১৯৬৫ সাল
বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিতে কাজ করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই অঞ্চলের পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারত সংযোগকে ১৯৬৫ সালের আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে।
বুধবার ভারতের আগরতলায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি রাস্তার নামকরণের জন্য অনুরোধ করেন এবং আগরতলায় একটি ‘শহীদ মিনার’ নির্মাণে তাঁর সহায়তা চান।
রাজ্যের মন্ত্রী সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদে সাম্প্রতিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য ঘর ও হৃদয় খুলে দেওয়ার জন্য তিনি ত্রিপুরার জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
উভয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তারা পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে ত্রিপুরার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রচারে সম্মত হন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রতিমন্ত্রী।
সাহা চলমান কানেক্টিভিটি উদ্যোগ, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার মধ্যে দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এমপি ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার।
এর আগে, প্রতিমন্ত্রী আগরতলায় ত্রিপুরা স্টেট মিউজিয়াম (উজ্জয়ন্ত প্যালেস) পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঢাকার উদ্দেশে আগরতলা ত্যাগ করেন শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
১ বছর আগে