ঐকমত্য
কিছু প্রস্তাবে বিরোধিতা করে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠিয়েছে ইসি
নির্বাচন সংক্রান্ত বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৭ মার্চ) ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'আমরা কিছু প্রস্তাবে ভিন্নমতসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ স্যারের কাছে আমাদের মতামত পাঠিয়েছি।’
ভিন্নমতের বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে কমিশনের প্রয়োজন নেই।’
এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে সংযোজন বা বিয়োজন ১০ শতাংশ ভোটারের ফর্মুলাও প্রয়োজন নেই বলে জানান আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি হলো- এই ফর্মুলা অনুসরণ করলে শহরাঞ্চলে নির্বাচনী এলাকার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে এবং শহরাঞ্চলের দিকে মানুষের আগমন বেশি হওয়ায় তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
অন্যান্য ভিন্নমতের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং প্রজ্ঞাপন জারির আগে নির্বাচন কমিশনকে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে একটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু করা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার পক্ষে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান ইসির
প্রস্তাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ইসি মনে করে এই প্রত্যয়নের প্রয়োজন নেই। কারণ একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা সন্তুষ্ট না হলে বেসরকারি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন না।
ইসি সচিব বলেন, তারা মনে করেন, এখানে ভোটার ও জনগণের সংখ্যা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা উচিত।
তবে আখতার আহমেদ বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত রাখতে সংস্কার প্রস্তাবে তারা একমত।
বর্তমানে ইসি এনআইডি সার্ভার থেকে ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে সেবা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৩ দিন আগে
‘ন্যাশনাল চার্টার’ প্রণয়নে দ্রুতই ঐকমত্য গড়তে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, 'ন্যাশনাল চার্টার' প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি করতে চায় কমিশন।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যেভাবে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তেমনিভাবে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা সম্ভব।
আলী রীয়াজ বলেন, ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা। তিনি বলেন, কমিশন এ বিষয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে বা ব্যাখ্যা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পেলেই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
এসব আলোচনার সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দলগুলোর মতামত পাওয়া মাত্রই—তা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
কমিটির সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘসূত্রতা চাই না: আলী রীয়াজ
যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা। সেজন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিদের পাঠানোর অনুরোধ করেছিলাম, যাতে করে তারা পরস্পরের সঙ্গে কেবল পরিচিতই হবেন না, পাশপাাশি তাদের বক্তব্যগুলোও যেন শোনা যায়।’
তিনি বলেন, ‘এখানে আজ কোনো রকমের সংলাপের বিষয় ছিল না। আজকের লক্ষ্য ছিল, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া কী হবে— সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করা।’
‘মূলত এক অর্থে এটিকে আমরা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হিসেবে বিবেচনা করছি। এখানে দেশের ২৭টি রাজনৈতিক দল (বৈঠকে) উপস্থিত ছিল। সবগুলো দল ও জোটের পক্ষ থেকে শতাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩২ জন কথা বলেছেন।’
সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই প্রধান বলেন, ‘বৈঠকে যে বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, তা হচ্ছে— রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে যে জাতীয় ঐক্য রক্ষার আর কোনো বিকল্প নেই। সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা তাদের দৃঢ়চিত্ততা প্রকাশ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রক্রিয়াকে সহযোগিতার পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করবেন।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল, নাগরিক ও সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া— রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া এই বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে তা-ই প্রমাণ করে।’
‘সেই লক্ষ্য থেকেই আজকের এই বৈঠক। আমরা আশা করছি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ এখন শুরু হবে। আমরা আলাদাভাবে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব; জোটগতভাবে কথা বলব; একপর্যায়ে আবার সবাইকে একত্রিত করে ফিরে আসব।’
আরও পড়ুন: সরকারের পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত নাহিদের
তবে এই প্রক্রিয়াটিতে দীর্ঘসূত্রতা করতে চান না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্প কিছুদিনের মধ্যে করতে পারব বলে আশা করছি। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের কাছে যেন সংস্কার প্রতিবেদনগুলোর হার্ডকপি পৌঁছে দেওয়া হয়; আমরা দ্রুত সেই পদক্ষেপ নেব।’
ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কারও মধ্যে কোনো দ্বিধা-সংকোচ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি, এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে পারব।’
