তিউনিসিয়া
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
৯ মাস আগে
তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে শুক্রবার ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর আরও বাড়ল।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায় যে দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত দশ দিনে প্রায় ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
সার্বিয়ায় ট্রাকের অ্যালুমিনিয়াম রোলের ভিতর থেকে ৯ অভিবাসী উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, তিউনিসিয়ার মর্গগুলোতে জায়গা নেই এবং কর্মকর্তারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের বিচার কর্মকর্তা ফৌজি মাসমুদি বলেছেন, মঙ্গলবার আমাদের কাছে হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে ২০০ টিরও বেশি লাশ ছিল। যা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জন্য তাদের একটি কেন্দ্রীয় মর্গ আছে।
মাসমুদি বলেন, প্রচুর লাশ তীরে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা জানি না তারা কারা বা কোন জাহাজ থেকে তারা এসেছে; তাই ক্রমেই মর্গে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বাড়ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার মতে, গত দেড় সপ্তাহে মোট প্রায় ৩০০ জন মারা গেছেন এবং চলতি বছর ৮২৪ জন মারা গেছে।
ন্যাশনাল গার্ডের হাউসেম এডদিন জেবালি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর পচনশীল অবস্থা দেখে বোঝা যায় যে তারা টানা কয়েকদিন পানিতে ডুবে ছিল।
তার মতে, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মৃত্যু নজিরবিহীন।
সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের মিসিং মাইগ্রেন্ট প্রজেক্টের তথ্যানুসারে, শুধুমাত্র গত ১০ দিনে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
পানামায় বাস দুর্ঘটনায় ৩৯ অভিবাসী নিহত
১ বছর আগে