সম্মিলিত
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৩: স্বেচ্ছাসেবা-সকলের সম্মিলিত শক্তি
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে ‘স্বেচ্ছাসেবা- সকলের সম্মিলিত শক্তি’- শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এতে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে ইউএনভি বাংলাদেশ, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, গুড নেইবরস বাংলাদেশ ও মনের বন্ধু।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাকে আগুন: স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কারাগারে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি।
এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ইফ এভরিওয়ান ডিড’। যেখানে সবাইকে সম্মিলিত শক্তিতে একই উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবকদের অমূল্য অবদানের স্বারকস্বরূপ। তাই দিনটি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিনিয়ত নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টাকে এবং একটি সমৃদ্ধ বিশ্ব গঠনে সেচ্ছাসেবকদের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি রাখে।’
বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিস গুইয়েন লুইস তার বক্তৃতায় জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবকসহ সব স্বেচ্ছাসেবকদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করেন।
মিস গুইয়েন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপনে আসুন আমরা স্বেচ্ছাসেবার চেতনাকে ধারণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই। প্রত্যেকেই স্ব স্ব অবস্থানে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমাদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্র স্বেচ্ছাসেবা সামষ্টিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা আশাবাদী!’
ইউএনভি’র (বাংলাদেশ) কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিস সোনিয়া মেহজাবীন তার বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণের পক্ষে কথা বলেন।
বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন সমূহ, এনজিও, সিএসও, স্বেচ্ছাসেবা সংস্থা, একাডেমিয়া, যুব সংগঠন, ইউএন ভলান্টিয়ারসহ সারা বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
১ বছর আগে
সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সমস্ত শিশু যাতে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরোধী হয় তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত কাজের ওপর জোর দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ১৩-১৫ জুন অনুষ্ঠিত গ্যাভি-এর ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স: রেইজিং জেনারেশন ইমিউনিটি’-তে ধারণ করা একটি ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমস্ত শিশু যাতে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরোধী হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বিশ্বের শিশুদের জন্য টিকাদান একটি মহান উপহার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘জেনারেশন ইমিউনিটি’ বাড়ানোর সম্মেলনের লক্ষ্যকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য গ্যাভি’র সহায়তার চমৎকার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রাথমিক টিকাদানের কভারেজ ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রসারিত করেছে।
এই পরিমাণের প্রায় ৮০ শতাংশ হাম, পোলিও এবং নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ভ্যাকসিনের জন্য অর্থায়ন করেছে, তিনি বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত বহর রয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রতি বছর একটি জাতীয় টিকা দিবস পালন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে জাতীয় টিকাদান নীতি আপডেট করেছে।’
২০০১ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ এবং গ্যাভি-এর মধ্যে অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাভি’র সহায়তায় বাংলাদেশ এখন জরায়ুর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিন চালু করেছে।
আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা কলেরা ভ্যাকসিন নিয়ে অগ্রণী কাজ করেছি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা অন্য দেশে নিয়ে গিয়েছি।’
কোভিড-১৯ চলাকালীন শেখ হাসিনা মহামারি ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক জনসাধারণের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি নতুন আন্তর্জাতিক মহামারী চুক্তি সেই আহ্বানকে প্রতিফলিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পকে সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর মহামারি ভ্যাকসিন তৈরি এবং তৈরি করতে সহায়তা করছি।’ ‘আমরা ইমিউনাইজেশনে উদ্ভাবনের বিষয়ে গ্যাভি’র সঙ্গে অংশীদারি করতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এখন আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য গ্যাভি’র সহায়তার কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ গ্যাভি অ্যালায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি গর্বিত বোধ করছেন। ‘২০১৯ সালে গ্যাভি’র 'ভ্যাকসিন হিরো' হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াকে আমি সম্মানের বিষয় বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যাতে মানবতাকে ক্ষুণ্ন করতে না পারে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হলো আমাদের দেশকে আমাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য নিরাপদ, সহনশীল এবং সমৃদ্ধ করা।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে গ্যাভি টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশুদের বাঁচাতে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী এই গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স আয়োজনের জন্য স্পেন সরকার এবং গ্যাভিকে ধন্যবাদ জানান।
গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স গ্যাভির বর্তমান কৌশলগত সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।
স্পেন সরকারের সহ-আয়োজক, বৈঠকটি মূল উদ্দেশ্যগুলোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো মোকাবিলার জন্য কৌশল বিকাশের জন্য বিশ্ব নেতাদের এবং টিকাদান বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করবে।
২০০০ সাল থেকে সম্মেলনের থিম ‘জেনারেশন ইমিউনিটি বাড়ানো’ সম্ভাব্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের পুরো প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের অর্জন উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সম্মিলিত-দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, মার্কেট ঝুঁকিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রমে যেতে হবে। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা নয়, ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তা যেন আর ব্যবহৃত না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: মেয়র তাপস
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে 'বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ঘোষিত দুই কোটি টাকার চেক হস্তান্তর'- অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পূর্ণ কার্যক্রম এর আগে নেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আমরা স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। তারা এই বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে খতিয়ে দেখবে। নির্মাণ কাঠামোগতভাবে ঝুঁকি, অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত ঝুঁকি-এসব বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে।
মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি মার্কেটকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে পর্যায়ক্রমে আমরা তা করব। যদি সেটা ভেঙে ফেলতে হয় তবে সেটা ভেঙে ফেলা হবে এবং নতুন করে নির্মাণ করা হবে। যদি সেটা সংস্কারযোগ্য হয় তাহলে পর্যাপ্ত সংস্কার করতে বাধ্য করা হবে। সে মালিক হোক, মার্কেট ব্যবসায়ী হোক অথবা সিটি করপোরেশন হোক-যে কর্তৃপক্ষ হোক না কেন এই ব্যবস্থা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদেরকেই সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মাঝে বিডাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে করে তারাও এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়। সুতরাং আমরা সম্মিলিতভাবে এখন থেকে কার্যক্রমগুলো নিব। এখন আমরা আগামীতে ১০ বছর বা দীর্ঘমেয়াদী একটি সময় নির্ধারণ করব। পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে, মার্কেটগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করতে আমরা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করব।
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো যোগ হচ্ছে তাতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত, মর্মাহত। প্রায় প্রতিদিনই আগুন লেগে চলেছে। বঙ্গবাজার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি বৃহৎ পাইকারি মার্কেট। গত শনিবার আমরা দেখলাম, নিউ সুপার মার্কেটেও আগুন লেগেছে, সেটিও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আরেকটি বড় মার্কেট।
তিনি বলেন, এ দুটো মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড হওয়াতে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন এবং তিনি এরই মাঝে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এটি কোনও নাশকতা কিনা? গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন তৎপর। তারা এসব দুর্ঘটনার পেছনের কারণগুলো ও রহস্য উদঘাটনে কার্যক্রম গ্রহণ করছে। এছাড়া আমরা মনে করি, অবশ্যই এই রহস্য উদঘাটন হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীদের অনুদান দেওয়া হবে ২ কোটি টাকা: মেয়র তাপস
বুধবার থেকে ব্যবসায়ীরা চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে