গভীর
সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের
অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি কীভাবে আমরা সম্পর্ক আরও গভীর করতে পারি।’
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বহুমুখী সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার এবং এখানে তাদের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বিশেষ করে আইসিটি, সাইবার নিরাপত্তা, দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে কাজ করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এক বার্তা পাঠিয়েছেন এবং এ সম্পর্ক জোরদারে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একযোগে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও রোহিঙ্গাদের কল্যাণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ইস্যু এবং দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবেন।
কুক বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গাদের কল্যাণে আমাদের অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
মানবাধিকার ইস্যু সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই মানবাধিকার বিশ্বব্যাপী একটি ইস্যু এবং প্রতিটি দেশ এই ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য কাজ করছে।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, 'শিগগিরই দিল্লিতে আপনাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
জয়শঙ্কর বলেন, উগান্ডার কাম্পালায় বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় দেশের মন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন নয়াদিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা করেন।
১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন হাছান মাহমুদ।
আগামী ২১-২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বও দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ড. মাহমুদ বলেন, 'এটি তিন দিনের সফর হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করবেন।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনই এ বিষয়ে যাবে না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর
জয়শঙ্কর এর আগে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তাকে বলেন, তিনি শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন।
১১ মাস আগে
সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির গভীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার শপথ নেওয়া সাহাবুদ্দিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, যুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল সে সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সুপ্রিম কমান্ডার, সেখানে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান ও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে বিডিইউ উপাচার্যের অভিনন্দন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে