ঐকমত্য
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সব অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও বিচারকর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, দেশের জাতীয় অগ্রগতি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিচারকরা স্বাধীনভাবে ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছে। ফলে নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সমন্বয় ও বিচার প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু বিচার প্রশাসনের উন্নতিই হবে না বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাও জোরদার হবে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজাং রিনজিন ইয়ারগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আরও পড়ুন: বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করত: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে কিছু বিষয়ে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে: আইনমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত বন্ধে ঐকমত্য গড়ে তুলছে জি-৭
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরে চীন ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সহায়তার আহ্বানের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে এমন কার্বন নিঃসরণ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে রবিবার জি-সেভেন (জি-৭) ধনী দেশগুলোর নেতারা ঐকমত্য চূড়ান্ত করেছেন।
জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাপ্পোরোতে জড়ো হওয়া জি-৭ জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার প্রয়োজনের সঙ্গে জলবায়ু ও অন্যান্য পরিবেশগত উদ্বেগের ভারসাম্য বজায় রাখবে।
রুদ্ধদ্বার আলোচনায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা আগামী দশকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত পরিবর্তনের জন্য একটি বিবৃতি আশা করছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
কিয়োডো নিউজ সার্ভিসের খবরে বলা হয়, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাপান তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য কয়লার ওপর নির্ভর করে এবং তথাকথিত পরিষ্কার কয়লার ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে; কার্বন নির্গমন ধরে রাখতে, হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে - যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলে কেবল পানি উৎপাদন করে।
জি-৭ দেশগুলো বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী। তাদের পদক্ষেপগুলো সমালোচনামূলক, তবে কম ধনী দেশগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন প্রায়শই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ভোগ করে এবং এই জাতীয় প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সবচেয়ে কম সংস্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
১ বছর আগে