৫ মামলা
৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়াসহ মানহানিসংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত ৪টি এবং তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলা খারিজ করে তাকে খালাসের আদেশ দেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ছিল। তবে মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। কয়েকটি মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী মারা গেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমেটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী আরেকটি মামলা করেন।
একই বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এবি সিদ্দিকী আরও একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
২ মাস আগে
৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের অভিযোগের করা পৃথক পাঁচটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসব মামলার মধ্যে চারটি রাজধানীর পল্টন থানায় এবং একটি মামলা চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা। মামলা গুলো ২০২১ সালে দায়ের করা হয়। তার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই জামিন দেন। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পরে হেলাল উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আগে ১২টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ পাঁচটি জামিন পেলেন। মামুনুল হকের কারামুক্তির জন্য বাকি ২৪টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় ১টি, মোহাম্মদ থানায় ১টি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
১ বছর আগে