দখলের চেষ্টা
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর-চাকুলিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষকের বসতবাড়ি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগে ভুক্তভোগী মামলা করলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
তবে তা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষরা বসতভিটায় টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বাল্যবিয়ের ভয়ে পলাতক, ২১ দিন পর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কিশোরী উদ্ধার
অভিযোগকারী পরশমণি বিশ্বাস মন্টু অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তিনি মতুয়া মিশনের সাবেক যুগ্মমহাসচিব ও হরি গুরুচাঁদ শিক্ষা সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
তিনি বয়োবৃদ্ধ মা গৌরি রানী বিশ্বাসসহ তাকে মারধরের অভিযোগ করেছেন প্রতিবেশী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী সালমা খানমসহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিঠাপুর মৌজার চাকুলিয়া গ্রামে কবলা দলিলে কেনা ২৩ শতক জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছেন পরশমণি বিশ্বাস। জমির উত্তর পাশে বাস করেন জিয়াউর রহমান। ১৭ এপ্রিল বিকেলে জিয়াউর, তার স্ত্রী সালমা ও ছেলে জাহিদ হোসেনসহ ছয়-সাতজন সংঘবদ্ধভাবে দেশি ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে পরশমণি বিশ্বাসের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালান।
প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা পরশমণি বিশ্বাসসহ তার মা গৌরি রানী বিশ্বাস, প্রতিবেশী দীন ইসলাম ও তার স্ত্রী হালিমা এবং দীন ইসলামের মা কুলসুম বেগমকে মারধর করেন।
এ সময় গৌরি রানীর রান্নার চুলা ভেঙে দেয়া হয়।
পরদিন ১৮ এপ্রিল নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন পরশমণি বিশ্বাস।
বিচারক ওই জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (এসি, ল্যান্ড) দখলবিষয়ক তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান এবং অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
মামলার বাদী পরশমণি বিশ্বাস বলেন, আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা আমার জমিতে টিনের বেড়া দিয়েছে। আমাদের মারধর করেছে।
এদিকে অভিযুক্তরা বলেন, আমাদের ন্যায্য জমি বুঝে নেয়ার জন্য টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। আমরা কারোর জমি দখল করিনি।
এছাড়া আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারির পর দুইপক্ষকে সংযত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সাপের ঝাপাং খেলা
নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
১ বছর আগে