২০২৩-২৪ অর্থবছর
বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ৩১ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
মোট বরাদ্দের মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের বিভিন্ন অধিদপ্তরকে ২৬ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পুলিশ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অন্যান্য বিভাগকে বাকি ৪ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মোট বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি সেবাদানকারী গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হবে
যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
৬ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কমেছে।
বাজেট বক্তৃতায় বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয়ের অঙ্ক পুনর্বিন্যাস করে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যা ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যাবে অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পদ
তবে এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক সরকারি ব্যয় বিবেচনায় তা ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মূল বরাদ্দ ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সংশোধিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৭৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
৬ মাস আগে
ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা
এখন ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ কার্যক্রমের আওতায় স্মার্ট করা হয়েছে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের জন্য আর যেতে হবে না হজ নিবন্ধন কেন্দ্রে।
এখন ঘরে বসেই ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাতিল করা যাবে প্রাক-নিবন্ধন। নতুন এই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে সরকারি মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী তার নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে পারবে। রিফান্ড আবেদন দাখিল করলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালকের দপ্তরে।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপে সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড সেবার উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এই অফিসের পরিচালক ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে জমা হবে রিফান্ডের টাকা। আগে রিফান্ডের টাকা পেতে যেখানে চার কর্মদিবস সময় লাগতো এখন সেটা ১/২ কর্মদিবসে সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে হজে যাওয়ার জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্নকারী হজযাত্রী কোনো কারণে তার নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে তাকে যেতে হতো হজ নিবন্ধন কেন্দ্রে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। সেলক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আমরা ইতোমধ্যেই ডিজিটালাইজড করেছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে এবার যুক্ত হলো সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের স্মার্ট প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড। এই সেবা হজযাত্রীদের সময়, অর্থ ও ভ্রমণ সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: আবেদনের মেয়াদ শেষ হলেও ভিসা অনিশ্চয়তায় ১১ হাজারের বেশি হজযাত্রী
আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
৭ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, উল্লিখিত সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এ সময় তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৩৮ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগানোর আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
নিটওয়্যারের রপ্তানি হয়েছে ২২ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ওভেন (বুনন জাতীয়) পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের এপ্রিলে পোশাক রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায় ১ দশমিক ০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চ মাসের বেতন-ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে সব কারখানা: বিজিএমইএ সভাপতি
'খলিলুর রহমান নলেজ সেন্টার' চালু করল বিজিএমইএ
৭ মাস আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১%, আগামী বছর হবে ৬.৬ %: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক বলেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে এবং আগামী অর্থবছরে এটি বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির উন্নতি এবং পর্যটন পুনরুদ্ধারের মধ্যে এই অঞ্চলের স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো এই বছর গড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এডিবি প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এপ্রিল ২০২৪ অনুযায়ী, আগামী বছরও একই হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গত দুই বছর ধরে অনেক অর্থনীতিতে উচ্চতর খাদ্যের দাম বাড়ার পরে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানির দ্বারা চালিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সম্পত্তির বাজারে দুর্বলতা এবং কম খরচের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে (পিআরসি) মন্দার ভারসাম্য রক্ষা করছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত একটি প্রধান প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই বছর ৭ শতাংশ এবং পরের বছর ৭ দশমিক ২ শথাংশ বৃদ্ধি পাবে।
চীনের প্রবৃদ্ধি গত বছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে এই বছর ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পরের বছর ৪ দশমিক ৫ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, 'আমরা চলতি বছর ও আগামী বছর উন্নয়নশীল এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতির শক্তিশালী ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের আস্থা উন্নত হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সামগ্রিকভাবে স্থিতিস্থাপক। বাহ্যিক চাহিদাও কমে আসছে বলে মনে হচ্ছে, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে।’
নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বেশ কয়েকটি ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্ন, মার্কিন আর্থিক নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা, চরম আবহাওয়ার প্রভাব এবং চীনে সম্পত্তি বাজারের আরও দুর্বলতা।
উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি এই বছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী বছর ৩ শতাংশে এ নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ বিশ্বব্যাপী মূল্যের চাপ হ্রাস পাবে এবং অনেক অর্থনীতিতে মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে। তবে চীন বাদে এই অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি এখনও কোভিড-১৯ মহামারির আগের চেয়ে বেশি।
চালের দাম খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে আমদানিনির্ভর অর্থনীতির জন্য। এডিও এপ্রিল ২০২৪ অনুসারে, এ বছর চালের দাম বাড়তে পারে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি ও চাল রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধও এর অন্যতম কারণ। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলা এবং পানামা খালে খরার কারণে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।
চালের ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষার জন্য, সরকার ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ভর্তুকি দিতে পারে এবং মূল্য হেরফের ও মজুতদারি রোধে বাজারের স্বচ্ছতা ও পর্যবেক্ষণ বাড়াতে পারে।
মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি নীতিতে মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য কৌশলগত চালের মজুদ প্রতিষ্ঠা, টেকসই চাষ ও ফসল বৈচিত্র্যকরণকে উৎসাহিত করা এবং উত্পাদনশীলতা বাড়াতে কৃষি প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
আঞ্চলিক সহযোগিতা চালের দাম এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৮ মাস আগে
ময়মনসিংহ অঞ্চলে চাহিদার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন আড়াইগুণ
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। উৎপাদনের বিপরীতে খাদ্য চাহিদা মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ। চলতি অর্থবছরে প্রায় ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক সালমা আক্তার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের জাতভিত্তিক ফসল উৎপাদনের অগ্রগতি ও বিভিন্ন কার্যক্রম, বিগত পাঁচ বছরে বোরো, আমন ও আউশ ধানের উৎপাদন চিত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বক্তারা বিভিন্ন কৃষিবান্ধব কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা উদাহরণ হিসেবে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষপদ্ধতি উল্লেখ করেন।
তারা আরও জানান, বস্তায় আদা চাষে জমির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষকেরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। এক বস্তা আদা চাষে করতে খরচ হবে মাত্র ৭০ টাকা কিন্তু লাভ হবে বস্তাপ্রতি প্রায় ২১৫ টাকা।
কর্মশালায় অন্যান্য ফসল যেমন সরিষা, মধু, ভুট্টা, রঙিন ফুলকপি, ক্যাপসিকামসহ নতুন জাতের বিভিন্ন ফসল উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য কৃষি বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন বক্তারা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শস্যের গড় নিবিড়তা পূর্বের চেয়ে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বেড়েছে ৪ হাজার ৯৪৯ হেক্টর, আউশের আবাদ বেড়েছে ৪ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে, মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ বেড়েছে ১ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে, নারী ক্ষমতায়ন ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং নার্স সিস্টেম হতে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ব্যবহার পূর্বের চেয়ে দুই শতাংশ বেড়েছে।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. এ সাত্তার মন্ডল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এর পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
৯ মাস আগে
সংসদে বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস করেছে সংসদ। এতে সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্য নির্ধারণ করে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি রাখা হয়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।
সোমবার জাতীয় সংসদে এই বাজেট পাস করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১১ লাখ ১০ হাজার ৮৪০ কোটি টাকার বাজেটে বরাদ্দ চেয়ে বরাদ্দকরণ বিল-২০২৩ উত্থাপন করেন যা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে আজ, সংসদ কিছু পরিবর্তনসহ অর্থ বিল-২০২৩ পাস করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
সরকারের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মেটানোর জন্য অর্থ বরাদ্দের সংসদীয় অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা অনুদানের জন্য ৫৯টি দাবির মাধ্যমে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের ব্যয়ের যৌক্তিকতা পেশ করেন।
এর আগে, সংসদ কণ্ঠভোটে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য অনুদানের জন্য ৫৯টি দাবিতে বিরোধী সদস্যদের নামে দাঁড়িয়ে থাকা মোট ৫০৩টি কর্তন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
জাতীয় পার্টি ও গণফোরামসহ মোট ১০ জন সংসদ সদস্য বাজেটে তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব পেশ করেন। তারা হলেন- কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মোকাব্বির খান ও রেজাউল করিম বাবলু।
তবে তাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আলোচনায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দুপুরের খাবারের বিরতি না দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অনুদানের দাবি পাসের প্রক্রিয়া দ্রুততর করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৮৮৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
বরাদ্দ বিল পাশ হওয়ার সময় বিরোধী ও স্বতন্ত্র সাংসদরা হাউসে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা বিলটি পাস করতে আপত্তি তোলেননি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। বাজেটে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, জ্ঞানভিত্তিক, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' নিশ্চিত করার দর্শন রয়েছে।
বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশ রাখার প্রত্যাশা সহ জিডিপি বৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ শতাংশ।
পরিচালন ও অন্যান্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
মোট রাজস্ব ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ৭০ হাজার কোটি টাকা অন্যান্য উৎস থেকে সংগ্রহ করবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাক ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বাইরের উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
১ বছর আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ১ জুন পেশ করা হবে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তাওহিদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সোমবার অর্থ বিভাগ প্রাসঙ্গিক দাপ্তরিক নথির অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধাশ্রমে ইফতার কর্মসূচির বাজেটে দান করবে বিজিএমইএ
তিনি বলেন, নথিতে বাজেটের দিনের দায়িত্বগুলোও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যাতে প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারে।
ঈদুল আজহার ছুটির আগেই আগামী জাতীয় বাজেট শেষ করতে রাজি সরকার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৭ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেটের পরিমাণ।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ১১ মে ২ দশমিক ৭৪ লাখ কোটি টাকার নতুন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেট ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করবে: অর্থমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে