ফ্যাসিবাদ
প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গত ৫৩ বছরের বাংলাদেশের শাসন কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ছিল বলেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনস্থ এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আমজনতার দলের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা, যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের সর্বস্তরের মানুষ যে ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন সহ্য করেছে, তা যেন আর ফিরে না আসে। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের অব্যাহত আলোচনা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
আমজনতার দলের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, কার্যকরী সদস্য সাধনা মহল এবং তামান্না শিখাসহ ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল৷
আরও পড়ুন: এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। আমজনতার দলসহ এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে কমিশন।
১১ দিন আগে
ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ: আদিলুর
পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশে আজ নববর্ষের আমেজ চলছে উল্লেখ করে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছি। আমরা এই উৎসব ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ এক হয়ে পালন করছে নববর্ষ। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা চলছে সারা দেশে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনে শুরু সাত দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আদিলুর আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, খাদ্যজাতপণ্যের বিদেশে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। উদ্যোক্তারা এই মেলার মাধ্যমে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানিযোগ্য করে তুলবে। উদ্যোক্তারা যেভাবে ৫ আগস্ট উত্তর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। বাংলা একাডেমী আয়োজিত এই মেলা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, আমরা ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছি। আজকের শোভাযাত্রায় সব জাতিগোষ্ঠী একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে এবং একসঙ্গে আনন্দ করছে। একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও রঙিন উৎসব। মেলা এমন একটা জায়গা যেখানে দুইপক্ষ খুশি থাকে। একজন ক্রয় করে এবং অন্যজন বিক্রি করে। মেলার সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে ছাত্ররা: উপদেষ্টা আদিলুর
এসময় সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. মফিদুর রহমান এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম।
এ মেলায় ৯৮টি স্টল রয়েছে। সাত দিনব্যাপী এ মেলা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, নানা জাতের কুটির শিল্প, কারুশিল্প, খেলনাসহ হরেক রকমের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও মেলায় যাত্রা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাসসহ বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
২০ দিন আগে
উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছর ধরে যে আন্দোলন চালিয়েছে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান তারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।’
শনিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলায় এবং বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে গিয়ে গত ১৫ বছরে ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে জুলাই-আগস্টে শিশু-তরুণ ও কিশোররা জীবন উৎসর্গ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাই আমি উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কেন এই ১৫ থেকে ১৬ বছরের আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মধ্যে বিভাজনের রেখা টানছেন?’
বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে চালের দাম কমানোর দিকে মনোনিবেশ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, 'একজন উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেছেন, আপনারা যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন, এভাবে পাঁচ বছর চললে দেশ আরও উন্নত হবে। তার মানে এখানে নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, 'আপনারা তাদের (ছাত্রদের) কী শেখাচ্ছেন? আপনি তাদেরকে ফ্যাসিবাদ বা একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা অন্যায়।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, তার দল চায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করুন, যেখানে তার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় থাকবে।
বিএনপি নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের এমন গভীর আস্থা রয়েছে যে, আপনারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তবে বিলম্ব হলে তা ভিন্ন দিকে মোড় নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশে বর্তমান অসন্তোষ শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ফল। ‘আমাদের অবশ্যই এই দুঃশাসনের বিকৃত ফলকে উৎপাটন করে শুদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
৪৮ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে: নাহিদ ইসলাম
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইমলাম।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল আটটায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বীর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে দলের নেতারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
নাহিদ ইমলাম বলেন, ‘আমরা ২০২৪’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করব। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলেও ফ্যাসিবাদের কারণে আমাদের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
তিনি বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বারবার ভেঙে পড়েছে। তাই আমাদের একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়তে হবে। একটি নতুন প্রজাতন্ত্র গড়তে হবে। এ জন্য একটি নতুন সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।
নাহিদ আরও বলেন,তরুণরাই রাষ্ট্র গঠন করবে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগাঠনিক কার্যক্রম বিস্তার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার দ্রুত করতে হবে এবং ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানাতে হবে। এ সকল কাজের জন্য সকল মহলকে সচেতন থাকতে হবে।
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলা শেষে তারা রাজধানীর রায়ের বাজারে ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন তারা। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
৬২ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
