৩ মাস
এস এন শিপইয়ার্ড ৩ মাসের জন্য বন্ধ, ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস এন করপোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর শাস্তি ও জরিমানার পাশাপাশি ২০ দফা সুপারিশ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়া অধিশাখা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবক নিহত
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়া অধিশাখার উপসচিব সঞ্জয় কুমার ঘোষের সই করা চিঠির তথ্যানুযায়ী, নিহতদের পরিবারকে ৭ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং রুলস, ২০১১ এর ধারা ৪৫ দশমিক ৩ এর অধীনে ৫ লাখ টাকা ও শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা। শিপব্রেকিং ও রিসাইক্লিং রুলস ২০১১ এর ধারা ৪৫ এর ৩ অনুযায়ী ১০ লাখ টাকা। ধারা ৪৬ এর ৩ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা। ৪৬ এর ৯ ধারা অনুযায়ী ১০ লাখ এবং ৪৬ এর ১১ ধারা অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ইয়ার্ড বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে আহত শ্রমিকদের ১২ মাসের বেতনসহ ক্ষতিপূরণ ও তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ বহন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে ২০ দফা সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়।
গত ৭ সেপ্টেম্বর শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়। এদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয় ও ৬ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি আ. লীগের সাবেক এমপি-নেতারা
১ মাস আগে
সম্পত্তির জন্য মাকে ৩ মাস তালাবদ্ধ
সম্পত্তির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা জাহানারা বেগমকে তালাবদ্ধ ঘরে ৩ মাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকা থেকে জাহানারাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। জাহানারা বেগম (৭০) গোর্কণঘাটের মৃত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তির লোভে জাহানারাকে তিন মাস একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন তার ছেলে-মেয়েরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসময় তার ৮ সন্তানকে আটক করা হয়েছে। পরে তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা চান।
ওই নারীর সন্তানদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরে বন্দি করে রাখে। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমেওই নারীর কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যের ঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশুসহ দগ্ধ ৪
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ
৩ মাস আগে
সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
শনিবার (১ জুন) খেকে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত সুন্দরবনে এ নিষেধাজ্ঞা কর্যকর হবে। এই সময়ে বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম।
তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত।
পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনোভাবে অবাঞ্চিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বনে যাতে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে না পরে, সেজন্য বন বিভাগ সতর্ক থাকবে।
বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী ও গেওয়া গাছ বেশি।
এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, ৮টি প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।
এর মধ্যে মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৫ মাস আগে
সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, কোনো সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে তিন মাস আগে নোটিশ দিতে হবে।
তিনি জানান, হুট করে বা কম সময়ের নোটিশে কোনো সংবাদকর্মীকে প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে আসা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকতার নামে যারা অপ-সাংবাদিকতা করে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপতথ্যকে দমন করতে গিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করতে চায় না। এটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য।
আরও পড়ুন: সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখছে বেতার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে একটি জবাবদিহিতার মধ্যে আনা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের এমন দাবিরও সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ক্লিন ফিড ছাড়া কেউ টেলিভিশন চালাতে পারবে না। এমনটা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া সারাদেশে ক্যাবল নেটওয়ার্কের কাজ শিগগিরই ডিজিটালাইজড করার কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
যৌন হয়রানির অভিযোগে নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিভাগের করিডোরে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঢাবির নতুন প্রো-ভিসি শিক্ষা অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার
কর্তৃপক্ষের লিখিত সিদ্ধান্তে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে পাঠদানসংক্রান্ত সব দায়িত্ব ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে আপনাকে তিন মাসের ছুটি নিতে হবে।’
‘এছাড়া আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিষয়টি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় দিনের মতো বিভাগের করিডোরে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল ১০টা থেকে বিভাগের করিডোরে জড়ো হতে শুরু করেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিতে যান।
ওই সময় উপাচার্য কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তারা মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনে যান। সেখানে বিভাগের চেয়ারপারসন আবুল মনসুর আহমেদ তাদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, উপাচার্য বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে আছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
আবুল মনসুর আহমদ বলেন, 'বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, উপাচার্য স্যার নিশ্চিত করেছেন, আপনাদের দাবির বিষয়ে লিখিত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।’
উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা অধ্যাপকের অফিস ও বিভাগের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এর আগে শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে দাখিল করা অভিযোগে প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে পর্যবেক্ষণ করা, অসময়ে অনবরত ফোন করা, যৌন ইঙ্গিত দেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
রবিবার সকালে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তিনটি মূল বিষয় উত্থাপন করেন: অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন, যৌন শিকারীদের জন্য দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তদন্ত চলাকালীন ওই শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
৯ মাস আগে
৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
সুন্দরবনে এবার পর্যটন মওসুম শুরুর পর থেকে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভরা মৌসুমে সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
একটানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকদের মধ্যে বড় একটি অংশ বিদেশি।
সুন্দরী ইকো রিসোর্টের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই আমাদের স্বপ্ন। ঢাংমারি এমন একটা গ্রাম যেখানে গড়ে উঠেছে কিছু ইকো রিসোর্ট যাদের মাধ্যমে এই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
১ বছর আগে
৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
একটানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন।
ইতোমধ্যে জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোট চালকেরা সুন্দরবনের প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকার ইকো কটেজগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে পর্যটক বরণের।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
সুন্দরী ইকো রিসোর্টের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের বরণে সব আয়োজন শেষ করেছি আমরা। রিসোর্টে বসে সুন্দরবনের পাখিদের ডাক, পায়ে হেঁটে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ, নিরাপত্তার সঙ্গে নিশিযাপন এবং মানসম্মত খাবারগ্রহণ প্রভৃতি আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার ডালি সাজিয়ে আমরা অপেক্ষায় আছি পর্যটকদের।’
মোংলা ঘাটের ট্রলার চালক রুবেল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মোংলা থেকে করমজল পর্যন্ত ট্রলারে দর্শনার্থী বহন করেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করতাম। সুন্দরবন বন্ধের তিন মাস মোটামুটি বেকার অবস্থায় ছিলাম। আশাকরি আবারও সেই কর্মজীবনে ফিরতে পারব। এজন্য ট্রলার পরিস্কার ও সাজ-গোজেরও কাজ করেছি।’
এদিকে, টানা তিন মাস বন্ধ থাকায় প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরে উঠেছে সুন্দরবন। দর্শনার্থী, মৎস্যজীবী ও বনজীবীদের প্রবেশ না করায় প্রাণিকূল তাদের নিজের ইচ্ছেমত বিচরণ করেছে। গাছগাছালিও শাখা মিলেছে নিজেদের মত করে।
এরআগে, বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম থাকায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সকল প্রকার বনজীবী ও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
১ বছর আগে
কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন এবং যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ পরিবহন ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ’- বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
১ বছর আগে