যুদ্ধবিধ্বস্ত
ভূমিকম্প নতুন বিপর্যয় নিয়ে এসেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মিয়ানমারে
গৃহযুদ্ধ, খাদ্য সংকট ও অর্থনৈতিক অবনতির মধ্যে মিয়ানমারে নতুন বিপর্যয় ডেকে এনেছে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এরপর থেকে ধ্বংসযজ্ঞের খবর আসতে থাকে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় ও রাজধানী নেপিদো থেকেও।
এখন পর্যন্ত ১৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও আটজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিনের মাঝামাঝিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে, যার গভীরতা ১০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে তথ্য পাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আক্রান্ত এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ও ইন্টারনেট সেবার বাইরে চলে গেছেন লাখ লাখ মানুষ।
ভেঙে পড়েছে বহু এলাকার বাড়িঘর, মসজিদ, উপড়ে গেছে গাছ। ফাটল ধরেছে রাস্তায়, ভেঙে গেছে সেতু, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। তবে মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়। মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ বলেছেন, হাজার হাজার মানুষের জরুরি আশ্রয়, খাবার এবং চিকিৎসা সহায়তা দরকার।
বহু এলাকায় ভূমিকম্পের প্রভাব কতটা পড়েছে তা জানতে কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে বলেও তার ধারণা। রেড ক্রসের আশঙ্কা, মিয়ানমারের বড় বড় বাঁধগুলোতে কম্পনের কারণে ফাটল ধরে থাকতে পারে। ফলে বন্যাও দেখা দিতে পারে। এতে বিপর্যয় আরও বাড়বে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মান্দালয়ের কাছেই। পরে ছয় দশমিক চার মাত্রার একটি আফটারশক (পরাঘাত) হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে মিয়ানমার জান্তা সরকারের প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেং বলেন, ‘এই ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৪ জন নিহত ও ৭৩০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের শঙ্কা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া রাজধানী নেপিদোর বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভবন মাটিতে মিশে গেছে। ধ্বংস্তস্তূপ থেকে আক্রান্তদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে দেড় শতাধিক নিহত
ভূমিকম্প ভয়াবহ আঘাত হানা এলাকাগুলোতে ‘জরুরিভিত্তিতে রক্তের’ চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। মান্দালয়ের সড়কগুলোতে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। একটি মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেতু ভেঙে পড়েছে। এতে কিছু এলাকায় উদ্ধারকারীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে।
পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি মিয়ানমারে আগে থেকেই ব্যাপক মানবিক সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পের আঘাতে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতার বিবরণ দিতে গিয়ে সিরিনিয়া নাকুতা নামের এক নারী বলেন, “কম্পন থামছিল না। উপরের তোলা থেকে পাথরের মত জিনিস খসে পড়ার শব্দ শুনতে পাই। তখন বাচ্চাদের বলি, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না, বাইরে চলে যাওয়া উচিত।”
সন্তানদের নিয়ে নিজের নেপিদোর অ্যাপার্টমেন্টেই ছিলেন নাকুতা। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে বেশ কিছু সময়েও তা না থামায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।
মিয়ানমারের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গনের এক বাসিন্দা বলেন, কম্পন ছিল বেশ তীব্র। প্রায় চার মিনিট ধরে ঝাঁকুনি চলে।
আরেক ব্যক্তি ঘটনার বর্ণনায় বলেন, “ঘুম থেকে জেগে দেখি ভবন মারাত্মকভাবে দুলছে। কাঁপাকাঁপি প্রায় তিন থেকে চার মিনিট চলে। বন্ধুদের কাছ থেকে মেসেজ পাচ্ছিলাম। দেখলাম কম্পন শুধু ইয়াঙ্গুন নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই হয়েছে।”
মান্দালয়ে ধ্বংসাবশেষের ছবি ও ভিডিও এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রয়্যাল প্যালেস, ৯০ বছরের পুরনো ব্রিজ ধসে পড়ার পাশাপাশি আর মহাসড়কও ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় খনি দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু
এদিকে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন ভেঙে থাই রাজধানী ব্যাংককে আটজন নিহত হয়েছেন। মুহূর্তে বিপর্যয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এলাকাটি।
খবরে বলা হয়, রাজধানীর কাছাকাছি জনপ্রিয় চাতুচাক মার্কেটে ৩৩ তলার একটি নির্মাণাধীন ভবন ক্রেনসহ ধসে পড়েছে। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এতে চারপাশে বিস্তৃত ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজনকে আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করে দৌড়াতে দেখা গেছে।
ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে সাইরেনের প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। যানজটে আটকাপড়ে ব্যস্ত সড়কগুলো। র্যাপিড ট্র্যানজিট সিস্টেম ও সাবওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প যে এলাকাটিতে আঘাত হেনেছে, সেটি ভূমিকম্পপ্রবণ। কিন্তু এসব ভূমিকম্প খুব বড় না। থাই রাজধানী থেকে যা টের পাওয়ার ঘটনাও বিরল। ব-দ্বীপের ওপর অবস্থিত ব্যাংককে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মাঝারি।
প্রথমে ভূমিকম্পের বিষয়টি বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ব্যাংককের একটি ভবনে কাজ করা অপরিল কানিচাওয়ানকুল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমার মাথা ঘোরাচ্ছে।’ সহকর্মীদের নিয়ে ভবনের দশতলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যান তারা।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পুমথাম উইচাইয়াচি বলেন, ব্যাংককে ভবনধসে নিখোঁজ রয়েছেন ৯০ জন।
নিহতদের মধ্যে দুজন নির্মাণশ্রমিক। ভবন থেকে ইট-পাথরের টুকরা পড়ে তাদের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
২০ দিন আগে
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১৮৩ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে আরও ১৮৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে ১৫১ জন প্রবাসী বাংলাদেশে পৌঁছান বলে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে এর আগে রাত ১১টার দিকে আরেকটি ফ্লাইটে আরও ৩২ জন ফিরে আসেন।
এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন লেবানন থেকে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন ৭০ বাংলাদেশি
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, লেবাননের বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
ফিরে আসা নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে আসা প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিক্যাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যারা ফিরে আসতে চান, সরকার নিজ খরচে তাদের দেশে ফেরত আনবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
১৬৩ দিন আগে
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশে ফিরছেন আরও বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, সরকারের উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে আরও ১০০ বা তার বেশি বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে আসবেন।
মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, প্রথম ধাপে সুদানে আটকে থাকা ৮০ জন বাংলাদেশিকে ৩০ জুন সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ এই মুহূর্তে সুদান থেকে জেদ্দা যাওয়ার কোনো ফ্লাইট নেই।
পরে তারা ১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।
পোস্টটিতে বলা হয়, বাকি 'নিবন্ধিত' – অর্থাৎ যারা দেশে ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়ে নিবন্ধন করেছেন তারা ২ জুলাই বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারবেন।
নতুন করে উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন: ‘আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে একমাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন।
খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েকদিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।
আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দেই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইনসে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।
আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক তাদের ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসাবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন।
যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন।
আশাকরি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
আরও পড়ুন: সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৭২১ জন বাংলাদেশি: সেহেলী সাবরীন
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
৬৬০ দিন আগে
ঢাকা বিশ্বের ৭ম কম বসবাসযোগ্য শহর, যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ থেকেও এর অবস্থান নিচে!
সর্বশেষ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গ্লোবাল লাইভবিলিটি ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেও দুই ধাপ নিচে বিশ্বের সপ্তম সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে ঢাকা।
তবে ইআইইউ’র প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী,, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার স্কোর গত বছরের তুলনায় ব্যাপক উন্নতি করেছে।
ঢাকা সর্বমোট ১০০ এর মধ্যে ৪৩.৮ স্কোর করেছে, যা জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে’র সমান।
সে হিসেবে ঢাকা এই সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৭তম স্থানে রয়েছে।
ইআইইউ পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ৩০টিরও বেশি গুণগত এবং পরিমাণগত বিবেচনা অনুযায়ী শহরগুলোকে তালিকাবদ্ধ করেছে। এগুলো হলো- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
একটি শহরের এই প্রত্যেকটি উপাদান গ্রহণযোগ্য, সহনীয়, অস্বস্তিকর, আপত্তিকর বা অসহনীয় হিসাবে রেট করা হয়েছে।
স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ১০০ এর মধ্যে ৫০ স্কোর করেছে; যা ২০২২ সালের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘বর্ণন’ এর যাত্রা শুরু
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাজধানী স্কোরে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। ২০২২ সালে স্কোর ছিল ২৯.২ ও ৪১.৭; এর তুলনায় ঢাকা স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় এই বছর যথাক্রমে ৪১.৭ ও ৭৫ স্কোর করেছে।
২০২২ সালে, ঢাকার সামগ্রিক স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৩৯.২ ছিল।
তবে, ২০২৩ সালে শহরের সংস্কৃতি ও পরিবেশের (৪০.৫) এবং অবকাঠামো (২৬.৮) ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
যদিও ২০২৩ সালের ইআইইউ এর লাইভবিলিটি ইনডেক্সে অনেক এশিয়ান শহর স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল স্কোর করেছে, তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শহরগুলো কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরবর্তী নানা প্রতিকূলতার কারণে গত বছর থেকে পিছিয়ে গেছে।
রিপোর্টটিতে দেখা যায়, সমীক্ষায় ১৭২টি শহরে (কিয়েভ বাদে) গড় স্কোর এখন ১০০ এর মধ্যে ৭৬.২-এ পৌঁছেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৩.৩।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ১০০ এর মধ্যে ৯৮.৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসেবে তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
বিপরীতে, সিরিয়ার দামেস্ক ১০০-এর মধ্যে ৩০.৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বসবাসযোগ্য শহরের স্থান পেয়েছে।
পশ্চিম ইউরোপীয় শহরগুলো ২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেছে, কারণ শ্রমিক ধর্মঘট এবং অন্যান্য নাগরিক অস্থিরতা তাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে কিয়েভ এই বছরের শীর্ষ কম বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যুদ্ধের কারণে এর স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শহরটি সূচকে ১৭৩টি শহরের মধ্যে ১৬৫তম স্থানে ছিল।
ইআইইউ রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২২ সালে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ৯৬তম স্থানে নেমে আসার পর, এই বছরও তার অবস্থান স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
শীর্ষ ১০ সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর
১. ভিয়েনা (৯৮.৪)
২. কোপেনহেগেন (৯৮.০)
৩. মেলবোর্ন (৯৭.৭)
৪. সিডনি (৯৭.৪)
৫. ভ্যাঙ্কুভার (৯৭.৩)
৬. জুরিখ (৯৭.১)
৭. ক্যালগারি (৯৬.৮)
৮. জেনেভা (96.8)
৯. টরন্টো (৯৬.৫)
১০. ওসাকা (৯৬.০)
শীর্ষ ১০ কম বাসযোগ্য শহর
১. দামেস্ক (৩০.৭)
২. ত্রিপোলি (৪০.১)
৩. আলজিয়ার্স (৪২.০)
৪. লাগোস (৪২.২)
৫. করাচি (৪২.৫)
৬. পোর্ট মোরসবি (৪৩.৪)
৭. ঢাকা (৪৩.৮)
৮. হারারে (৪৩.৮)
৯. কিইভ (৪৪.০)
১০. ডুয়ালা (৪৬.৪)
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
৬৬৬ দিন আগে
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
যুদ্ধকবলিত সুদান থেকে আরও ১৭৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে বুধবার বিকালে জেদ্দা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এ সময় তাদের স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার রাতে বদর এয়ারলাইন্সের আরও দুটি ফ্লাইটে ৩০২ জন এবং বৃহস্পতিবার রাতে আরও ৭৪ জন যাত্রী জেদ্দা পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সুদান থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশি এ সকল নাগরিকদের মধ্যে ৫২ জন বুধবার দিবাগত রাত ১টার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ফেরত আসাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্সে ১৩০ জন ও মদিনা হতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ২৩৮ জন দেশে ফিরে যাবেন। অন্যদের বিভিন্ন ফ্লাইটে যত দ্রুত সম্ভব দেশে পাঠানো হবে।
এ সকল বাংলাদেশিদের জন্য জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৮ মে সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে ১৩৬ জন যাত্রী বাংলাদেশে পৌঁছে। সুদানে প্রায় এক হাজার পাঁচশত বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এর মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ ব্যপারে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাকি বাংলাদেশিদের জেদ্দায় ফিরিয়ে আনতে ৪টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করছে সরকার: শাহরিয়ার আলম
৭০৮ দিন আগে