২২তম রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সোমবার বেলা ১১টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথবাক্য পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং শতাধিক বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন, গতকাল যার টানা দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নেবেন সোমবার
রাষ্ট্রপতি হামিদকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গভবন
১ বছর আগে
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন ২৪ এপ্রিল
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হওয়ায় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ২৪ এপ্রিল শপথ নেবেন।
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানান, আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ তা সমর্থন করেন।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা: গেজেট
সাহাবুদ্দীন ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
তিনি ১৯৭১ সালে তিনি পাবনায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৪ সালে তিনি পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তিনি কারারুদ্ধ হন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
১৯৮২ সালে তিনি বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগ দেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এছাড়াও, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর মানুষদের হত্যা, ধর্ষণ, চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের তদন্তকারী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দীন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর তিনি ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত জাতীয় কাউন্সিলে তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে এলএলবি এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
১ বছর আগে