সংকটাপন্ন
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
সংকটাপন্ন সুদান ছাড়তে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন ৬৭৫ বাংলাদেশি
সংকটাপন্ন সুদান থেকে এ পর্যন্ত ৬৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ট্রাভেল পারমিট সরবরাহ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম পর্যায়ে নারী, শিশু এবং অসুস্থদের জাহাজে আসন সংখ্যা অনুসারে জেদ্দার উদ্দেশে পাঠাবো। বাকিরা পরবর্তী জাহাজে রওনা হবেন। প্রতিনিয়ত জাহাজ ছাড়ছে। কোনো সমস্যা হবে না।’
দুই দিন আগে খার্তুম থেকে বাসে করে ৬৫০ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওনা হন। তারা লোহিত সাগর অতিক্রম করার জন্য পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বন্দর পর্যন্ত ১২ ঘন্টার যাত্রা করে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিকদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান, কারণ তারা নিরাপদ স্থানান্তর সম্পূর্ণ করতে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।
যারা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মানতে অস্বীকার করবে তাদের আইনি পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কয়েকজনের জন্য সকলের জীবন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আমরা ফেলব না।’
যেসব বাংলাদেশির পাসপোর্ট আছে, তাদের অবিলম্বে জাহাজে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হবে এবং বেশ কয়েকটি সৌদি জাহাজ থাকায় তারা পরবর্তী উপলব্ধ জাহাজ পাবেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাংলাদেশিদের স্থানান্তরে সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
সুদান সংঘাত: বাংলাদেশিসহ ৯১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে