খিয়াং সম্প্রদায়
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির পরিস্থিতি থমথমে: খিয়াং সম্প্রদায়ের সবাই পালিয়েছে
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার খামাতং খেয়াং পাড়ায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুইটি সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত হয়েছেন আটজন।
এতে ঐ পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ পরিবার এবং রুমা উপজেলার বম কমিউনিটি সেন্টারে ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
রুমা উপজেলাতে আশ্রয় গ্রহীতাদের আজ সকালে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো ও তৈরি খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। দুপুরে দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি এবং ৮ মামলার পালিয়ে থাকা এক আসামিকে মিডিয়ার সামনে হাজিরকালে পুলিশ সুপার এ তথ্য জানান।
গুলাগুলিতে নিহত ৮ জনের ময়না তদন্ত আজ বিকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। পরে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের মাধ্যমে লাশগুলো গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
রুমা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মাহমুদ মঞ্জু বলেন, রুমা সদরের বম কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেয়া মোট ২০টি পরিবার। পরিবারগুলোর মোট সদস্য ৬৪জন। তার মধ্যে পুরুষ ৩১জন, নারী ৩০জন ও শিশু ৩ জন।
আশ্রিত ২০ পরিবারের মাঝে পরিবার প্রতি ৫কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও এক লিটার করে তেল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পিআইও।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর সন্ত্রাসীদের ভয়ে খামতাং পাড়ার ৬৪ পরিবারের এই পর্যন্ত প্রায় ১৮৬ জন লোক রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আশ্রয় নেয়া লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে কেএনএফ এঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে রুমা ও থানছি উপজেলার কয়েকটি আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, আহত ২
১ বছর আগে