ভুটানকে আমন্ত্রণ
ভুটানকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই প্রতিবেশি দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ভুটানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আপনি আমাদের দেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে পারেন যা ভুটান অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে।’
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ও রানি জেটসুন পেমা শনিবার ক্লারিজ হোটেলে যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যুক্তরাজ্য সফরের সময় অবস্থান করছেন, সেখানে তার সঙ্গে দেখা করার সময় তিনি এই প্রস্তাব দেন।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা ভুটানের রাজা ও রানি হোটেলে পৌঁছালে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৫০ মিনিট ব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ভুটানের রাজাকে অবহিত করেন যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আপনি চাইলে কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারেন।’
ভুটানের রাজা পরিবেশের ক্ষতি না করে তার দেশে একটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চান বলে শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলপথসহ সব ক্ষেত্রে প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়ন করছে। বাংলাদেশ একটি কানেক্টিভিটি হাব। ভুটান বাংলাদেশের দুটি বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।’
মোমেন বলেন, ভুটানের রাজপরিবার শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাজা তার হিমালয় দেশের সরাসরি ট্রানজিট বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এবং আরেকটি ভারতের মধ্য দিয়ে পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীকে বড় অনুপ্রেরণা বললেন ঋষি সুনাক
ভুটানের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমরা এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।’
ভুটানের রাজা বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত, কারণ তারা দুজনেই বাংলাদেশে পড়াশোনা করেছেন।
তিনি বলেন, ভুটানের দুই নেতাই ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ সফর করতে চান।
স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা আছে।
মোমেন বলেন, ভুটানের রাজা ও রানি প্রধানমন্ত্রীকে তাদের ‘খালা’ মনে করায় তারা বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ বছর আগে