হিন্দু
হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুর্গাপূজার প্রথম দিনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আট দফার প্রতি বিএনপির সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আপনারা যে আট দফা উল্লেখ করেছেন, আমরা তা বিবেচনা করছি। আট দফার মূল ইস্যুর প্রতি আমাদের পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা আপনাদের বলতে পারি, অতীতে যেমন প্রতিটি সমস্যায় আপনাদের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’
আওয়ামী লীগের প্রতি পরোক্ষ ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণকর্তা বলে দাবি করা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অতীতে তাদের ওপর যেসব নিপীড়ন হয়েছে তার সবগুলোর সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পত্তি দখলের ঘটনার পেছনেও তারা (আওয়ামী লীগের লোকজন) ছিল। ভবিষ্যতে আমাদের দল সরকার গঠন করলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বৈরশাসকের সহযোগীদের চিহ্নিত করুন: রিজভী
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা নিজ সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি তুলে ধরে সংখ্যালঘুদের অন্যায় ও নির্যাতনের শিকার হলে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফখরুল বলেন, কিছু বিদেশি গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতনের পর রাজনৈতিক পালাবদলকে খাটো করতে পক্ষপাতদুষ্ট ও মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ‘আমি বলব না যে কিছুই হয়নি। যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা সাম্প্রদায়িক নয়, রাজনৈতিক ঘটনা।’
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ১৫ বছর ধরে কীভাবে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলায় কারাবাস সহ্য করেছেন তার বর্ণনাও দেন।
তিনি সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং শহীদদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
১ মাস আগে
হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজের
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল-৪ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।
সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
এছাড়াও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিচারক ঘাটতির কথা তুলে ধরে প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য লাখ লাখ মানুষ আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত অবস্থায় আছে।
এসময় আদালতে মামলাজটের কথা স্বীকার করে সংক্ষেপে মামলা কমাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
আজ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছে মহালয়া
দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে আজ শনিবার বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করছে মহালয়া।
দেবী দুর্গার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ হিসেবে বিবেচিত মহালয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার এক সপ্তাহ আগে পালিত হয়।
হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে পৃথিবী নিজেকে প্রস্তুত করে এবং উদযাপনের মাধ্যমে দেবী এবং তার সন্তানদের আগমনকে স্বাগত জানায়। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিন থেকে দুর্গাপূজা শুরু হবে।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি সকাল ৬টা থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই দিনে, হিন্দুরা তাদের মৃত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করে একটি পূজা করে এবং ব্রাহ্মণদের তাদের নামে জামাকাপড়, খাবার এবং মিষ্টি প্রদান করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্যস্নান উৎসবে ঢল
বৃহস্পতিবার(১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি পূজা মন্ডপ থাকবে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হিন্দু সম্প্রদায়কে পূজামন্ডপের সংখ্যা সীমিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পূজা মন্ডপে দুই লাখ আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন এবং জাতীয় জরুরি হটলাইন সেবা ৯৯৯ -এ কল এলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পূজা কমিটিগুলোকে মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি আইপি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উৎসব চলাকালীন ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ সব জেলায় কন্ট্রোল রুম থাকবে।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের আমেজ
১ বছর আগে
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের
অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক ও নিপীড়নমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপূজা এবং আসন্ন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে তাদের সহকর্মী, সদস্য ও স্বজনদের কল্যাণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন নির্বাচনের সময় হিন্দুদের সুরক্ষায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. মোমেন ধর্মীয় শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মূল্যবোধ রক্ষায় তার সমর্থন ও অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ ও প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের যুক্তরাজ্যে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির পাশাপাশি দেশের অর্জনের প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানান।
হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন তাদের আত্মীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি পিটিশন হস্তান্তর করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রবিন পাল, ভাইস চেয়ারম্যান, হারাধন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রশান্ত কুমার দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান, সুজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বজিৎ দে, কোষাধ্যক্ষ, কঙ্কন কান্তি ঘোষ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ, বাপ্পি দাম, মহিলা সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্জুন কুমার দত্ত, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সচিব, বিনোদন সম্পাদক সুশান্ত কুমার হালদার ও সদস্য ডা. দেবব্রত চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
১ বছর আগে
হিন্দুদের ব্যাপারে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের সাম্প্রতিক দাবির নিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাম্প্রতিক দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দাবি করেন যে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুরা ধীরে ধীরে ‘নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা আরও জানিয়েছেন, বাইডেনের কাছে দেওয়া চিঠিতে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থান সম্পর্কে দেওয়া তথ্য ‘ত্রুটিযুক্ত অনুমান’, বিএনপি নেতাদের এধরনের তথ্য সমর্থন করার প্রবণতা, জাতীয় নির্বাচনের আগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৪ এবং তার আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের ওপর বারংবার হামলার কথা উল্লেখ করে তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকেও দায়ী করেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিরুদ্ধে তার আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে এটিকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন: ‘১৯৭৭ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের ছত্রছায়ায় দেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির নীতিগুলো ধ্বংস হয়ে যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন ধারাবাহিক সরকারগুলো সবাই পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক শাসনের প্রবর্তন করে এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আলিঙ্গন করে একই পথ ধরে হেঁটেছে।’
দাশগুপ্ত বলেন, মানুষের অবশ্যই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় হামলার ঘটনা বিবেচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘটেছে।
বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, শিক্ষাবিদ এবং যুদ্ধাপরাধ বিরোধী প্রচারকারীরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের অনুমান ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তারা আরও বলেছে যে এটি ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি।’
মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা আসার পর থেকে হিন্দু জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে... শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান জনসংখ্যাকেও নিপীড়ন করেছে; উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেওয়া ও লুটপাট করা, যাজকদের কারাগারে বন্দী করা এবং ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমে পরিবার ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’
আর্চবিশপ ইমেরিটাস প্যাট্রিক ডি'রোজারিও এর আগে বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ‘নির্যাতিত’ হিসেবে চিত্রিত করার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
এই ধরনের বক্তব্যকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করে ঢাকার প্রাক্তন আর্চবিশপ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে সরকার ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রায় ২০০ বিশিষ্ট বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি দল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে।’
বাংলাদেশি আমেরিকানদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিঠিতে ২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন জোট হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে জামায়াত: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
‘সকল ধর্মের মানুষের মেলবন্ধন আছে বাংলাদেশে’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সকল ধর্মের মেলবন্ধন রয়েছে বাংলাদেশে। সব ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপ্রিয়ভাবে মিলেমিশে বসবাস করছে।
বুধবার বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবান সদরের ১৪০টি বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধিদের কাছে সরকারি অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজার শেষেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং এর পরেই মুসলমানদের ঈদে মিলাদুন্নবী। সংবিধানে সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার ভোগ করার কথা উল্লেখ আছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক ধর্মের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করছে। সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় নিরাপত্তার কাজে তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ স্বাচ্ছন্দে ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্মের উৎসব পালন করতে পারছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসময় ৫০০ কেজি করে সরকারি চাল ১৪০টি বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধিদের মাঝে বিতরণ করেন।
বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডা. মো. শেখ ছাদেক, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, ভাইস চেয়ারম্যান য়ইসা প্রু উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
বিজয়া দশমী: দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ!
দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। ভক্তরা উৎসবের শেষ দিন বিজয়া দশমী উদযাপন করতে পূজামণ্ডপে ভিড় করছেন।
দেশজুড়ে মণ্ডপগুলো সুন্দর প্রতিমা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। বিজয়া দশমী হল মানুষের মধ্যে শান্তি ও সুসম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠার বিশেষ অনুষ্ঠান।
এই দিনে পরিবার একে অপরের সাথে দেখা করে এবং মিষ্টি বিনিময় করে। এ উপলক্ষে বিবাহিত হিন্দু নারীরা একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন।
এ বছর ঢাকার ২৪১টিসহ সারাদেশে প্রায় ৩২ হাজার১৬৮টি পূজামণ্ডপে ধর্মীয় উৎসব পালিত হচ্ছে।
রাজধানীতে বুধবার দুর্গাদেবীর বিসর্জন উৎসবের শেষ পর্ব পর্যবেক্ষণ করতে হাজার হাজার মানুষ বুড়িগঙ্গায় ভিড় করবেন।
পড়ুন: দুর্গাপূজা: নারায়ণগঞ্জের নবমীর আমেজে বিষাদের লোডশেডিং
প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী বছর দুর্গার প্রত্যাবর্তন কামনা করে ভক্তরা তাদের অশ্রুভরা চোখে মা এবং তার সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশকে বিদায় জানাবেন।
এদিকে দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের দুর্গাপূজা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। `প্রাচীনকাল থেকেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের সাথে বিপুল উৎসাহ ও উৎসবের মধ্যে পূজা উদযাপন করে আসছে।’
পড়ুন: দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
এক মণ্ডপে ১৫১টি প্রতিমা: দুর্গার পরিবারে আমন্ত্রিত যারা
২ বছর আগে
সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে সম্প্রতি দেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এরূপ বক্তব্য আমাদের বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী দেশ ভারতের জন্য বিব্রতকর। এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের গুণীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ভারতের সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি অনুরোধ করেছেন।
হিন্দু ধর্মের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, দেবতা কৃষ্ণ দুষ্টকে ধ্বংস করতে ও সত্য প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। ‘কিন্তু আমাদের দেশে দুষ্টরা নিরাপত্তা পাচ্ছে আর ভালোরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কেবল সংখ্যালঘুরা নয় মুসলিমরাও সামাজিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক কারণে দেশ ছাড়ছে।’
আরও পড়ুন: ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে সৎ মানুষরা চাকুরি পাচ্ছে না এবং আদর্শিক মানুষ ব্যবসাও করতে পারছে না।’
অনেক মানুষ বাঁচার জন্য দেশত্যাগ করে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দুর্নীতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে আদর্শ ও বিচার।’
তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠনে সরকার পদক্ষেপ নিতে পারে।
জিএম কাদের বলেন, তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করা হয়। জবাবদিহিতার অভাবে প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। যদি কেউ এর সমালোচনা করে তাহলে সরকার তাকে ষড়যন্ত্রকারী কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে বিবেচনা করে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা নিশ্চিত করতে অবশ্যই সমালোচনা সহ্য ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
জিএম কাদের আরও বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয় তুললেই সরকার হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেয়। ‘ফলশ্রুতিতে বিশ্বের কাছে আমরা মিথ্যাবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হয়েছি।’
নির্বাচন পদ্ধতিকে ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ‘সমর্থন চাওয়া’ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবে জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
২ বছর আগে
নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না: দেশের হিন্দুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দুদের একটি অংশের তীব্র নিন্দা করেছেন, যারা এটা বোঝাতে চান যে তারা বাংলাদেশে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে একটা কথা বলতে চাই যে, যখনই এখানে কোনো ঘটনা ঘটে, তা দেশে-বিদেশে এমনভাবে প্রচার করা হয় যেন এদেশে হিন্দুদের কোনো অধিকার নেই।’বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির ও চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে কার্যত হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটলেই তার সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু হিন্দুদের কোনো অধিকার নেই বলে ওই ঘটনাকে রং চড়ানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর সরকারের পদক্ষেপ যথাযথভাবে নজরে আসে না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মন্দির রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে বহু মুসলমান নিহত হয়েছেন। ‘এ ধরনের ঘটনাও ঘটেছে।’
তিনি তার মন্তব্যের সমর্থনে কুমিল্লার ঘটনা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এগুলো ঠিকভাবে প্রচার হয়নি। পরিবর্তে, এটি ছড়িয়ে দেয়া হয় যে দেশে হিন্দুরা খুব কষ্টে বাস করছে।’
তিনি বলেন, ঢাকায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতার চেয়ে বেশি। এবং সারা বাংলাদেশে দুর্গাপূজা ব্যাপক সমারোহে পালিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার শুধু মসজিদ মেরামত বা সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না, মন্দির, মঠ ও গীর্জাও সংস্কার বা মেরামত করছে।
তিনি বলেন, ‘কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু বলা ঠিক নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের একটি ব্যতিক্রমী দেশ, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে।
তিনি বলেন, ‘দেশের এই সহানুভূতিশীল ধর্মীয় পরিবেশকে ধ্বংস করার ব্যাপক চেষ্টা চলছে। প্রতিটি ধর্মের লোকদের একটি অংশ আছে, যারা প্রায়ই সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ কোনো ধর্মকে অবমূল্যায়ন করায় বিশ্বাস করে না।
শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা এটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি। আমাদের সরকার এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই দেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। আপনি এই দেশের মানুষ, এখানে আপনার সমান অধিকার আছে, আমার মতো আপনারও একই অধিকার রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী হিন্দুদের নিজেদেরকে সংখ্যালঘু না ভাবতে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবসময় মনে করবেন যে আপনি এই দেশের নাগরিক, আপনারাও সমান অধিকার ভোগ করবেন এবং আমরাও আপনাদেরকে সেভাবেই দেখতে চাই। অনুগ্রহ করে নিজেদের অবমূল্যায়ন করবেন না। আপনারা এই দেশে জন্মেছেন এবং আপনারা এই দেশেরই নাগরিক।’
তিনি বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে সবাই চলতে পারলে সব ধর্মের অশুভ মহল কখনোই দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে সেই বিশ্বাস ও ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আমি আপনাদের সবার কাছ থেকে এটাই চাই।’
করোনাভাইরাস মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এগুলো সবার জন্য বড় সমস্যা তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছি, ফলে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিছু লোক এর চেয়েও বেশি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য অযথা দাম বাড়াচ্ছে,।’।
তিনি বলেন, সরকার দাম মনিটরিং ও পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সরকার এক কোটি মানুষকে বিশেষ পরিবার কার্ড দেবে, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্যমূল্যে চাল, মসুর, তেল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার নিচে দাম রাখার চেষ্টা করছি, যাতে তারা ভোগান্তিতে না পড়ে।’
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট এবং সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
নড়াইলে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ
নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে একাধিক সংগঠন।
সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও সামাজিক প্রতিবাদ কমিটি।
এছাড়া নারীমুক্তি সংঘ, বাংলাদেশ প্রগতি সংঘ, ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ প্রভৃতি সংগঠন সামাজিক প্রতিবাদ কমিটির ব্যানারে একত্রিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম সামজিক প্রতিবাদ কমিটির কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সোনার বাংলাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। কিন্তু নড়াইলের ঘটনা প্রমাণ করেছে আমরা মানুষ হিসেবে নিপতিত হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, ‘শুধু নড়াইলের ঘটনা নয়। ২০১২ সালের রামুর ঘটনার বিচার হয়নি। অন্যায়ের এই সংস্কৃতি আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহিংসতা বন্ধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা এখন যে বাংলাদেশ দেখছি সেটা আমাদের চেনা বাংলাদেশ নয়। আমাদের দেশটি সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠতে চলেছে। এটাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সেই বিদ্বেষপূর্ণ উপাদানগুলোকে তাদের বিষবাষ্প ছড়ানো থেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইলের হামলায় ভুক্তভোগী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে পাঁচ দফা দাবিও জানান তারা।
দাবিগুলো হলো- হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র উদঘাটনে একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই হামলার যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, রাজনীতির নামে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা।
২ বছর আগে