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে এই সংলাপ শেষ করতে কতদিন লাগতে পারে— জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই কমিশনের মেয়াদই হচ্ছে ছয় মাস। সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, যতদ্রুত সম্ভব আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাই, কিন্তু ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তো সময় দিতে হবে! আমরা খুবই দ্রুততার সঙ্গেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই।’
‘এই সংস্কার কর্মসূচি অগ্রসর হওয়া দরকার, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যাতে আমরা নির্বাচনে দিকে অগ্রসর হতে পারি।’
‘সেটি ছয় মাসের মধ্যে হবে কি না’ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এই সময়ের চেয়েও কম সময়ের মধ্যে করার। রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ আছে। তবে এটা আকস্মিক হবে না। আমরা প্রতিবেদনগুলো পেয়েছি, রাজনৈতিক দলগুলো সেটা পর্যালোচনা করবে। তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সময় দিতে হবে। কাজেই কিছুটা সময় লাগবে। লক্ষ্য থাকবে, যত দ্রুত সংলাপ ও আলোচনা শুরু করা যায়, সেদিকে।’
৪৩ দিন আগে
কেমন বাংলাদেশ চাই, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তা নির্ধারিত হবে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমে আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই, তা নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটি প্রস্তুতিমূলক সভা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন রাজনীতিবিদ এতে অংশগ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যতগুলো দলকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তারা সবাই অংশ নিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আর জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।’
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে আ.লীগের পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়াও: প্রেস সচিব
শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. ইউনূস বলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে প্রথম ছয় মাসে। আজকের সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার প্রতি সবার সমর্থন আছে। বড় বড় দেশগুলো বলেছে— আপনাদের কী চাই? আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘেরও পুরো সমর্থন আছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিবেদন এসেছে, তাতে পুরো পৃথিবী জানতে পেরেছে— এখানে কীরকম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কে সেই নির্দেশ দিয়েছে ও কীভাবে এ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। কাজেই নতুন যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো পৃথিবী ও বাংলাদেশের সবাই আছে। এখন এই সংলাপের মাধ্যমে কীরকম বাংলাদেশ আমরা চাই, সেটি নির্ধারিত হবে।’
৪৩ দিন আগে
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সব অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও বিচারকর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, দেশের জাতীয় অগ্রগতি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিচারকরা স্বাধীনভাবে ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছে। ফলে নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সমন্বয় ও বিচার প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু বিচার প্রশাসনের উন্নতিই হবে না বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাও জোরদার হবে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজাং রিনজিন ইয়ারগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আরও পড়ুন: বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করত: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে কিছু বিষয়ে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে: আইনমন্ত্রী
২৯৫ দিন আগে
কার্বন নিঃসরণ দ্রুত বন্ধে ঐকমত্য গড়ে তুলছে জি-৭
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরে চীন ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও সহায়তার আহ্বানের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখে এমন কার্বন নিঃসরণ পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে রবিবার জি-সেভেন (জি-৭) ধনী দেশগুলোর নেতারা ঐকমত্য চূড়ান্ত করেছেন।
জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাপ্পোরোতে জড়ো হওয়া জি-৭ জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রীরা রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তার প্রয়োজনের সঙ্গে জলবায়ু ও অন্যান্য পরিবেশগত উদ্বেগের ভারসাম্য বজায় রাখবে।
রুদ্ধদ্বার আলোচনায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা আগামী দশকে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত পরিবর্তনের জন্য একটি বিবৃতি আশা করছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের দাবি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের
কিয়োডো নিউজ সার্ভিসের খবরে বলা হয়, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধের সময়সীমা নির্ধারণ করা এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাপান তার বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের জন্য কয়লার ওপর নির্ভর করে এবং তথাকথিত পরিষ্কার কয়লার ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে; কার্বন নির্গমন ধরে রাখতে, হাইড্রোজেন উৎপাদন করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে - যা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলে কেবল পানি উৎপাদন করে।
জি-৭ দেশগুলো বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী। তাদের পদক্ষেপগুলো সমালোচনামূলক, তবে কম ধনী দেশগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন প্রায়শই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব ভোগ করে এবং এই জাতীয় প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সবচেয়ে কম সংস্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতের আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
৭১৪ দিন আগে