দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
বাংলাদেশ-ভুটান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: থিম্পুতে স্থাপিত হবে বিশেষ বার্ন ইউনিট
মানবতার সেবাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে চিকিৎসা সহযোগিতার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কূটনীতির মাধ্যমে ভুটানে মানব সেবার অনন্য নজির স্থাপন করছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই নিবিড় কূটনৈতিক সহযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে। স্বাস্থ্যখাতেও রয়েছে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা।
করোনা মহামারির সময়ে বাংলাদেশ ভুটানকে ওষুধ ও স্যানিটারি সামগ্রী প্রদান করে। ভুটানের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে এমবিবিএস ও বিডিএস পড়াশোনার জন্য প্রতি বছর স্কলারশিপ প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক বিভিন্ন বৈঠকে ভুটানের রাজা এবং প্রধানমন্ত্রীকে ভুটানের স্বাস্থ্যখাতে সম্ভাব্য সকল রকম বিষয়ে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প’।
এ উপলক্ষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ১২ জন চিকিৎসক ভুটানের জিগমে দর্জি ওয়াংচুক ন্যাশনাল রেফারেল হাসপাতালে বিশেষ সার্জারি ক্যাম্প পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই থিম্পু-ঢাকা জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তি সই: ভুটানের রাষ্ট্রদূত
চিকিৎসকদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ভুটানের অগ্নিদগ্ধ এবং প্লাস্টিক সার্জারি সংক্রান্ত জটিল অপারেশনের মাধ্যমে মানবিক সেবা প্রদান করছেন।
ভুটানের জনগণের জন্য মানবিক সহযোগিতার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ বৈঠক করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক।
এ উপলক্ষে ভুটানের রাজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং দু’দেশের জনগণের কল্যাণে স্বাস্থ্যসেবাসহ মানবিকতার সকল দিক ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাজা ওয়াংচুক এই মানবিক আয়োজনের জন্য থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়, চিকিৎসকদলের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।
‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প’ উপলক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে থিম্পুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী প্রথম ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা
১ বছর আগে
মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও সিয়েরা লিওন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের পার্শ্ব বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী তিমোথি মুসা কাব্বা দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করার সম্ভাব্য বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিখাতে সার্বিক উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অভূতপূর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
এ সময় তার দেশের এসব খাতে উন্নয়নের জন্য তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন বাংলাকে সিয়েরা লিওনের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সিয়েরা লিওনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আন্তরিক ভালোবাসা রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ শুধু কৃষি খাত নয়, তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতেও ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষিখাত ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সিয়েরা লিওনকে সহায়তা করতে আগ্রহী।
সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশে বাংলাদেশের মিশন স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান।
মোমেন বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে এবং অনেকগুলো উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে 'অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট' সেবা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
মঙ্গলবার এ বিষয়টিকে একটি প্রোটোকল সম্পর্কিত ইস্যু উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত পুলিশ প্রোটোকল পেতেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জড়িত।
তিনি আরও বলেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে না, কারণ সরকার বিদেশি দূত ও মিশনের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রেখেছে।
আরও পড়ুন: সরকার বিদেশি মিশনে আনসারদের মাধ্যমে বিকল্প সুবিধা দেবে: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে
মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ
মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানটি ২৬ মার্চের জন্য নির্ধারিত হলেও পবিত্র রমজান মাসের কারণে অনুষ্ঠানটি ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঊক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গঞ্জালেজ সাইফে।
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক সাইফে তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে মেক্সিকোর অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফরেন অফিস কন্সাল্টেশনে অংশগ্রহণের সুবাদে তিনি বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
দুই দেশের মধ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককের ‘উজ্জ্বল সম্ভাবনা’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি এই সম্পর্ককে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও বাস্তবমুখী করে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান।
উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের প্রেক্ষাপটে তার এই অঙ্গীকার বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, যা দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, যোগাযোগ ও অংশীদারিত্বের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ বীরাঙ্গণার অপরিসীম অবদানের জন্য তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার স্থায়ী বন্ধনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বছর ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সহযোগিতার নতুন সুযোগ উন্মোচিত হবে।
পরে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়, যা তাদের বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাদ দেয়।
উল্লেখ্য, মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য নতুন পথ অনুসন্ধানে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
১ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য অধিক কর্মতৎপরতার ওপর জোর দ. আফ্রিকার ডেপুটি মিনিস্টারের
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী মাশেগো দেলামিনি বলেছেন, ওষুধ, টেক্সটাইল ও সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র।
তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের দ্বিমুখী সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
দেলামিনি ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় সফরের পাশাপাশি আইওআরএ বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪৩
তিনি মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধি দল নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী পরামর্শ দেন যে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোক্তারা হাই টেক পার্কে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং কৃষি, আইটি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
তিনি সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি ম্যান্ডেলার সর্বোচ্চ ও আজীবন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মতো অভিন্ন প্লাটফর্মে একে অপরকে সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নের মতো সামাজিক উন্নয়ন এজেন্ডা নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও এই এজেন্ডাকে প্রতিষ্ঠা করছে।
পক্ষকে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার কনস্যুলেট খোলার আহ্বান জানানোয় দেলামিনি বলেছেন যে দক্ষিণ আফ্রিকা ঢাকায় একটি কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে।
প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং নিয়মিত অফিসিয়াল যোগাযোগ চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধি দল এদিন সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দলটি এফবিসিসিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বারে বন্দুক হামলা, নিহত ১৫
দক্ষিণ আফ্রিকায় নাইটক্লাবে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আগামী ৬-৭ আগস্ট এই সফরের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের মধ্যেই এই সফর হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফরসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সফর চূড়ান্ত হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াংকে আসলে তিনি খুশি হবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
২ বছর আগে
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই ঐকমত্য হয়।
দুবাই এক্সিভিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই নেতা নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম দুই দেশের মধ্যে এমিরেটস ফ্লাইট পরিচালনা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ সমঝোতা স্মারক সই
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই লক্ষ্যে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রচুর পরিমাণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলায় সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের প্রশংসা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনিও করোনা মোকাবিলায় ভালো করেছেন।’
শেখ হাসিনা দুবাইয়ে অসাধারণ উন্নয়নের জন্য আল মাকতুমের প্রশংসা করেন।
দুবাইয়ের নেতা বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বললে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরও উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে।
আল মাকতুম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
পড়ুন: মায়ের মমতা নিয়ে দেশ পরিচালনা করলে জনগণ অবশ্যই সমর্থন করবে: শেখ হাসিনা
বৈঠকে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
এলডিসি পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশের এখনই প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন: প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি
এলডিসিতে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ও একটি অসাধারণ কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেছেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন, কারণ পূর্বে বিদ্যমান নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ হিসাবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিত্বকারী ড্যানজি ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
এসময় তিনি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
ড্যানজি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বৈষম্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই দুরবস্থায় আমরা আমাদের নতুন সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্য নিরসন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।
ভবিষ্যতের কথা বলতে গিয়ে ড্যানজি বলেন, সুইজারল্যান্ড তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্ব’ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, আমার সফরে আমি এই দেশে অনেকগুলো ইতিবাচক বিষয় দেখেছি, যেগুলোর ফলে সুইজারল্যান্ড এই দেশের সঙ্গে কাজ করা এবং সে সংক্রান্ত ভবিষ্যত আলোচনা ও মতবিনিময়ে আগ্রহী করবে।
এসডিসি মহাপরিচালক বলেন, এই সমস্ত উপাদান কেন্দ্রীয় এবং তারা এটি তৈরি করতে চাইবে। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন একসঙ্গে এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেই এবং সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও স্থায়িত্বমূলক ভবিষ্যত তৈরিতে কাজ করি।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আরেকটি মৌলিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার অর্থায়নের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ড্যানজি বলেন, গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ২৬ সম্মেলনে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল টেকসই ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ড
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এটাই সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আবার নতুন করে স্থাপনের। যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্ক দেখি সেটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশ অ্যাট ৫০: দ্য রিজিল্যান্ট ডেল্টা’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের সম্পর্ক এখন সত্যিকার অর্থে কৌশলী হওয়া উচিত এবং শান্তিরক্ষা, জঙ্গীবাদ দমন, সমুদ্র, বিমান নিরাপত্তায় দু’দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দু’দেশের অংশীদারিত্বের কেন্দ্রে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি অভিবাসীদের রাখতে হবে। আমরা আমাদের অভিবাসীদের নিয়ে গর্বিত। ওয়েস্টমিনিস্টারে তাদের বাড়ন্ত নেতৃত্ব দেখে আমি খুশি। এই মুহূর্তে পাঁচজনের সবাই নারী! বৈচিত্রের এই মহৎ পার্লামেন্টে তাদের আরও অনেকে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অর্জন ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন গৃহীত কার্যক্রমও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য একই: রাষ্ট্রদূত ভিয়েত চিয়েন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেছেন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুর্দান্ত এবং উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভবিষ্যতে একই ধরনের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
৩ বছর আগে