ফ্যাসিবাদ
রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জামায়াত সেক্রেটারির
শেখ হাসিনাকে মাস্টার মাইন্ড অভিহিত করে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মাস্টার মাইন্ড হলো শেখ হাসিনা। তাই এমন নির্বাচন হতে হবে, যাতে রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদের কবর রচিত হয়। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাগেরহাট খানজাহান আলী আদর্শ আলিম মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ার বলেন, ‘অত্যাচারী নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এবং স্যাডিষ্ট, যারা মানুষ খুন করে, ক্ষতবিক্ষত দেহ এবং রক্ত দেখে আনন্দ পায়- এই নিষ্ঠুর বর্বরতা রাজনীতিতে আর জায়গা পেতে পারে না। এজন্য আগামী নির্বাচনে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রংপুরে জামায়াতের হিন্দু শাখার কমিটি গঠন
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, জুডিশিয়ালি, কনস্টিটিউশন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচন হলে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪- এর মতো নির্বাচন হবে।’
এছাড়া সকল দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদ হটানোর আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার শফিকুল আলম, অধ্যক্ষ মশিউর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
৬ দিন আগে
জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ: ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগানে মুখর
রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে তাদের "ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ" বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
রবিবার ভোর থেকেই নূর হোসেন চত্বর নামে পরিচিত জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে গণহত্যার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক রুটে স্ট্রেচার টিকেট দিল বিমান
শনিবার আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শহীদ হোসেন দিবস পালনের ঘোষণা দিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের জিরো পয়েন্টে আসার আহ্বান জানায়। এদিকে এরপর তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা সমাবেশ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
এদিকে শহীদ নূর হোসেন দিবসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ১৯১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সারাদেশে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
রাজধানীতে সচিবালয়ের আশেপাশে এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পুলিশকে কিছু ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা গেছে। তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেখানে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।’
ইউএনবির এই প্রতিনিধি রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। "আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের স্থান নেই", "দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত”, "উই ওয়ান্ট জাস্টিস"—এমন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
নাইমুর নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই দেশে যেই দল ও সরকার ফ্যাসিবাদকে চরমে নিয়ে গেছে, যারা আমার ভাই-বোনদের হত্যা করেছে, তাদের জন্য কোনো দয়া নেই। আমরা কোনো লীগ চাই না, আর এ কারণেই আমরা আজ এখানে এসেছি।’
বিক্ষোভকারীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে ন্যায়বিচারের দাবি জানান। দেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে ক্রমবর্ধমান ফ্যাসিবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।
এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন।
তার বুক ও পিঠে লেখা ছিল "স্বৈরাচার নিপাত যাক" এবং "গণতন্ত্র মুক্তি পাক" স্লোগান।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
১ সপ্তাহ আগে
পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরতে দেবেন না: বিএনপি
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন রুখে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না এবং এটি চিরতরে নির্মূল করা হবে বলে প্রত্যাশা করছে জাতি।’
আগামীতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডা. শাহাদাতকে বিএনপি ও শীর্ষ দুই নেতার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি দাবি করেন, চসিক নির্বাচনে ড. শাহাদাত জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে সেই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
নির্বাচনে কারচুপির ফলাফল পাল্টে দিয়ে ড. শাহাদাতকে যথাযোগ্য বিজয়ী ঘোষণা করায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ফখরুল।
আদালতের রায় মেনে নিয়ে ডা. শাহাদাতকে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এর আগে রবিবার সকালে চসিকের মেয়র হিসেবে শপথ নেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তাকে শপথ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শপথ গ্রহণের পর ডা. শাহাদাত ফখরুলসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে গত ১ অক্টোবর চসিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ড. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খায়রুল আমিন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় এবং বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
তবে গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ড. শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করে ওই রাতেই গেজেট প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
২ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের বিরুদ্ধে ঐক্যের ডাক বিএনপির
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রুখে দিতে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব যত দ্রুত সম্ভব পালনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা ও সাবেক এমপি মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। পরে দলের জাতীয় কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে যারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে তারা অনুশোচনা প্রকাশ করেনি, অনুতাপ প্রকাশ করেনি এবং তারা দেশের ক্ষতির জন্য কাজ করেই যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অবিচল রেখে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলো- এত দমন-পীড়ন সহ্য করেও আমরা শিক্ষা নিইনি।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করতে দেশে ফেরানোর দাবি বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, শুধু সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে একটি গণতন্ত্রপন্থি দল আরেক দল সম্পর্কে কটূক্তি করছে, যা কোনো কাজে আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে গণঐক্য গড়ে তুলেছি তা দিয়ে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে পারি। এই ঐক্যের সঙ্গে যদি কোনোভাবে আপস করা হয়, তাহলে সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আমাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এজন্য আমাদের একতা বিপন্ন করা উচিত নয়।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশ গঠন ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ডান, বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামি সব শক্তিকে নিয়ে কাজ করাই বিএনপির লক্ষ্য। ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ দেশের মানুষ যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের শিকার না হয়। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষেও কথা বলি, কিন্তু এর অপব্যবহারের পক্ষে নই।’
স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দোসররা গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সব অশুভ প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সহায়তা করাই তাদের দলের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা। ফ্যাসিবাদ দূর হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা আশা করি, তারা এটি সঠিকভাবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করবে।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সরকারকে একটি যৌক্তিক সময়সীমা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ‘তবে সরকারের লক্ষ্য জনগণের কাছে পরিষ্কার হতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি আমাদের বুঝতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। ‘তারা যেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী বাহিনীকে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সাত শতাধিক নেতা-কর্মী গুমের শিকার হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই আর ফিরে আসেননি।
তিনি বলেন, 'আমরা জানি না তারা বেঁচে আছেন কি না। তাদের সন্তান, বাবা-মা ও স্বজনরা এখনো প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অসংখ্য ছাত্র ও নাগরিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। ‘জনগণ যাতে আর এ ধরনের শাসনের মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার তৃণমূল বিএনপি চেয়ারম্যান শমসের মবিন
১ মাস আগে
ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারক এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বিগত সময়ে যেসব বিচারক ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা পালন করেছেন, তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয় চলমান থাকলে জাতির কাছে ভুল মেসেজ যাবে। তাই আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির অফিসকে এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।
শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিগত দেড় দশক সময়ে খুন, গুম, হামলা, মামলা, দমন, পীড়ন ও লুটপাটের মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম মানবাধিকার কিংবা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ৭০০–এর বেশি মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। ৬০ লক্ষাধিক মানুষ গায়েবি মামলার আসামি হয়েছিল। কথা বলার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীন ও মৌলিক অধিকারগুলো হরণের মাধ্যমে বিরোধী মত দমনের নিকৃষ্টতম ইতিহাস রচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘মামলা দায়েরে ভিকটিম ফ্যামিলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের গণ্ডি অতিক্রম করেছে বলে আমরা লক্ষ করেছি। এ বিষয়ে আমি উদ্যোগ নিয়ে জনমনে ভীতি দূর করতে আমার শিক্ষকদের কাছে আহ্বান রাখার ফলে সরকারের নিকট বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছিলাম আমার অফিস থেকে। তার একটি ছিল—মামলা হওয়া মানেই গ্রেপ্তার নয়। যার ফলে জনমনে অনেক স্বস্তি ফিরে এসেছে ইতোমধ্যেই।’
বিচার বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যা অর্থনৈতিক কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হতে পারে। জাতি প্রত্যাশা করে, বিচার বিভাগ যেকোনো ধরনের দুর্নীতি কিংবা সিন্ডিকেটমুক্ত থাক। দুর্নীতির প্রচলিত ধারণা অর্থনৈতিক লেনদেনে বোঝালেও, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি ডিনামাইটের চেয়েও ধ্বংসাত্মক। অ্যাটম বোমার চেয়েও ভয়াবহ। ক্যানসারের চেয়েও মরণঘাতী। শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সব স্তর থেকে দুর্নীতি দূরীকরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব ও বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি বিশ্বাস করি।’
২ মাস আগে
ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বিরোধী দল দমন-পীড়নে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিচার বিভাগকে এর প্রধান ও বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের মৌলিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন ও সংগ্রাম রুখে দিতে বিচার বিভাগের চরম হয়রানি ও দমন-পীড়নের শিকার হতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে জাতিকে সীমাহীন সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান আন্দোলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যেই আদালত তার বিরুদ্ধে 'নির্দেশিত' রায় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে এভাবে আন্দোলন কখনো দমন করা বা থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জনগণ ঘরে ফিরবে না।’
ফখরুল বলেন, জুবাইদা রহমানের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, সব মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা খালাস পেয়েছেন।
২০০৭ সালের এক-এগারো’র রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি দুর্নীতির মামলা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই আমরা বলছি, তারা (সরকার) আসলে তাদের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য আদালত ও বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে বিচারিক আদালত তাকে (খালেদা জিয়া) ৭ বছরের সাজা দিয়েছেন এবং উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা একই ধরনের মামলায় জামিন ও খালাস পেয়েছিলেন এবং এমনকি এখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের পাশাপাশি সরকার সত্যকে দমন করতে এবং তাদের বক্তব্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ নুরের উপর জঘন্য ও অমানবিকভাবে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে।
নুরের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা চলতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখতে যান ফখরুল। সেখানে তিনি নুরের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসকদের কাছে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়েছে: অভিযোগ ছেলের
১ বছর আগে
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদ প্রচণ্ড আঘাত করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার অভিযোগ করেছেন, 'বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার' ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দেশের গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সংবাদপত্র দেখি এবং টেলিভিশন চ্যানেল দেখি, তখন মনে হয় একই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিও ফ্যাসিবাদের ভয়ানক আক্রমণে আক্রান্ত।
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে ফখরুল বলেন, গোটা দেশ ও জাতি এক সংকটময় মোড় ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের জন্য এটা খুবই বেদনাদায়ক কারণ একের পর এক সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসন গণমাধ্যমসহ সর্বত্র ভয়ের পরিবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে। ‘ফ্যাসিবাদ সফল হয় যখন সমগ্র সমাজে সন্ত্রাসের ভয় তৈরি হয় এবং যখন সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বিএনপিপন্থী অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই এবং বর্তমান সরকার এখন যেভাবে করছে অতীতের কোনো সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করেনি। ‘এ কারণে মিডিয়ার লোকেরা নিজেরাই সেলফ সেন্সরশিপ অনুশীলন করে। আপনারা সবাই (সাংবাদিক) এখন চিন্তা করুন এটা লেখা যাবে কি না এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মুখোমুখি হতে পারেন কিনা।’
ফখরুল বলেন, অনেক সাংবাদিক এখনও ডিএসএ-তে মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। ‘আমি জেলে দেখেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আমাদের অনেক যুবক সেখানে আটক রয়েছে।)
আরও পড়ুন: সরকার দুর্যোগ সৃষ্টি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আড়াল করতে চাচ্ছে: তাবিথ আউয়াল
তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে গণমাধ্যমকর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য কাজ করতে পারছে না।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ৪৪ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার সময় সরকার দৈনিক দিনকালসহ অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মূল কথা হলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য, কিন্তু সরকার বিষয়টি চাপা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যেভাবে গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন তা একটি সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। একটি সভ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন ভাষায় কথা বলতে পারেন না।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। ‘দেশের মানুষের একটাই দাবি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ। শক্তিশালী ঐক্য গড়ে এই দাবি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
১ বছর আগে