সংকটাপন্ন
৫ দুর্বল ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিচ্ছে সবল ৬ ব্যাংক
আর্থিকভাবে সংকটাপন্ন পাঁচটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে শক্তিশালী ছয়টি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে আর্থিকভাবে সচ্ছল ছয়টি প্রতিষ্ঠান দুর্বল পাঁচ ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে ত্রুটি, আন্তঃব্যাংকের চেক ক্লিয়ারিং ব্যাহত
বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হলেও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়, আর্থিকভাবে শক্তিশালী ব্যাংকগুলো সীমিত সময়ের জন্য আমানত রাখার মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে।
যদিও কোনো ব্যাংককে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে আশ্বস্ত করেছে। তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ তারল্য সহায়তা সরবরাহ করতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবারও মূল নীতি হার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
২ মাস আগে
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
শনিবার (২২ জুন) এভারকেয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীকে দোয়া করার আহ্বান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
শনিবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন। খালেদা জিয়ার আশঙ্কাজনক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া সিসিইউতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, 'আমি দুপুর দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাই ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখতে। তিনি সিসিইউতে আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং চিকিৎসকরা তার কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ‘চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।’
তিনি বলেন, তার চিকিৎসার পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সন্ধ্যায় আরেকটি বৈঠক করবেন।
তিনি জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'ম্যাডামের দ্রুত আরোগ্যের জন্য সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুন।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মির্জা ফখরুল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, 'ম্যাডাম সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।’
খালেদা জিয়া রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানে নিজ বাসভবন 'ফিরোজা'য় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি
তাকে দ্রুত সিসিইউতে ভর্তি করা হয়, যেখানে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
গত ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে দুই দিন চিকিৎসা দেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বারবার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস পদ্ধতি) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন নেতারা
৫ মাস আগে
বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
বরিশালে অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করার অভিযোগ পাওয় গেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ১৭ দিন পরে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করে ওই প্রসূতির পেট থেকে তা বের করা হয়।
বরিশালের বানারীপাড়ার হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল চিকিৎসার শিকার ওই নারী বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: বরিশালে আরও ৩ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৯
ঘটনার শিকার নারীর স্বজনরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তান সুস্থ থাকলেও ভুল চিকিৎসার শিকার নারী শঙ্কামুক্ত হননি।
রোগীর বোন ইসরাত জাহান বলেন, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা সদরের হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে কনসালটেন্ট ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ান অপারেশন করলে তার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
ইসরাত জাহান বলেন, অপারেশনের পর থেকে চার দিন রোগীর প্রস্রাব ও পায়খানা বন্ধ থাকে। আমরা টেনশন করছিলাম। বিষয়টি জটিল দেখে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ওখানে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাই। কিন্তু আমাদের কিছুই জানাননি। অথচ আমার বোন দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই। এখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান- আমার বোনের পেটের মধ্যে গজ রেখে দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করান।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বুঝে আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাসপাতালেই অপারেশন করাই। প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় অপারেশন করে বোনের পেটের মধ্য থেকে দুই হাত লম্বা গজ বের করা হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আর দুই তিন দিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন। আমি চাই হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুল চিকিৎসা যিনি দিয়েছেন সেই ডাক্তারের শাস্তি দেওয়া হোক। তাদের অপচিকিৎসায় আমার বোন আজ মৃত্যুপথযাত্রী।
অভিযোগের বিষয়ে হামিদ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক অর্পন বলেন, আমি বানারীপাড়াতে নেই। তবে এমন একটি ঘটনা শুনেছি আমার হাসপাতালে ঘটেছে। বিস্তারিত কিছুই জানি না। বিস্তারিত জেনে বলতে পারব আসলে কী ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু
বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
সংকটাপন্ন সুদান ছাড়তে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন ৬৭৫ বাংলাদেশি
সংকটাপন্ন সুদান থেকে এ পর্যন্ত ৬৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ট্রাভেল পারমিট সরবরাহ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম পর্যায়ে নারী, শিশু এবং অসুস্থদের জাহাজে আসন সংখ্যা অনুসারে জেদ্দার উদ্দেশে পাঠাবো। বাকিরা পরবর্তী জাহাজে রওনা হবেন। প্রতিনিয়ত জাহাজ ছাড়ছে। কোনো সমস্যা হবে না।’
দুই দিন আগে খার্তুম থেকে বাসে করে ৬৫০ জন বাংলাদেশি পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওনা হন। তারা লোহিত সাগর অতিক্রম করার জন্য পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা বন্দর পর্যন্ত ১২ ঘন্টার যাত্রা করে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিকদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান, কারণ তারা নিরাপদ স্থানান্তর সম্পূর্ণ করতে তাদের জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।
যারা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মানতে অস্বীকার করবে তাদের আইনি পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কয়েকজনের জন্য সকলের জীবন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আমরা ফেলব না।’
যেসব বাংলাদেশির পাসপোর্ট আছে, তাদের অবিলম্বে জাহাজে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হবে এবং বেশ কয়েকটি সৌদি জাহাজ থাকায় তারা পরবর্তী উপলব্ধ জাহাজ পাবেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাংলাদেশিদের স্থানান্তরে সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
সুদান সংঘাত: বাংলাদেশিসহ ৯১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে
১ বছর আগে