মগবাজার ফ্লাইওভার
মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপের চাপায় বাসচালক নিহত
রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপের চাপায় এক বাসচালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম বাবু (৩৫) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি তুরাগের বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, বাস চালক শহিদুল সায়েদাবাদগামী বলাকা পরিবহনের একটি বাসের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পর্যায়ে বাসটি মগবাজার ফ্লাইওভারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, এতে বাস থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান শহিদুল। এরপর বাসের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পিকআপ তাকে চাপা দেয়।
পুলিশ জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসআই রুহুল আমিন বলেন, পিকআপটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথসহ বাসচালক-হেলপার আটক
১ বছর আগে
পোস্টার লাগানো নিরুৎসাহিত করতে মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি শিল্প
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন শহরের অবকাঠামো এবং পাবলিক স্পেসে ব্যাপকভাবে পোস্টার লাগানোকে নিরুৎসাহিত করতে ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে আকর্ষণীয় গ্রাফিতি আর্ট করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো বন্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চায়। তাই ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মগবাজার চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসক কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মেয়র পদে লড়তে আতিকুলের মনোনয়নপত্র জমা
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শহরের ফ্লাইওভারের পিলারের দিকে তাকালে আমরা সব জায়গায় পোস্টার দেখতে পাই। আমি সবাইকে এটা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করতে চাই। অন্যথায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। জেল ও জরিমানা হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম চিত্র শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই রঙ তুলির আচরে গ্রাফিতি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মেয়র বলেন, ‘দেশটা আমাদের, এই শহরটাও আমাদের। এই দেশ, এই শহর বাইরের কারো নয়। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। অথচ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে আমরা নিজেরাই এই শহরে দৃশ্য দূষণ করছি।’
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘আমরাই শব্দ দূষণ করছি, বায়ু দূষণ করছি। শহরের দূষণ বন্ধে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিলে হবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষণীয় ম্যাসেজ দেওয়া হবে। যেমন-হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন, আসুন দেশকে ভালোবাসি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রিকশায় যারা পেইন্টিং কাজ করতেন, তাদের যেন সম্পৃক্ত করি। তাই রিকশা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের এই গ্রাফিতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বাকি ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।’
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘সুন্দর পিলারগুলোতে পোস্টার লাগাবেন না। শহরকে রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের গ্রাফিতি কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও কিন্তু চাইলেই পারি। সবাই সচেতন হলে আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব।’
এসময় ফ্লাইওভারের পিলারের সৌন্দর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষণাও দেন তিনি।
১ বছর আগে