ফ্যাসিবাদী সরকারের মাধ্যমে সৃষ্ট অচলাবস্থার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেছন, ‘বর্তমান সরকার যদি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিতে চান, তাহলে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার যে দেশকে অচলাবস্থা করেছিল সেটার প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে আবারো ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।’
আযাদ বলেন, বাংলাদেশকে গড়তে হলে আমাদেরকে ঔক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, বিগত ৫৩ বছর বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পড়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এ জন্যই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লব ঘটেছে। বুলেটের সামনে দেশের দামাল ছেলেরা বুক পেতে রক্ত দিয়েছে। হাজার হাজার লাশ পড়েছে ও ৩০ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দ্যেশে করে তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে। তারপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদে সংখ্যানুপাতিক আসন বিন্যাস করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে বিগত সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিও জানান আযাদ।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার এসেছিল বৈষম্য দূর করতে, এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি দেশ। আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের অধিকার সমান। সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ কার্যকর হয়নি এখনো।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণভবন ঘেরাওয়ের কথা বুঝতে পেরে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। ১৫ বছর ছাত্রদের যে ইতিহাস পড়ানো হয়েছিল, ছাত্র-জনতা সেদিন ফুসে উঠে ক্রেন দিয়ে সেগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত সরকার সম্পদের সঠিক ব্যবহার না করে শুধু লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, চর দখলের মতো ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে ক্যান্টনম্যান্ট তৈরি করেছিল। যে কারণে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। শুধু সমদ্রের সম্পদ ব্যবহার করে দেশের ছয় মাসের চাহিদা মেটানো সম্ভব ছিল।
হামিদুর রহমান বলেন, যে উদ্দেশ্য এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। দেশে সুশাসন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় পাঁচবার বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচার করতে হবে। তিনি সর্বশেষে জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলামসহ জেলবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতায় যাওয়া নয়, সুশাসন কায়েম করাই জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য’
ফরিদপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বোয়ালমারী পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা সৈয়দ নিয়ামুল হাসানের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য শামসুল ইসলাম আল-বরাটী, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন, সেক্রেটারি আব্দুল ওহাব, ফরিদপুর-১ আসনের জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা, জেলা নায়েবে আমির আবু হারেস মোল্যা প্রমুখ।
৭১ দিন আগে
আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে একুশের চেতনাই তা রুখবে: রিজভী
একুশের চেতনা কোনোদিন ম্লান হবে না জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যদি আবারও কোনো ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, কোনো ধরনের ডিক্টেটরের উত্থান ঘটে, তাহলে একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এদেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে।’
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি যে- ৫২’র একুশে ফেব্রুয়ারি যুগ যুগ ধরে আমাদের কাছে এমন একটি চেতনা, এমন একটি বৈপ্লবিক আদর্শ যা আমাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে, যেটাকে কখনোই ধ্বংস করা যায় না, কখনও ম্লান করা যায় না। যুগ যুগ ধরে পৃথিবী মানুষ এবং আমাদের সমাজ-সংসার যতদিন থাকবে, ততদিন একুশ আমাদের সাহস যোগাবে এবং লড়াই করতে উদ্ধুব্ধ করবে।’
তিনি বলেন, ‘একুশ মানে অধিকারের সংগ্রাম, একুশ মানে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। এটি ছিল জাতীয় স্বাধীনতার প্রথম সোপান, এই ভাষা আন্দোলনের সোপান পেরিয়ে আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছি স্বাধীনতার যুদ্ধের দিকে। আমাদের মহা অর্জন—স্বাধীনতা লাভ করেছি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যখনই আমরা স্বৈরাচারের কবলের মধ্যে পড়েছি, যখন দেশে গণতন্ত্রহারা মানুষ বন্দিশালার মধ্যে বাস করেছে, তখন ৫২ আমাদের উদ্ধুব্ধ করেছে, আমাদের প্রেরণা জাগরিত করেছে— কীভাবে আমরা এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
‘একুশের প্রেরণাতে আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি, অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, তার মধ্য দিয়ে সেই ভয়ংকর নিপীড়ক এবং রক্তপিপাসু স্বৈরাচার, ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ সরকার তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, ‘এখন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (রয়েছে)। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ নির্বাচন করা। তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে; বিভিন্ন সংস্কার আছে। যেটা প্রয়োজনীয় সংস্কার, সেটা যে সময় আছে সেই সময়ে করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে, যে দেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে আজকে যাদের ১৮ বছর, একুশ বছর বয়স—তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তারা জানে না। কারণ (গত) ১৭ বছর ভোট হয়েছে আপনার চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে; ভোটকেন্দ্রে দিনের ভোট রাতে করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, ভোট ধ্বংস করেছে। এগুলো থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।’
জাতীয় নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার না পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন— এই বিতর্কে আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। বরং এই সরকারকে প্রথমেই জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণ তাদের নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে তারাই নির্ধারণ করবে যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।’
‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মহিউদ্দিন চৌধুরী জিতেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান জিতেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোহাম্মদ হানিফ জিতেছে। বিএনপির সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করায় বিরোধীরা জিতেছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেটা হয়নি।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য সঠিক নয় জানিয়ে রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু নেতা বা কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখছেন যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি হবেন— এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। কিন্তু এটা আমাদের দল বিএনপির অবস্থান নয়— এই কথাটা আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম।’
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় রাজধানীর নিউ মার্কেটের কাছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে থেকে রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিশাল প্রভাতফেরি আজিমপুর কবরস্থানে যায়। সেখানে ভাষা শহিদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করে বিএনপির প্রভাতফেরিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসে। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। এরপর রিজভীর নেতৃত্বে শহিদ মিনারের বেদিতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়নসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৭২ দিন আগে
এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল: জামায়াত সেক্রেটারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অর্থনৈতিক নীপিড়ন, রাজনৈতিক নির্যাতন এবং বিচার ব্যবস্থায় বৈষম্যের মাধ্যমে সব কিছুকে ধ্বংস করে এক ব্যক্তি, একদল, এক পরিবারের হাতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফ্যাসিবাদ পয়দা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ইতিহাসের একটি কালো যুগ পার করেছি। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। আমাদের ভোটাধিকার ছিলো না। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনের সমস্ত খুনের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে তালা উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৭ খাতে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জামায়াত সেক্রেটারি
গোলাম পরওয়ার বলেন, উনি(হাসিনা) আইন করে জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। আল্লাহ তায়ালা বেশি সময় দিলেন না। দাম্ভিক, অহংকারী প্রতিহিংসা পরায়ণ শাসকদের আল্লাহ হয়ত ছাড় দেন- কিন্তু একদম ছেড়ে দেন না।
তিনি বলেন, জামায়াত শিবিরের উপর হাত দেওয়ার ৭ দিনের মাথায় আল্লাহ তাকে নিষিদ্ধ করে দিলেন। কাপুরুষের মতো পালিয়ে যেখানকার মাল সেখানে ফিরে গেলেন। আর জামায়াত শিবিরকে মহান আল্লাহপাক মর্যাদায় উত্তীর্ণ করে দিলেন।
তালা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
৯৭ দিন আগে
বিএনপি-জামায়াতের বদানুবাদে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের শঙ্কা মামুনুল হকের
বিএনপি ও জামায়াত বর্তমানে যে রাজনৈতিক বদানুবাদে জড়িয়েছে, তাতে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১০টায় পটুয়াখালী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত জেলা ইসলামি খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।জেলা সভাপতি মাওলানা আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দরাও এতে বক্তব্য রাখেন।খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেভাবে বাদানুবাদে জড়িয়েছে, এর ফলে যদি ফ্যাসিবাদ আবার পুনর্বাসন হয়, তবে বাংলার জনগণ বিএনপি-জামায়াতকেও ক্ষমা করবে না।
‘৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদ বাদে রাজপথে আমরা সবাই যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেটি ধরে রাখতে হবে,’ বলেন তিনি।
এ সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। কোনো তন্ত্রমন্ত্রে কাজ হবে না, একমাত্র ইসলামি হুকমত ছাড়া এ দেশে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব না।
এসময় জেলা জামায়াতের আমির এডভোকেট নাজমুল আহসান ও বরিশাল বিভাগীয় ছাত্রশিবিবের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
১০৯ দিন আগে
ভারসাম্য ও জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক ক্ষমতা কাঠামো দরকার: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের এমন একটি ক্ষমতা কাঠামো দরকার, যেখানে ভারসাম্য ও জবাবদিহিতা থাকবে। কিন্তু আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, সংবিধানের ঊর্ধ্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা; কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। জবাবদিহিতাহীন ক্ষমতার পথ ধরেই বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে গণসংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষে, কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক এই গণসংলাপের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা কমিটি।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫৩ বছরে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি, বরং দেশ উল্টো পথে চলেছে। ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে রক্ষা করতে ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আত্মাহুতি দিয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের আত্মাহুতির দায় আমাদের বহন করতে হবে; তাদের ঋণ শোধ করতে হবে।’
‘সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহিদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
এ সময় কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক ইমরাদ জুলকারনাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহের হোসেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য হাসান মারুফ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও সরকারের কর্তৃত্ব থেকে আলাদা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি
১২৮ দিন আগে
রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
শেখ হাসিনাকে মাস্টার মাইন্ড অভিহিত করে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড হলো শেখ হাসিনা। তাই এমন নির্বাচন হতে হবে, যাতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট খানজাহান আলী আদর্শ আলিম মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার বলেন, ‘অত্যাচারী নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এবং স্যাডিষ্ট, যারা মানুষ খুন করে, ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং রক্ত দেখে আনন্দ পায়- এই নিষ্ঠুর বর্বরতা রাজনীতিতে আর জায়গা পেতে পারে না। এজন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ালি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪- এর মতো নির্বাচন হবে।’
এছাড়া সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মশিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
১৭০ দিন আগে