অশুভ শক্তি
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সব অন্যায় ও অশুভ শক্তিকে পরাভূত করে সাম্প্রদায়িক সৌন্দর্য ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে ড. অরূপরতন চৌধুরীর মিউজিক ভিডিও 'এলো মা দুর্গা' এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের অগ্রযাত্রায় আমরা নিশ্চয়ই সফল হব।
তিনি বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজা সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন মেলা। পূজার আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিলে দুর্গাপূজা স্বার্থক হবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বড় কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ দেবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
মন্তব্য করার আগে সাইবার নিরাপত্তা আইন পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানে অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে নদী পূজা
যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নদী পূজা সম্পন্ন করেছে।
পূজা উপলক্ষে শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান রাজবাড়ী পরিবারের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের জৈন্তাপুর-জাফলং ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত
শোভাযাত্রাটি রাজবাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উজানি পাড়া সাঙ্গু নদীর তীরে এসে সমবেত হয়।
শোভাযাত্রায় বান্দরবানের বোমাং সার্কেল চীফের জ্যৈষ্ঠ রাজপুত্র চসিংপ্রু বনি, রাজপরিবারের সদস্য, বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান ও কারবারি (পাড়া প্রধান) সহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুরুষরা অংশ নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজপুত্র।
এ সময় সাঙ্গু নদীর তীরে বটগাছ ও নদীর পূজা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
এ সময় ভক্তরা মিষ্টান্ন, মোমবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে এবং নদীতে ফুল বিসর্জন দিয়ে দেবতার পূজা করেন।
এছাড়া নতুন বছরে পৃথিবীতে সুখে-শান্তিতে বসবাসের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রাচীনকালে পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবানে অশুভ ও অদৃশ্য শক্তি প্রভাব বিস্তার করতো। এতে পাহাড়বাসীরা বিভিন্ন সময় নানান ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্তসহ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতো।
তাই তারা বিশ্বাস করেন অশুভ শক্তির হাত থেকে রেহাই পেতে হলে এই নদী পূজা (ক্ষ্যং ফুহ) পালন করা দরকার। তাই সেই বিশ্বাস থেকেই এ পূজা পালিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বৈশাখ মাসে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই নদী পূজা উদযাপন করা হয়। এর মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে থাকেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন
এবারের ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই: কাদের