খুলনা সিটি নির্বাচন
খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বার বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। সোমবার (১২ জুন) ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে আবারও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এ নিয়ে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হলেন।
এর আগে তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সোমবার (১২ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বেসরকারিভাবে কেসিসি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ২৮৯ কেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের মধ্যে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৩ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট; এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৮ ভোট; জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো কেন্দ্র বন্ধ হয়নি। কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সকলের সহযোগিতায় নির্বাচন পরিচালনা করেছে। আমরা কথা দিয়েছিলাম খুলনাবাসীকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিব। আমরা সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি ফলাফলের মধ্য দিয়ে খুলনাবাসীর বিজয় হবে।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৮৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় ভোট। এবারই প্রথম খুলনা সিটির সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ হয়েছে।
সহিংসতার খবর না পাওয়া গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। প্রায় অনেক কেন্দ্রে ইভিএম ধীরগতিতে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা চলছে
খুলনা সিটি নির্বাচন: কর্মী-সমর্থকদের ভোট থেকে দূরে থাকার নির্দেশ বিএনপির
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে, এমনকি অনেক ভোটকেন্দ্র প্রায় জনশূন্য বলা যায়।
প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, সকাল ১১টা পর্যন্ত গড়ে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ০২ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি বিশেষভাবে কম ছিল।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রনজিত কুমার বিশ্বাস জানান, মোট ১ হাজার ৪৯৩ জন নিবন্ধিত ভোটার থাকা সত্ত্বেও সকাল ১১টার মধ্যে মাত্র ১৩৫টি ভোট পড়েছে।
একইভাবে, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে দারুল কুরআন সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রেও ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কম ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মানিক জানান, ১ হাজার ৬৫৮ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে সকাল ১১টার মধ্যে মাত্র ১৭০ জন ভোট দিয়েছেন।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডে, ন্যাশনাল হাইস্কুল কেন্দ্রে ১১ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন যে পিটিআই মহিলা কেন্দ্রে ৭ দশমিক ০২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেখানে পুরুষ কেন্দ্রে সকাল ১১টা নাগাদ ৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে খুলনা কলেজ কেন্দ্রে ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। ওই কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৬৮ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৫৩৩ জন সকাল ১১টার মধ্যে ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
খুলনা সিটিতে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৩ নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশীদ আহমেদ টোনা ও ২৪ নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনে মোট নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
স্থানীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে প্রায় ২ হাজার ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন করা হবে, যাতে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত ৫ হাজার ৪৮৫ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
এ বছর ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ইভিএমসহ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নির্বাচনী উপকরণ পাঠানোর কাজ ১১ জুন থেকে শুরু হবে এবং ১২ জুন মধ্যরাতে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
কেসিসি নির্বাচন: এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ, ২ প্রার্থীকে জরিমানা
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া সবার সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে; পক্ষপাতমূলক নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, আমরা ইভিএমে ভোট করছি। ইভিএমের ফল পরিবর্তনের ন্যূনতম সুযোগ নেই। কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনোভাবে ভোটারদের অধিকার খর্ব করা যাবে না। এছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মডেল নির্বাচন চাই: সিইসি
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে খুলনা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনের সুস্থ ধারা এখনো শতভাগ ঠিক হয় নাই। আমরা নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য দিন ও রাত কাজ করে যাচ্ছি।
সিইসি গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুলনায়ও আমরা একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিব।
তিনি সকলকে নির্বাচনের আচরণ বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ নির্বাচনের আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে প্রশাসন তাকে কঠোরভাবে দমন করবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
এছাড়া সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
সভায় নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১৩৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৩৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশিরভাগই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সিইসি
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ৪ মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৩
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে জাকের পার্টির প্রার্থীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনজন মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন।
ফলে কেসিসি নির্বাচনে বৈধ তিন মেয়র প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল এবং জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম মধু।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
বাতিল চার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এস এম শফিকুর রহমান, আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম তাদের ৩০০ ভোটারের সমর্থনকারীদের সমর্থনে তথ্য ভুল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আয়কর রিটার্ন দাখিল, রশিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলছে। যাচাই বাছাই শেষ হলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা দিবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
গত ১৬ মে খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সলর পদে মোট ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন।ি
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: বিএনপি নেতা কায়সারের বাড়িতে হামলা, নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাত প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার (১৬ মে)।
জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯৫ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: কেসিসি ভোট: মেয়র পদে ৭ জনসহ ২২২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।
৩১টি ওয়ার্ডের অধীনে মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ (৫ দশমিক ৩৫ লাখ) ভোটার ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় বন্ধ থাকা কেসিসির উন্নয়ন প্রকল্প ফের শুরু
কেসিসির নবনির্বাচিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ
১ বছর আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: বিএনপি নেতা কায়সারের বাড়িতে হামলা, নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতার বাসভবনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (০৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কাস্টমস ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মো. মাহবুব কায়সার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা মাহবুব কায়সারকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিতে নির্দেশ করে ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তবে এ সময় সাবেক কাউন্সিলর বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৪/১৫টি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মাহবুব কায়সারের বাড়ির সামনে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নিতে হুমকি দেয়। তারা আকস্মিকভাবে বাড়ির মূল ফটক ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে যান।
সাবেক কাউন্সিলর মো. মাহবুব কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আকস্মিকভাবে সন্ত্রাসীরা আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিলে শেষ করে দিবে বলে চিৎকার করেছে। তবে কারা এ ঘটনাটি ঘটালো এখনও বুঝতে পারছি না। আমি তাৎক্ষণিকভাবে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
মেয়র বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা উদ্বীগ্ন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘুরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে: রাণা দাশগুপ্ত
১ বছর আগে