স্মার্ট এগ্রিকালচার
তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশে স্মার্ট এগ্রিকালচারের ধারণার আবির্ভাব ও গ্রহণে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি দেশের জিডিপিতে (১২%) কৃষির অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমাদের আরও উৎপাদনশীলতা প্রয়োজন। স্মার্ট কৃষি সময়ের প্রয়োজন এবং এর জন্য আমাদের একটি যান্ত্রিক চাষপদ্ধতিতে যেতে হবে।’
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে 'ট্রান্সফরমিং কনভেনশনাল এগ্রিকালচার টু স্মার্ট এগ্রিকালচার' (প্রচলিত কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর) শীর্ষক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের নীতি সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অপচয় কমাতে বহুমুখী কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থারও আহ্বান জানান তিনি। পরে তিনি পণ্যের বৈচিত্র্য, পানির দক্ষ ব্যবহার এবং জলবায়ু প্রতিরোধী ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামির সাত্তার বলেছেন, কৃষকদের উৎপাদনশীলতা, স্থায়িত্ব ও মুনাফা বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ও শিক্ষায় বিনিয়োগ অপরিহার্য।
তার মতে, এগুলো বাংলাদেশকে স্মার্ট এগ্রিকালচারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি, আমাদের কৃষকদের প্রযুক্তি গ্রহণ এবং উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়াও অপরিহার্য।’
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং ১৪৫টিরও বেশি দেশে প্রায় ৭০০ রকমের পণ্য রপ্তানি করেছে।
সাত্তার তার বক্তব্যে কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, যা জিডিপির প্রায় শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ অবদান রাখে, বর্তমানে সীমিত মূল্য সংযোজন দক্ষতা, বৈচিত্র্যের অভাব, গুণমান নিশ্চিতকরণ, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে কম সচেতনতার মতো চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশিকা
তিনি বলেন, ‘তদুপরি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স, মেশিন, ইন্টারনেট অব থিংস এবং নতুন কৃষি প্রযুক্তি শিখতে হবে।’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন বলেন, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশকে স্মার্ট এগ্রিকালচারের দিকে যেতে হবে এবং এই ধারণার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে আমাদের স্মার্ট টেকনোলজির দিকে যেতে হবে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখন স্মার্ট টেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন আশীর্বাদ ব্যবহার করছে। অতএব, প্রতিযোগিতা করার জন্য আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারি না।
তিনি স্মার্ট কৃষিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানান। এ ক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি খাতকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও বাংলাদেশে এফএও’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডমেনিকো স্কাল্পেলি যথাক্রমে বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বহুমুখী সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে