে মহাবিপদ সংকেত ১০ ঘোষণা করা সত্ত্বেও অনেককে সেলফি তুলতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোনে আমাকে সমুদ্র সৈকতে মানুষ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।’
সমুদ্র সৈকতে কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে এবং সমস্ত পর্যটন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
বারবার সতর্কতা সত্ত্বেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিকরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি: সংসদে এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নিয়ে ১০ বার সতর্কতামূলক নোটিশ দিলেও বঙ্গবাজারের দোকান মালিক সমিতি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার সংসদে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এছাড়া আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে সরকারও মার্কেট উচ্ছেদ বা ভাঙতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ১ দশমিক ৬৯৭ একর জমি পায়। ১৯৯৫ সালে বাজার সমিতি নিজস্ব খরচে তিনতলা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স নির্মাণ করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট সেখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়। কর্তৃপক্ষ ১৪১টি গাড়ি পার্কিং সুবিধা এবং ৪ হাজার ৪১৩টি দোকানসহ প্রতি ফ্লোরে ৬৭ হাজার ৩৩২ দশমিক ৫৩ বর্গফুটসহ একটি স্টিলের কাঠামোর বহুতল ভবন অনুমোদন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
এনামুর বলেন, ২০১৯ সালে কর কর্মকর্তা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিকে ৩০ দিনের মধ্যে মার্কেট খালি করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছিলেন।
কিন্তু দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তিনটি মামলা করা হয় এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশের আদেশ দেন; যা বারবার বর্ধিত করে আজ পর্যন্ত বহাল রয়েছে।
বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠির মাধ্যমে ছয়বার অবহিত করা হয়েছে যে কোন সময় আগুন লাগতে পারে এবং মার্কেটটি পুরাতন টিন, কাঠের তৈরি ও জরাজীর্ণ, ব্যবহারের অযোগ্য ও বিপজ্জনক। তাই বাজারটি খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এনামুর বলেন, ‘কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খালি করেনি, বরং সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালতের আদেশের কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে মার্কেট ভাঙা বা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০১৯ সালের এপ্রিলে এটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছিল এবং বাজারে ব্যানার ঝুলিয়ে সতর্ক করেছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায়ী সমিতিকে বারবার নোটিশ জারি করে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: ব্যবসায় টিকে থাকতে সুদমুক্ত ঋণ চান বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে কোনো সংস্থার গাফিলতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে